Skip to main content

Admission Confession - The Evidence Act 1872 বিবৃতি স্বীকৃতি স্বীকারোক্তি কাকে বলে সাক্ষ্য আইন ১৮৭২

Admission Confession- The Evidence Act 1872

বিবৃতি স্বীকৃতি স্বীকারোক্তি

সাক্ষ্য আইন ১৮৭২

ধারা ১৭: স্বীকৃতির সংজ্ঞা

স্বীকৃতি হচ্ছে মৌখিক বা লিখিত এমন কোন বিবৃতি, যা কোন বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে কোন অনুমানের ইঙ্গিত বহন করে, এবং যা নিম্নে উল্লিখিত ব্যক্তিগণের মধ্যে কেহ নিম্নেবর্ণিত কোন পরিস্থিতিতে করে থাকে।

ধারা ১৮ স্বীকৃতি মামলার পক্ষ বা তার প্রতিনিধি কর্তৃক মামলার বিষয়বস্তুতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক যার কাছে হতে স্বার্থ প্রাপ্তি ঘটেছে তৎকর্তৃক

কোন মামলার কোন পক্ষ, অথবা কোন পক্ষের কোন প্রতিনিধি আদালত যাকে সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতিতে উক্ত পক্ষের প্রতিনিধি হিসাবে বিবৃতি দানের জন্য প্রকাশ্যে বা ইঙ্গিতে ক্ষমতা প্রাপ্ত বলে মনে করেন, তিনি কোন বিবৃতি দিলে তা স্বীকৃতি। কোন প্রতিনিধিত্বমূলক দেওয়ানি মামলার বাদী বা বিবাদী যে বিবৃতি দান করেন, তা প্রতিনিধি হিসাবে প্রদত্ত না হয়ে থাকলে স্বীকৃতি নয়।

নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের বিবৃতি, যথা

(১) মামলার বিষয়বস্তুতে যারা মালিকানাগত বা আর্থিক কোন স্বার্থ আছে এবং অনুরূপ স্বার্থ সংশ্লিণষ্ট ব্যক্তি হিসাবে যখন তিনি বিবৃতি দান করেন, সে বিবৃতি। অথবা

(২) মামলার পক্ষগণ যে সমস্ত ব্যক্তির কাছে হতে মামলার বিষয়বস্তুতে স্বার্থলাভ করেছেন তাদের বিবৃতি। যদি উক্তরূপ স্বার্থ বজায় থাকাকালে প্রদত্ত হয়, তবে তা স্বীকৃতি।

ধারা ১৯ মামলার পক্ষের সাথে যার সম্পর্কে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে সেরূপ ব্যক্তির স্বীকৃতি

মামলার কোন পক্ষের বিপরীতে যে সমস্ত ব্যক্তির অবস্থা বা দায়িত্ব প্রমাণ করা প্রযােজন, তাদের বিবৃতি স্বীকৃতি, যদি তা সমস্ত ব্যক্তির বিপরীতে অনুরূপ অবস্থা বা দায়িত্ব প্রসঙ্গে তাদের দ্বারা বা তাদের বিরুদ্ধে আনীত কোন মামলায় প্রাসঙ্গিক হয়, এবং বিবৃতি দানের সময় যদি বিবৃতিদাতার অনুরূপ অবস্থা বা দায়িত্ব বিদ্যামান থাকে।

উদহারণ -মামলার পক্ষের সাথে যার সম্পর্কে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে সেরূপ ব্যক্তির স্বীকৃতি

ক খ-এর পক্ষে ভাড়া আদায় করার দায়িত্ব গ্রহন করল। গ-এর কাছে হতে খ-এর প্রাপ্ত ভাড়া আদায় না করার দরুন ক-এর বিরুদ্ধে খ মামলা দায়ের করল। গ-যদি এ মর্মে কোন বিবৃতি দেয় যে, খ তার নিকট ভাড়া পাবে, তবে তা স্বীকৃতি, এবং ক যদি এ কথা অস্বীকার করে যে গ-এর কাছে খ-এর ভাড়া পাওনা আছে, তবে গ-এর ঐ বিবৃতি ক-এর বিপক্ষে প্রাসঙ্গিক ঘটনা।

ধারা ২০ মামলার পক্ষ কর্তৃক ঐরূপে উল্লেখিত ব্যক্তির স্বীকৃতি

দেওয়ানি মামলা কোন পক্ষ বিবাদ ভুক্ত কোন বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রকাশ্য ভাবে যে সমস্ত ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে, তাদের বিবৃতি স্বীকৃতি।

উদাহরণ -মামলার পক্ষ কর্তৃক ঐরূপে উল্লেখিত ব্যক্তির স্বীকৃতি

প্রশ্ন হচ্ছে ক কর্তৃক খ-এর কাছে বিক্রীত একটি ঘােড়া সুস্থ কিনা। ক খ-কে বলল, গ-এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসা কর, ‘গ’ ‘ক’ সম্পর্কে সবকিছু জানে। গ এর বিবৃতি স্বীকৃতি।

ধারা ২১ যে ব্যক্তি স্বীকার করে বা যার পক্ষ হতে স্বীকার করা হয় তার বিরুদ্ধে স্বীকৃতির প্রমাণ

স্বীকৃতিসমূহ প্রাসঙ্গিক এবং স্বকৃিতিকারী বা তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির বিপক্ষে তা প্রমাণ করা যেতে পারে, কিন্তু স্বীকৃতিকারী বা তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি কর্তৃক বা তার পক্ষ হতে তা নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ব্যতীত আর কোন ক্ষেত্রে প্রমাণ করা যাবে না:

(১) স্বীকৃতি যদি এরূপ প্রকৃতির হয় যে, স্বীকৃতিকারীর মৃত্যু হলে তা ৩২ ধারা মােতাবেক তৃতীয় পক্ষদের মধ্যে প্রাসঙ্গিক হবে, তা হলে স্বীকৃতিকারী বা তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি কর্তৃক বা তার পক্ষ হতে তা প্রমাণ করা যেতে পারে।

(২) স্বীকৃতিতে যদি মানসিক বা দৈহিক এমন কোন অবস্থার অস্তিত্ব সম্পর্কে বিবৃতি থাকে যা প্রাসঙ্গিক বা বিচার্য, এবং উক্ত মানসিক বা দৈহিক অবস্থা বিদ্যমান থাকা কালে যদি সে বিবৃতি দেয়া হয়ে থাকে, তৎসহ যদি এরূপ আচরণ প্রদর্শিত হয়ে থাকে যার ফলে উক্ত বিবৃতিকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে তা হলে স্বীকৃতিকারী কর্তৃক বা তার পক্ষ হতে তা প্রমাণ করা যেতে পারে ।

(৩) কোন স্বীকৃতি যদি স্বীকৃতি হিসাবে না হয়ে অন্যবিধ ভাবে প্রাসঙ্গিক হয়,তবে স্বীকৃতিকারী কর্তৃক বা তার পক্ষ হতে তা প্রমাণ করা যেতে পারে।

উদাহরণ -যে ব্যক্তি স্বীকার করে বা যার পক্ষ হতে স্বীকার করা হয় তার বিরুদ্ধে স্বীকৃতির প্রমাণ

(ক) ক ও খ-এর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে কোন একটি দলিল জাল কিনা। দলিলটি খাটি এ মর্মে খ-এর একটি বিবৃতি ক প্রমাণ করতে পারে, এবং দলিলটি জাল, এ মর্মে ক-এর একটি বিবৃতি খ প্রমাণ করতে পারে। কিন্ত দলিলটি খাঁটি এ মর্মে ক তার নিজের বিবৃতি প্রমাণ করতে পারে না, এবং দলিলটি জাল এ মর্মে খ তার নিজের বিবৃতি প্রমান করতে পারে না।

(খ) জাহাজের কাপ্তান ক জাহাজ পরিত্যাগ করেছে এ অভিযােগে তার বিচার হচ্ছে। এ মর্মে সাক্ষ্য দেয়া হয়েছে যে, জাহাজটিকে তার যথার্থ গতিপথ হতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ক তার স্বাভাবিক কার্যকলাপ প্রসঙ্গে যে কথা রেখেছিল তা উপস্থাপন করল। তাতে তার দৈনন্দিন মন্তব্য সমূহ লিপিবদ্ধ আছে বলে উল্লেখ করা হল এবং বলা হল যে ঐসব মন্তব্য হতে প্রতীয়মান হবে যে, জাহাজটিকে তার যথার্থ গতিপথ হতে সরিয়ে নেওয়া হয় নি। ক এ বিবৃতিগুলি প্রমাণ করতে পারে কারণ, তার মৃত্যু হলে ৩২ ধারার(২) অনুচ্ছেদ মােতাবেক ঐগুলি তৃতীয় পক্ষদের ব্যাপারে গ্রহণ যােগ্য সাক্ষ্য হবে।

(গ) চট্রগ্রামে একটি অপরাধ করার দায়ে ক অভিযুক্ত হয়েছে। ঢাকা হতে ঐ তারিখে তার লেখা এবং ঐ তারিখে ঢাকার ডাক চিহ্ন দেয়া একটি চিঠি সে উপস্থাপন করল। চিঠির তারিখের অন্তর্গত বিবৃতি গ্রহণযােগ্য কারণ, ক-এর মৃত্যু হলে ৩২ ধারায় (২) অনুচ্ছেদ মােতাবেক তা গ্রহণযােগ্য হবে।

(ঘ) চোরাই মাল বলে জানা সত্ত্বেও চোরাইমাল গ্রহণ করার দায়ে ক অভিযুক্ত হয়েছে। সে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, ঐ মালের প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা কম মূল্যে তা বিক্রয় করতে সে অস্বীকার করেছিল। এসব বিবৃতি স্বীকৃতি হলেও সে এগুলির প্রমাণ করতে পারে। কারণ, এগুলির মধ্যে বিচার্য ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত আচরণের ব্যাখ্যা আছে।

(ঙ) অচল মুদ্রা বলে জানা সত্ত্বেও প্রতারণামূলকভাবে অচল মুদ্রা স্বীয় দখলে রাখার দায়ে ক অভিযুক্ত হল । সে প্রমাণ করতে চায় যে, ঐ মুদ্রা অচল কিনা সন্দেহ হওয়ায় এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ একজন লােককে সে তা পরীক্ষা করতে বলেছিল এবং সে ব্যক্তি তা পরীক্ষা করে তাকে জানিয়েছেন যে, তা খাঁটি। পূর্ববর্তী উদাহরণে বর্ণিত কারণে ক এ ঘটনাগুলি প্রমাণ করতে পারে।

ধারা ২২ দলিলে অন্তর্ভুক্ত বিষয় সম্পর্কে মৌখিক স্বীকৃতি যখন প্রাসঙ্গিক

কোন দলিলে লিখিত বিষয় সম্পর্কে মৌখিক স্বীকৃতি প্রাসঙ্গিক হয় না, যদি না এবং যতক্ষন পর্যন্ত না যে পক্ষগুলি প্রমাণ করতে চায়, সেপক্ষে দেখায় যে, এ আইনে অত:পর বর্ণিত নিয়মনুসারে উক্ত দলিলে লিখিত বিষয় সম্পর্কে মাধ্যমিক স্বাক্ষ্য দেয়ার অধিকার তার আছে, অথবা যতক্ষন পর্যন্ত না হাজির কোন দলিলের খাঁটিত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন উঠে।

ধারা ২৩ দেওয়ানি মামলা স্বীকৃতি যখন প্রাসঙ্গিক

দেওয়ানি মামলায় কোন স্বীকৃতি যদি এরূপ প্রকাশ্য শর্তাধীনে করা হয় যে, তা সম্পর্কে কোন সাক্ষ্য দেয়া হবে না, অথবা যদি এরূপ পরিস্থিতিতে করা হয় যে, তা সম্পর্কে কোন স্বাক্ষ্য দেয়া হবে না বলে পক্ষগণের মধ্যে চুক্তি হয়েছে বলে আদালত অনুমাণ করতে পারে, তবে তা প্রাসঙ্গিক হবে না।

ব্যাখ্যা-কোন ব্যারিস্টার, উকিল অ্যাটর্নি বা উকিল ১২৬ ধারা মোতাবেক কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য থাকলে এই ধারার কোনো বিধান মোতাবেক তিনি সাক্ষ্য দেওয়া হতে অব্যাহতি পাবেন না।

ধারা ২৪ প্রলােভন, ভীতি প্রদর্শন বা প্রতিশ্রুতির দ্বারা স্বীকারােক্তি আদায় করা হলে ফৌজদারি মামলায় যখন তা অপ্রাসঙ্গিক

কোন ফৌজদারি মামলার আসামি তার বিরুদ্ধে আনীত কোন অভিযােগ সম্পর্কে কোন স্বীকারােক্তি করলে আদালতের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, ক্ষমতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তির দ্বারা প্রলােভন, ভীতি প্রদর্শন বা প্রতিশ্রুতি দানের ফলে আসামি উক্ত স্বীকারােক্তি করেছে এবং আদালত যদি মনে করেন যে, তার ফলে আসামি মামলায় পার্থিব কোন সুবিধা পাবে বা কোন অসুবিধা এড়াতে পারবে বলে তার ধারণা হবার যথেষ্ট কারণ ঘটেছিল তবে আসামির সে স্বীকারােক্তি অপ্রাসঙ্গিক।

ধারা ২৫ পুলিশ অফিসারের কাছে প্রদত্ত স্বীকারােক্তি প্রমাণ করা যাবে না

কোন অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি পুলিশ অফিসারের কাছে কোন স্বীকারােক্তি করে থাকলে তা তার বিরুদ্ধে প্রমাণ করা যাবে না।

ধারা ২৬ আসামি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে প্রদত্ত স্বকিারােক্তি তার বিরুদ্ধে প্রমাণ করা যাবে না

পুলিশ অফিসারের হেফাজতে থাকাকালে কোন ব্যক্তি কোন স্বীকারক্তি করলে, তা যদি কোন ম্যাজিস্ট্রেটের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে না হয়, তবে তা ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রমাণ করা হবে না।

ব্যাখ্যাঃ এ ধারার “ম্যাজিস্ট্রেট” বলতে ম্যাজিস্ট্রেটের কার্য সম্পাদনকারী গ্রাম্য প্রধানকে বুঝাবে না। তবে গ্রাম্য প্রধান যদি ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি মােতাবেক ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যাদি সম্পাদন করেন তবে তাকে পাঠাবে।

ধারা ২৭ আসামির কাছে হতে প্রাপ্ত তথ্য যতটা প্রমাণ করা যেতে পারে

তবে, কোন ঘটনা সম্পর্কে যদি সাক্ষ্য পাওয়া যায় যে, কোন অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি পুলিশ অফিসারের হেফাজতে থাকা কালে তার কাছে হতে প্রাপ্ত তথ্যের ফলে ঘটনাটি উদঘাটিত হয়েছে, তা হলে তথ্যের যে অংশ উদঘাটিত ঘটনার সাথে স্পষ্টরূপে সংশ্লিষ্ট তা স্বীকারােক্তি হােক বা না হােক প্রমাণ করা যেতে পারে।

ধারা ২৮ প্রলােভন, ভীতি ও প্রতিশ্রুতি জনিত ধারণা অপসারণের পর প্রদত্ত স্বীকারােক্তি প্রাসঙ্গিক

যেরুপ স্বীকারােক্তির বিষয় ২৪ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, তদ্রুপ স্বীকারােক্তি যদি প্রলােভন, ভীতি প্রদর্শন বা প্রতিশ্রুতিদানের ফলে সৃষ্ট ধারণা আদালতের মতে পুরাপুরি অপসারিত হবার পর করা হয়, তবে তা প্রসাঙ্গিক।

ধারা ২৯ স্বীকারােক্তি অন্যভাবে প্রাসঙ্গিক হলে কেবল গােপনীয়তার প্রতিশ্রুতি ইত্যাদির দরুন তা অপপ্রাসঙ্গিক হবে না

অনুরূপ স্বীকারােক্তি যদি অন্যভাবে প্রাসঙ্গিক হয়, তবে কেবলমাত্র এ কারণেই তা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, গােপনীয়তার প্রতিশ্রুতিতে করা হয়েছে, অথবা আসামির উপর প্রতারণা করে তা আদায় করা হয়েছে অথবা সে মাতাল থাকাকালে উক্ত স্বীকারােক্তি করেছে, অথবা যে প্রশ্নের উত্তর দিতে আসামি বাধ্য নয়; যে আকারেই সে প্রশ্ন করা হয়ে থাকুক, তার উত্তরে সে যে স্বীকারােক্তি করেছে, অথবা সে যে অনুরূপ স্বীকারােক্তি করতে বাধ্য নয় এবং স্বীকারােক্তি করেছে, অথবা সে যে অনুরূপ স্বীকারােক্তি করতে বাধ্য নয় এবং স্বীকারােক্তি তার বিরদ্ধে স্বাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার হতে পারে সে বিষয় তাকে সতর্ক করে না দেয়ার ফলে সে উক্ত স্বীকারােক্তি করেছে।

ধারা ৩০: প্রমাণিত যে স্বীকারােক্তি উক্ত স্বীকারকারী ও তার সাথে একই অপরাধে যৌথভাবে বিচারধীন ব্যক্তিকে প্রভাবিত করে তা বিবেচনা

যেক্ষেত্রে একই অপরাধে একাধিক ব্যক্তি যৌথভাবে বিচার হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে একজনের স্বীকারােক্তি, যাদ্বারা সে নিজেকে ও অন্যকে জড়িত করেছে, তা প্রমাণ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে আদালত উক্ত স্বীকারােক্তিকারী ও অন্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সে স্বীকারােক্তি বিবেচনা করতে পারেন।

ব্যাখ্যা এ ধারায় ব্যবহৃত অপরাধ বলতে সে অপরাধ করার সহায়তা দান ও অপরাধ করার চেষ্টাও বুঝাবে।

উদাহরণ সহযোগী অপরাধীদের বিচার

(ক) গ-কে হত্যা করার অপরাধে ক ও খ-এর যৌথভাবে বিচার হচ্ছে প্রমাণ করা হয়েছে যে, ক বলে ছিল, খ ও আমি গ-কে হত্যা করেছি। প্রমাণ করা হয়েছে যে, ক বলে ছিল, খ ও আমি গ-কে হত্যা করেছি। আদালত খ-এর বিরুদ্ধে এ স্বীকারােক্তির বিবেচনা করতে পারেন।

(খ) গ-কে হত্যা করার অপরাধে ক-এর বিচার হচ্ছে। সাক্ষ্য আছে যে ক ও খ কর্তৃক গ নিহত হয়েছে এবং খ বলেছে “ক ও আমি গ-কে হত্যা করেছি” এক্ষেত্রে আদালত খ-এর উক্ত বিবৃতি ক-এর বিরুদ্ধে বিবেচনা করতে পারেন না ও করতে পারেন। কারন, ক-এর সাথে যৌথভাবে খ-এর বিচার হচ্ছে না ।

ধারা ৩১ স্বীকৃতি চূড়ান্ত প্রমাণ নয়, তবে প্রমানে বাধা সৃষ্টি করতে পারে

কোন বিষয়ে স্বীকৃতিই সে বিষয় সম্পর্কে চূড়ান্ত প্রমান নয়। তবে এ আইনে অত:পর বর্ণিত বিধানসমূহ মােতাবেক তা স্বীকৃতিজনিত বাধা হিসাবে বলবৎ হতে পারে।

Popular Posts

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...

চার্জ গঠন কাকে বলে চার্জ গঠনের উদ্দেশ্যে ও চার্জে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে

 ভিডিও শর্ট নোটস্ অন ল - চার্জ ও চার্জ গঠন কাকে বলে?  চার্জ গঠনের উদ্দেশ্যে ও চার্জে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে?  কখন বিভিন্ন অপরাধের চার্জ ও বিচার একসাথে করা যায় ও কখন করা যায় না?  ত্রুটিপূর্ণ চার্জ গঠনের ফলাফল কি?  চার্জশিট ব্যাতিত বিচার বৈধ কিনা।  কখন আসামিকে অব্যহতি দেয়া হয়? Video Short Notes on Law.  What is charge and what is framing of charge?  What is the aim of framing of charge?  What things are included in the charge?  When several charges can be framed and tried at the same time and when not possible?  What is the result of faulty charge?  Whether trial is valid without charge sheet.  When the defendant is discharged from guilt. প্রশ্ন: চার্জ (charge) কাকে বলে? উত্তর: ফৌজদারি কার্যবিধির ৪ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী-কোন চার্জ একাধিক দফা সম্বলিত হলে সেই দফা সমূহের যে কোন একটি দফা চারজন অন্তর্ভুক্ত হবে। (Charge includes any head of charge when the charge contains more its than one.) অন্যভাবে বলা যায় -কোন অপরাধীকে...