Skip to main content

আদেশে ১১ প্রশ্নমালা দ্বারা উদঘাটন দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

Order 11 Discovery and Inspection Civil Procedure Code

আদেশে ১১ প্রশ্নমালা দ্বারা উদঘাটন দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

বিধি ১ প্রশ্নমালা দ্বারা উদঘাটন

কোন মামলায় বাদী বা বিবাদীপক্ষ অপর পক্ষগুলােকে বা তাদের ভিতর একজন বা একাধিক জনকে পরীক্ষা করার জন্য আদালতের অনুমতিক্রমে, বিচার্য বিষয় প্রণয়নের তারিখ হতে দশ দিনের ভিতর লিখিতরূপে প্রশ্নমালা প্রদান করতে পারে এবং অনুরূপ প্রশ্নমালা প্রদান করা হলে তার ভিতর কোন কোন প্রশ্নের উত্তর অনুরূপ লােকের কাউকে প্রদান করতে হবে তা প্রশ্নমালার পাদটিকায় লিখিত থাকবে। তবে শর্ত হল যে, কোন পক্ষ অপর পক্ষকে আদালতের আদেশ ছাড়া এক প্রস্থের বেশি প্রশ্নমালা প্রদান করবে না। তবে আরও শর্ত থাকে যে, মামলার সাথে কোনভাবেই সম্পর্কীত নয়, এরূপ প্রশ্নমালা সাক্ষীর মৌখিক জেরায় জিজ্ঞাসা করা চলিলেও এইক্ষেত্রে তা অবান্তর বলে পরিগণিত হবে।

আদেশে ১১ বিধি ১ এর বিশ্লেষণ (Discovery and Inspection)

মােকদ্দমার এক পক্ষ অপর পক্ষকে মামলার বিষয়ে লিখিতভাবে প্রশ্ন করতে পারেন এবং উক্ত প্রশ্নের প্রেক্ষিতে অপর পক্ষকেও লিখিত ভাবে উত্তর দিতে হয়। এরুপ প্রশ্নের মাধ্যমে কোন ঘটনার উদঘাটন করা হয়। আরজি ও লিখিত বর্ণনার মাধ্যমে মামলা সম্পূর্ণরুপে স্পষ্ট নাও হতে পারে। এইজন্য এই বিধান সংযােজিত হয়েছে। কারন একটি মামলার পক্ষগণকে মামলার প্রকৃত বিষয়ে যাবতীয় তথ্য ন্যায়বিচারের প্রয়ােজনে সঠিক সময়ে জানা দরকার। আদেশ ১১ বিধান মতে, বাদি বা বিবাদী আদালতের অনুমতি নিয়ে লিখিতভাবে প্রতিপক্ষকে প্রশ্ন করতে পারেন। আদালত এরুপ প্রশ্নমালা মঞ্জুর করতে পারেন ন্যায়বিচার ও খরচ বাঁচানাের স্বার্থে।

এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষের দলিল প্রকাশ করতে বাধ্য করার জন্য বা দলিল পর্যালােচনা করার বা পড়ার বা উহার নকল নেওয়ার অনুমতির জন্য আদালতে প্রার্থনা করতে পারেন। ইহাকে দলিল উদঘাটন বলে।

আরজি-জবাব বা দরখাস্তে বা এফিডেভিটটে যদি কোন দলিলের বিষয় উল্লেখ করা হয়, তবে অপর পক্ষ, উক্ত দলিল পরিদর্শনের (Inspection) বা নকল পাবার জন্য প্রতিপক্ষকে নােটিশ প্রদান করতে পারেন, যদি নােটিশ অমান্য করেন, তবে পরিবর্তিতে উক্ত দলিল স্বপক্ষে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেনা। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে আদালত অনুমতি দিতে পারেন। নােটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে নােটিশ প্রদানকারি পক্ষকে জানতে হবে একটি নােটিশের মাধ্যমে যে ৩ দিনের মধ্যে তারা উকিলের কার্যালয় এসে দলিল পরিদর্শন। করতে পারবেন।

প্রশ্নমালার মাধ্যমে উদঘাটন Discovery by Interrogatories সীমাবদ্ধতা

দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-১১ এর বিধি-১ এ বলা হয়েছে যে, মামলায় বাদী কিংবা বিবাদীপক্ষ অপর পক্ষসমূহকে অথবা তাদের মধ্যে একজন একাধিক জনকে পরীক্ষা করার জন্য আদালতের অনুমতিক্রমে, বিচার্য বিষয় প্রণয়নের তারিখ হতে দশ দিনের মধ্যে লিখিতরূপে প্রশ্নমালা প্রদান করতে পারে এবং অনুরূপ প্রশ্নমালা প্রদান করা হলে উহার মধ্যে কোন্ কোন্ প্রশ্নের উত্তর অনুরূপ ব্যক্তির কাউকে প্রদান করতে হবে তা প্রশ্নমালার পাদটিকায় লিখিত থাকবে।ত বে নিম্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করা যাবে না?

(১) একটি পক্ষ এমন তথ্য উদঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না যা প্রতিপক্ষের মামলার বা স্বত্বগণের জন্য একচেটিয়াভাবে স্বাক্ষ্য গঠন করে।

(২) প্রশ্নমালা ঘটনার প্রশ্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে আইনের প্রশ্নের মধ্যে নয়।

(৩) কোন পক্ষ তার প্রতিপক্ষ ও তার আইনজীবীর মধ্যে আলােচনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেনা।

(৪) যে সমস্ত প্রশ্নমালা জেরার প্রকৃতির সে সমস্ত প্রশ্নমালা করা যাবে না।

(৫) জনস্বার্থের পরিপন্থী এমন কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না।

(৬) যে উদঘাটন অপরিপক্ক প্রতীয়মান হয়। একটি উদঘাটন তখনই অপরিপক্ক হয় যখন উদঘটন করার অধিকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মামলার কোন বিচার্য বিষয়ের‌ নিস্পত্তি করা অধিকতর কাম্য হয়।

(৭) প্রশ্নমালা কেবলমাত্র মামলার প্রতিদ্বন্ধীতাকারীর বিরুদ্ধ পক্ষের প্রতি করা যেতে পারে। একতরফা বিবাদীর প্রতি প্রশ্নমালা করা যায় না।

(৮) জিজ্ঞাসাবাদটি অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট ও বিদ্যমান পরিবেশের দিকে ইঙ্গিত করবে।

কোন পক্ষ তার বিপক্ষে এই মর্মে প্রশ্ন করতে পারেন যে, তিনি কোন তথ্যসমূহের উপর নির্ভর করেন এবং তাকে কি মামলার মুখােমুখি হতে হবে এবং তা আরজি জবাবে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে এবং প্রকৃত বিচার্য বিষয় কি তাও উদঘাটন করতে হবে।

আদেশ ১১ বিধি ২ বিশেষ প্রশ্নমালা পেশ করতে হয়

প্রশ্নমালা প্রদানের অনুমতির জন্য প্রস্তাবিত নির্ধারিত প্রশ্নমালা আদালতে পেশ করতে হবে এবং আদালত উক্ত দরখাস্ত দাখিলের চৌদ্দ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এরপ দরখাস্তের উপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় যে পক্ষকে অপর পক্ষ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, সে পক্ষ যদি কোন বিবরণ প্রদানের বা স্বীকার করার যা মামলার প্রশ্ন বা তাদের কোন বিতর্কিত বিষয় সম্পর্কীত কোন দলিল হাজির করার প্রস্তাব বা তাদের যে কোন প্রস্তাব আদালত বিবেচনা করে দেখবে এবং মামলার সুষ্ঠু বিচারের জন্য বা ব্যয় বাঁচানাের জন্য যেগুলাে দরকার বলে আদালত মনে করেন, কেবল সে প্রশ্নগুলাে পেশ করার নিমিত্ত আদালত অনুমতি প্রদান করবে। [২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

আদেশ ১১ বিধি ৩ প্রশ্নমালার খরচ

মােকদ্দমার খরচ সমন্বয়করণে কোন পক্ষের অনুরােধক্রমে অনুরূপ প্রশ্নমালা উপস্থাপনের যথার্থতা অনুসন্ধান করে দেখা হবে, এবং অনুসন্ধানের জন্য দরখাস্ত বা দরখাস্ত ছাড়া যদি কর কর্মকর্তার বা আদালতের এটা অভিমত হয় যে অনুরূপ প্রশ্নমালা অযৌক্তিকভাবে বা বিরক্তিকর ভাবে বা অযথা দীর্ঘ অবস্থায় উপস্থাপিত হয়েছে, তা হলে উক্ত প্রশ্নমালা ও তাদের উত্তর বিষয়ক খরচাগুলাে ত্রুটির জন্য দায়ী পক্ষ মারফত যে কোন খাতে বহন করা হবে।

আদেশ ১১ বিধি ৪ প্রশ্নমালার ফরম

পরিস্থিতি অনুযায়ী যে রকম দরকার হয়, সে রকম রদবদলের সঙ্গে গ’ পরিশিষ্টের। ২ নম্বর ফরম সম্বলিত হবে।

আদেশ ১১ বিধি ৫ আইন দ্বারা গঠিত সংস্থা

যেক্ষেত্রে নিবন্ধিত হােক বা না হােক, মামলার কোন পক্ষ এর নিজস্ব নামে বা কোন কর্মকর্তার নামে বা অপর কোন লােকের নামে মামলা করতে বা মামলার সম্মুখীন হতে আইনত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্পোরেশন বা ব্যক্তিবর্গ সমন্বয়ে কোন সংস্থা হয়, সেক্ষেত্রে কোন অপর পক্ষ অনুরূপ কর্পোরেশন বা সংস্থার কোন সদস্য বা কর্মকর্তাকে প্রশ্নমালা প্রদান করার জন্য অনুমতি চাহিয়া দরখাস্ত করতে পারে এবং তদুনুসারে আদেশ প্রদান করা যেতে পারে।

আদেশ ১১ বিধি ৬ প্রশ্নমালায় উত্তরদানের দ্বারা আপত্তি প্রদান

কোন প্রশ্নমালা কুৎসামূলক বা অবান্তর বা মামলার উদ্দেশ্যে সরল বিশ্বাসে উত্থাপিত হয় নাই বা জিজ্ঞাসিত বিষয়টি মামলার এই পর্যায়ে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নয়-এইরূপ কারণে প্রশ্নমালার উত্তরদানে কোন আপত্তি দিতে চাইলে উত্তরদানের ভিতর শপথপত্র প্রদান করা যেতে পারে।

আদেশ ১১ বিধি ৭ প্রশ্নমালা রদ এবং কর্তন

কোন প্রশ্নমালা অযৌক্তিকভাবে বা বিরক্তিকরভাবে উত্থাপিত হয়েছে-এই অজুহাতে তা রদ করা যেতে পারে, বা তা দীর্ঘ ও শব্দ বহুল, যাতনাদায়ক, অনাবশ্যকীয় বা কুৎসামূলক বলে কর্তন করা যেতে পারে এবং এতদুদ্দেশ্যে যে কোন দরখাস্ত করতে হলে প্রশ্নমালা জারির সাতদিনের ভিতর পেশ করা যেতে পারে।

আদেশ ১১ বিধি ৮ উত্তরযুক্ত শপথনামা পেশ

দশ দিনের ভিতর বা আদালত অনুমােদন করতে পারে - এইরূপ অপর সময়ের ভিতর শপথনামা দাখিলের দ্বারা প্রশ্নমালার উত্তর দিতে হবে।

আদেশ ১১ বিধি ৯ উত্তরযুক্ত শপথনামার ফরম

পরিস্থিতির আলােকে যে রকম দরকার হয়, সে রকম রদবদলসহ প্রশ্নমালার উত্তরদানে ‘গ’ পরিশিষ্টে ৩ নম্বর ফরমে শপথনামা হতে হবে।

আদেশ ১১ বিধি ১০ আপত্তির কোন ব্যতিক্রম গ্রহণ করা চলবে না

উত্তরযুক্ত শপথনামায় কোন আপত্তি প্রদান চলবে না, কিন্তু এরূপ শপথনামার পর্যাপ্ততা বা অপর কিছু সম্পর্কে আপত্তি করা হলে তার অপর্যাপ্ততা আদালত দ্বারা নির্ধারিত হবে।

আদেশ ১১ বিধি ১১ উত্তম বা অতিরিক্ত উত্তর প্রদানের জন্য আদেশ

কোন লােককে প্রশ্ন করা হলে সে যদি উত্তর না দেয় বা অপর্যাপ্তভাবে উত্তরদান করে, সে ক্ষেত্রে সে লােককে উত্তর দিতে বা অধিকতর উত্তর দেয়ার আদেশ প্রদান করার জন্য প্রশ্নকারী পক্ষ আদালতে দরখাস্ত করতে পারে এবং আদালত নির্দেশ দিতে পারে এরূপ শপথনামা বা মৌখিক পরীক্ষা দ্বারা তাকে উত্তর দিতে বা অতিরিক্ত উত্তর দিতে তলব করে আদেশ প্রদান করা যেতে পারে।

আদেশ ১১ বিধি ১১ বিশ্লেষণ

অকালীয় উদঘাটন কি

অকালীয় উদঘাটন সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-১১ এর বিধি ২০ এ বিধান রাখা হয়েছে। উক্ত বিধিতে বলা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে কোন পক্ষের নিকট হতে কোন দলিলের উদঘাটন কিংবা পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হলে সে পক্ষ যদি সে আদেশ সম্পর্কে কিংবা তাতে আংশিকভাবে আপত্তি করে, সেক্ষেত্রে আদালত যদি মনে করে যে, উহা উদঘাটন কিংবা পরিদর্শন করার অধিকার মামলার বিচার্য বিষয় অথবা বিরােধীয় কোন প্রশ্নে নিষ্পত্তির উপর নির্ভর করে, অথবা যদি অন্য কোন কারণে উদঘাটন বা পরিদর্শনের অধিকার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে মামলার কোন বিচার্য বিষয় বা বিরােধীয় প্রশ্নে নিষ্পত্তি হওয়া বাঞ্ছনীয় মনে করা হয়, তবে আদালত উদঘাটন বা পরিদর্শনের প্রশ্ন সংরক্ষিত রাখিয়া প্রথমে উক্ত বিচার্য বিষয় বা বিরােধীয় বিষয়টি নির্ধারণ করার আদেশ প্রদান করতে পারে।

আদেশ ১১ বিধি ১২ দলিল উদঘাটনের জন্য আবেদনপত্র

 মামলায় বিতর্কিত কোন প্রশ্ন বিষয়ক কোন মামলার অপর পক্ষের হস্তগত আয়ত্তাধীন বা ক্ষমতায় আছে বা ছিল, অনুরূপ দলিলসমূহের শপথপূর্বক উদঘাটন করতে উক্ত অপরপক্ষকে নির্দেশমূলক আদেশ প্রদানের জন্য কোন পক্ষ শপথনামা ব্যতীতই আদালতে দরখাস্ত করতে পারবে।‌ আদালত এরূপ দরখাস্ত সম্পর্কে শুনানীর পর যদি সতুষ্ট হন যে, অনুরূপ উদঘাটন দরকার হয় না বা মামলার অনুরূপ পর্যায়ে দরকার নাই তবে আদালত সে আদেশ অস্বীকার বা স্থগিত করতে পারেন, বা সাধারণভাবে বা সীমিত কোন শ্রেণির দলিল সম্পর্কে যেরূপ সঙ্গত মনে করেন, সেরূপ আদেশ প্রদান করতে পারেন। তবে শর্ত হল যে, যখন এবং যে ক্ষেত্রে আদালতের এই মত হবে যে মামলা সুষ্ঠু বিচারের জন্য বা মামলার খরচ বাঁচানাের জন্য এর দরকার নাই সে ক্ষেত্রে উদঘাটনের জন্য আদেশ প্রদান করবে না।

আদেশ ১১ বিধি ১৩ দলিলাদি সম্পর্কে শপথনামা

শেষ পূর্ববর্তী নিয়মে বর্ণিত আদেশ যাহা যে পক্ষের বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে উক্ত পক্ষ দ্বারা প্রদত্ত শপথনামায় তাতে বর্ণিত দলিল সমূহের কোনটি (যদি কোন) সে পক্ষ পেশ করতে আপত্তি করে তা উল্লেখ করবে এবং তা পরিস্থিতি অনুযায়ী রদবদল সহ ‘গ’ পরিশিষ্টে ৫ নম্বর ফরমে সম্বলিত হতে হবে।

আদেশ ১১ বিধি ১৪ দলিলাদি পেশ

কোন মামলা বিচারাধীন থাকাকালে যে কোন সময় কোন পক্ষ দ্বারা আদালত যথােপযুক্ত মনে করবে এরূপ উক্ত মামলা কোন বিতর্কিত বিষয় সম্পর্কিত তার আয়ত্তাধীন দলিলগুলাে, শপথমূলে পেশ করার আদেশ প্রদান করা আদালতের পক্ষে আইনসংগত হবে; এবং পেশ করা হলে ন্যায়সঙ্গত হৰে। এরূপ প্রক্রিয়ায় আদালত উক্ত দলিলগুলাে সম্পর্কে বিবেচনা করতে পারে।

আদেশ ১১ বিধি ১৫ আরজি জবাব বা শপথনামায় বর্ণিত দলিলপত্র পরিদর্শন

মােকদ্দমার প্রত্যেক পক্ষ অপর পক্ষের আরজি জবাব বা শপথনামায় কোন দলিলের বিষয় উল্লেখ আছে, সে পক্ষকে তা উক্ত পক্ষের নােটিশদাতা বা তার আইনজীবীর পরিদর্শনের জন্য এবং তাকে বা তাদেরকে তার নকল নেওয়ার জন্য অনুমতি প্রদান করার জন্য নােটিশ দান করতে যে কোন সময় অধিকারী হবে; এবং যদি সে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে না পারে যে সে মামলার বিবাদী হয়ে উক্ত দলিলাদি শুধুমাত্র তার নিজস্ব স্বত্ব সম্পর্কিত বা অনুরূপ নােটিশ মান্য না করার জন্য আদালত পর্যাপ্ত মনে করবে অনুরূপ তার আরাে অপর কারণ বা অব্যাহতি পাওয়ার কারণ ছিল এবং যে ক্ষেত্রে আদালত যথেষ্ট মনে করবে এরূপ আদালত খরচা এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত যথাযথ শর্ত সাপেক্ষে আদালত তা সাক্ষ্যে প্রয়ােগ করার জন্য অনুমতি প্রদান করতে পারে, তবে‌ কোন পক্ষ এরূপ নােটিশ না মানিলে সে মামলায় তার নিজের পক্ষে সাক্ষ্যে অনুরূপ কোন দলিল পরবর্তী কোন সময় প্রয়ােগ করতে পরিবে না।

আদেশ ১১ বিধি ১৬ পেশ করতে নােটিশ

কোন পক্ষের আরজি জবাব বা শপথপত্রে বর্ণিত দলিলাদি পেশ করার নােটিশ অবস্থাভেদে রদ-বদলসহ ‘গ’ পরিশিষ্টে বর্ণিত ৭ নম্বর ফরমে সম্বলিত হতে হবে।

আদেশ ১১ বিধি ১৭ যখন নোটিশ প্রদান করা হয় তখন পরিদর্শনের সময়

যেই পক্ষকে উক্ত নােটিশ দেয়া হবে, সে পক্ষ উক্ত নােটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের ভিতর নােটিশদাতা পক্ষ সমীপে (নােটিশে), বর্ণিত দলিলাদি বা সেগুলির যা পেশ করতে সে আপত্তি করবে না, সেগুলি তার আইনজীবীর দপ্তরে পরিদর্শন করতে পারে বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হিসাব বহি বা অপর কোন হিসাব বহি বা বাণিজ্যের লক্ষ্যে সর্বক্ষণ ব্যবহৃত কোন বহি উহাদের রক্ষিত সাধারণ জায়গায় পরিদর্শন করতে পারে এরূপ বর্ণনা করে নােটিশ প্রদানের ৩ দিনের ভিতর সময় উল্লেখে এবং দলিলাদির কোনটি (যদি কোন) পেশ করতে সে আপত্তি করে এবং কি অজুহাতে তা উল্লেখে নােটিশ দিবে। এরূপ‌ নােটিশ পরিস্থিতির স্বার্থে দরকারি হতে এরূপ রদবদলসহ ‘গ' পরিশিষ্টের ৮নং ফরমে হতে হবে।

আদেশ ১১ বিধি ১৮ পরিদর্শনের জন্য আদেশ

১) যে ক্ষেত্রে ১৫ বিধির অধীনে নােটিশ প্রাপ্ত পক্ষ পরিদর্শনের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে অনুরূপ দেয়ার সময় বাদ দেয় বা পরিদর্শনের সুযােগ প্রদানে আপত্তি করে, বা তার আইনজীবীর দপ্তর ছাড়া অপর স্থানে পরিদর্শনের প্রস্তাব করে, সে ক্ষেত্রে পরিদর্শন করতে আগ্রহী পক্ষের আবেদনক্রমে আদালত যথার্থ মনে করতে পারে এরূপ স্থানে এবং এরূপ পন্থায় পরিদর্শনের আদেশ প্রদান করতে পারেন। তবে শর্ত হল যে, যখন এবং যে ক্ষেত্রে আদালত যদি মনে করে যে, মামলা সুবিচারের জন্য বা মামলার খরচ বাঁচানাের জন্য এর দরকার নাই, সে ক্ষেত্রে সেরূপ আদেশ প্রদান করা যাবে না।

২) আরজি জবাবে বর্ণিত দলিল ছাড়া দলিলাদি, যে পক্ষের বিপক্ষে দরখাস্ত করা হয় বা তার দলিলাদির শপথনামায় প্রকাশিত হয়, সে পক্ষের বিবরণী বা শপথনামা পরিদর্শন করার জন্য কোন আবেদনপত্র, কোন দলিলের পরিদর্শন প্রার্থিত হয় তা দর্শানাের মাধ্যমে, দরখাস্তকারী পক্ষ তা পরিদর্শন করতে অধিকারী বলে এবং উহারা (দলিলগুলাে) অপর পক্ষের আওতাধীনে এবং ক্ষমতায় রয়েছে হিসেবে শপথনামা মূলে ভিত্তিযুক্ত হতে হবে। যখন এবং যে ক্ষেত্রে আদালত যদি মনে করে যে, মামলাটির সুষ্ঠু বিচারের জন্য বা খরচ বাঁচাইবার জন্য এর দরকার নাই সেক্ষেত্রে আদালত উক্ত দলিলগুলি পরিদর্শনের জন্য অনুরূপ আদেশ দান করবে না।

দলিল প্রদর্শনের আদেশ বিষয়ক উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ

Chunilal Vs. D.

মােকদ্দমার কর্মক্রমে দলিল প্রাসঙ্গিক হলে তা পরিদর্শনের আদেশ প্রদান করা যাবে অন্যথায় নয়। দলিল প্রাসঙ্গিক তা স্বীকৃত না হলে তা প্রমাণ করতে হবে এবং তা হলফনামার দ্বারা প্রমাণ করা যাবে। দলিল প্রাসঙ্গিক তা হলফনামায় উল্লেখ করলেও আদালত পরিদর্শনের আদেশ প্রদান করতে বাধ্য নন।

আদেশ ১১ বিধি ১৯ সত্যতা প্রতিপাদনকৃত নকল

১) যেক্ষেত্রে কোন ব্যবসা সম্পর্কিত হিসাব বহি পরিদর্শনের জন্য দরখাস্ত করা হয়, তদক্ষেত্রে আদালত যথাযথ মনে করলে মূল বহি পরিদর্শনের আদেশের পরিবর্তে যে লােক মূল লিখনের সঙ্গে সব পরীক্ষা করেছে উক্ত লােকের দ্বারা শপথনামা মূলে পেশ এবং পরীক্ষিত কোন লিখনের নকলের জন্য আদেশ প্রদান করতে পারে এবং উক্তরূপ শপথনামায় মূল বহিতে কোন এবং কি মুছানাে, পংক্তির ভিতর কিছু লেখা বা পরিবর্তন আছে বা না আছে তা বর্ণনা করতে পারে। তবে শর্ত হল যে, অনুরূপ নকল সরবরাহ করা হলেও যে বহি হতে নকল নেওয়া হয়েছিল, আদালত উক্ত বহি পরিদর্শনের আদেশ প্রদান করতে পারে।

২) যে ক্ষেত্রে পরিদর্শন করতে আদেশের জন্য আবেদনে কোন দলিল সম্পর্কে বিশেষ অধিকার দাবি করা হয়, ক্ষে উক্তরূপ বিশেষ অধিকার দাবির বৈধতা নিরূপনের উদ্দেশ্যে আদালত যদি সে দলিল পরিদর্শন করেন, তবে তা আইনসঙ্গত হবে ।

৩) যেকোন সময় মামলার কোন পক্ষের আবেদনক্রমে এবং দলিলের জন্য শপথনামায় ইতিপূর্বে আদেশ বা আদেশ প্রদান করা হয়ে থাকুক বা না থাকুক, আদালত অপর পক্ষের দখলে বা ক্ষমতায় কোন একটি বা একাধিক সুনির্দিষ্ট দলিল তার হস্তগত বা আয়ত্তাধীন আছে বা আছে কিনা এবং যদি তখন তার হস্তগত না থাকে, তবে কখন তা দখলচ্যুত হয়েছিল এবং তাতে কি হয়েছে, তা আবেদনে উল্লেখ করে শপথনামার দ্বারা অপর পক্ষকে বর্ণনা করতে আদেশ প্রদান করতে পারে। শপথকারীর বিশ্বাসমতে যে পক্ষের বিরুদ্ধে দরখাস্ত করা হয়েছে, দরখাস্ত পত্রে বর্ণিত দলিল বা দলিলগুলাে সে পক্ষের দখলে বা ক্ষমতায় আছে এবং উহারা মামলার বিতর্কিত বিষয় সম্পর্কিত বা উহাদের কতক সম্পর্কিত বলে বর্ণনা করে শপথনামার দ্বারা অনুরূপ দরখাস্ত করতে হবে।

আদেশ ১১ বিধি ২০ অকালীয় উদঘাটন Premature Discovery

যেই ক্ষেত্রে কোন পক্ষের কাছে হতে কোন দলিলের উদঘাটন বা পরিদর্শনের নির্দেশ দেয়া হলে সে পক্ষ যদি সে আদেশ সম্পর্কে বা তাতে আংশিকভাবে আপত্তি করে, সে ক্ষেত্রে আদালত যদি মনে করে যে, তা উদঘাটন বা পরিদর্শন করার অধিকার মামলার বিচার্য বিষয় বা বিরােধীয় কোন প্রশ্নে নিস্পত্তির উপর নির্ভর করে, বা যদি অপর কোন কারণে উদঘাটন বা পরিদর্শনের অধিকার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে মামলার কোন বিচার্য বিষয় বা বিরােধীয় প্রশ্নে নিস্পত্তি হওয়া বাঞ্ছনীয় মনে করা হয়, তা হলে আদালত উদঘাটন বা পরিদর্শনের প্রশ্ন সংরক্ষিত রেখে প্রথমে উক্ত বিচার্য বিষয় বা বিরােধীর বিষয়টি ধার্য করার আদেশ প্রদান করতে পারে।

আদেশ ১১ বিধি ২১ আদেশ অমান্যকরণ

যেই ক্ষেত্রে কোন পক্ষ প্রশ্নমালার উত্তর প্রদানের বা দলিলসমূহের উদঘাটন বা পরিদর্শনের জন্য কোন আদেশ পালন করতে ব্যর্থ হয়, তদক্ষেত্রে সে যদি বাদী হয়, তবে পরিচালনার অভাবে তার মামলা খারিজ হবার জন্য সে দায়ী হবে, এবং যদি বিবাদী হয় তবে তার যদি কোন জবাব থাকে, তা কর্তন হওয়ার জন্য সে দায়ী হবে এবং সে যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নাই এরূপ পরিস্থিতিতে স্থিত হবে এবং প্রশ্নকারী পক্ষ বা উদঘাটন বা পরিদর্শন দরখাস্তকারী উক্ত মর্মে আদেশের জন্য আদালতে দরখাস্ত করবে এবং তদনুযায়ী আদালত আদেশ প্রদান করতে পারবে ।

আদেশ ১১ বিধি ২১ আদেশ অমান্যকরণ বিধির বিশ্লেষণ

কোন প্রশ্নমালার উত্তর দান বা দলিলসমূহ উদঘটনের জন্য কোন আদেশ অমান্য করলে কি হবে

কোন প্রশ্নমালার উত্তর দান বা দলিলসমূহ উদঘটনের জন্য কোন আদেশ অমান্য করলে কি হবে-এই সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-১১ এর বিধি-২১ এ বিধান রাখা হয়েছে। উক্ত বিধি অনুযায়ী, যেক্ষেত্রে কোন পক্ষ প্রশ্নমালার উত্তর দানের বা দলিলসমূহের উদঘাটন বা পরিদর্শনের জন্য কোন আদেশ পালন করতে ব্যর্থ হয়, তদক্ষেত্রে সে যদি বাদী হয়, তবে পরিচালনার অভাবে তার মামলা খারিজ হওয়ার জন্য সে দায়ী হবে, এবং যদি বিবাদী হয়, তবে তার যদি কোন জবাব থাকে, উহা কর্তন হওয়ার নিমিত্তে সে দায়ী হবে এবং সে যেন আত্মপক্ষ সমর্থন করে নাই এরূপ পরিস্থিতিতে স্থিত হবে এবং প্রশ্নকারী পক্ষ কিংবা উদঘাটন বা পরিদর্শন প্রার্থণাকারী উক্ত মর্মে আদেশের জন্য আদালতে আবেদন করবে এবং তদনুযায়ী আদালত আদেশ প্রদান করতে পারবে।

আদেশ ১১ বিধি ২২ বিচারকালীন সময়ে প্রশ্নমালা উত্তরের প্রয়ােগ

মােকদ্দমার বিচারের সময় কোন পক্ষ উত্তরের অন্যান্য সমগ্র অংশ প্রয়ােগ না করে প্রশ্নমালার অপর পক্ষের উত্তরসমূহের কোন একটি বা একাধিক বা উত্তরের যে কোন অংশ সাক্ষ্যে প্রমাণ স্বরূপ ব্যবহার করতে পারবে। তবে সর্বসময় শর্ত থাকে যে, এরূপ ক্ষেত্রে আদালত উত্তরের সমগ্র অংশ দৃষ্টিপাত করতে পারে এবং আদালত যদি মনে করে যে, উহাদের অন্যগুলি ব্যবহৃত উত্তরগুলির সাথে এরূপ সংশ্লিষ্ট যে শেষে বর্ণিত উত্তরগুলাে তাদের ছাড়া সংযুক্ত করা উচিত হয় নাই তবে আদালত উহাদের সংযুক্তির জন্য আদেশ প্রদান করতে পারে।

আদেশ ১১ বিধি ২৩ নাবালকের ক্ষেত্রে প্রয়ােগের জন্য আদেশ

এই আদেশ নাবালক বাদী এবং বিবাদীগণের ক্ষেত্রে এবং অক্ষম লােকদের মামলার জন্য তাদের আসন্ন বন্ধু ও অভিভাবকগণের ক্ষেত্রেও প্রয়ােগযােগ্য হবে।





Popular Posts

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...

চার্জ গঠন কাকে বলে চার্জ গঠনের উদ্দেশ্যে ও চার্জে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে

 ভিডিও শর্ট নোটস্ অন ল - চার্জ ও চার্জ গঠন কাকে বলে?  চার্জ গঠনের উদ্দেশ্যে ও চার্জে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে?  কখন বিভিন্ন অপরাধের চার্জ ও বিচার একসাথে করা যায় ও কখন করা যায় না?  ত্রুটিপূর্ণ চার্জ গঠনের ফলাফল কি?  চার্জশিট ব্যাতিত বিচার বৈধ কিনা।  কখন আসামিকে অব্যহতি দেয়া হয়? Video Short Notes on Law.  What is charge and what is framing of charge?  What is the aim of framing of charge?  What things are included in the charge?  When several charges can be framed and tried at the same time and when not possible?  What is the result of faulty charge?  Whether trial is valid without charge sheet.  When the defendant is discharged from guilt. প্রশ্ন: চার্জ (charge) কাকে বলে? উত্তর: ফৌজদারি কার্যবিধির ৪ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী-কোন চার্জ একাধিক দফা সম্বলিত হলে সেই দফা সমূহের যে কোন একটি দফা চারজন অন্তর্ভুক্ত হবে। (Charge includes any head of charge when the charge contains more its than one.) অন্যভাবে বলা যায় -কোন অপরাধীকে...