- Get link
- X
- Other Apps
আসন্ন বার কাউন্সিল লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি। পরীক্ষার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার। প্রশ্ন নং ৩ এর ক ও খ
৩। ক) The Specific Relief Act, 1877 অনুযায়ী কোন কোন চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎযোগ্য নয়। সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহের উল্লেখে সংক্ষেপে উত্তর দিন।
৩। খ) পিতা F তার পুত্র Z কে ৩৩ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ১১ শতক অবিভক্ত ভূমির মধ্যে ৫ শতক দানপত্রের মাধ্যমে দান করেন। F এর মৃত্যুর পর তার অপর পুত্র X ও Y দানপত্রটি জাল ও তাতে অন্তর্ভুক্ত ভূমিতে Z স্বত্ব অর্জন করে নাই মর্মে দাবী করেন। এমতাবস্থায়, Z. এর পক্ষে প্রতিকার প্রার্থনার উপযুক্ত আদালতে দাখিলের নিমিত্তে একটি আরজির মুসাবিদা করুন এবং পৃথকভাবে আরজিতে প্রার্থিত প্রতিকারের লক্ষ্যে আইনসমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।
৩ নং প্রশ্নের ক নিয়ে আলোচনা
ক) সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ (Specific Relief Act, 1877) অনুযায়ী কিছু চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎযোগ্য নয়। এর কারণ হলো, এই ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে আদালত হয়তো কার্যকরভাবে প্রতিকার দিতে পারেন না, অথবা আর্থিক ক্ষতিপূরণই যথেষ্ট বলে বিবেচিত হয়। যে চুক্তিগুলো সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎযোগ্য নয়, সেগুলো প্রধানত ধারা ২১ (Section 21) এবং ধারা ২৩ (Section 23) এ উল্লেখ করা হয়েছে।
ধারা ২১ (Section 21) অনুযায়ী যে চুক্তিগুলো সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎযোগ্য নয়:
* ১. যে চুক্তির কার্যসম্পাদন না করলে আর্থিক ক্ষতিপূরণই পর্যাপ্ত প্রতিকার: যদি কোনো চুক্তি ভঙ্গের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণই যথেষ্ট হয় এবং তা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিকার দিতে পারে, তবে আদালত সেই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎ করার আদেশ দেন না। (উদাহরণ: সাধারণ পণ্য সরবরাহ চুক্তি)
* ২. যে চুক্তি সূক্ষ্ম বা অসংখ্য বিবরণের সমষ্টি, অথবা পক্ষগণের ব্যক্তিগত যোগ্যতা বা ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল, অথবা অন্য কোনোভাবে ইহার প্রকৃতি এইরূপ যে, আদালত ইহার উল্লেখযোগ্য শর্তাবলির সুনির্দিষ্ট সম্পাদন কার্যকর করতে পারে না: এই ধরনের চুক্তির শর্তাবলী এতটাই জটিল, সুক্ষ্ম বা অসংখ্য হতে পারে যে আদালত সেগুলোর সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন কার্যকর করতে পারেন না। এছাড়াও, যদি চুক্তির সম্পাদন কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত দক্ষতা, যোগ্যতা বা ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল হয় (যেমন: একজন শিল্পীর গান গাওয়ার চুক্তি, একজন লেখকের বই লেখার চুক্তি), তাহলে আদালত তাকে জোর করে কাজটি করার আদেশ দেন না।
* ৩. যে চুক্তির শর্তাবলি আদালত যুক্তিসঙ্গতভাবে নিশ্চয়তা সহকারে নির্ণয় করতে পারে না: যদি চুক্তির শর্তাবলী এতটাই অস্পষ্ট বা অনিশ্চিত হয় যে আদালত স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে না কী কার্যকর করতে হবে, তাহলে সেই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না।
* ৪. যে চুক্তি উহার প্রকৃতিগতভাবে রদযোগ্য (revocable): যে চুক্তি সহজেই বাতিল করা যায়, আদালত সেই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করার আদেশ দেন না।
* ৫. অছিগণ কর্তৃক ক্ষমতার অতিরিক্ত বা বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে সম্পাদিত চুক্তি: ট্রাস্টিরা যদি তাদের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে অথবা তাদের অর্পিত বিশ্বাসের লঙ্ঘন করে কোনো চুক্তি করেন, তবে সেই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না।
* ৬. বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গঠিত কর্পোরেশন বা পাবলিক কোম্পানী কর্তৃক অথবা উক্ত কোম্পানীর প্রবর্তকগণ কর্তৃক ক্ষমতার অতিরিক্ত সম্পাদিত চুক্তি: কোনো কর্পোরেশন বা পাবলিক কোম্পানি যদি তাদের ক্ষমতা বহির্ভূত (ultra vires) কোনো চুক্তি করে, তাহলে তা সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরযোগ্য নয়।
* ৭. যে চুক্তির কার্যসম্পাদন তাহার তারিখ হইতে তিন বৎসরের অধিককালব্যাপী অবিরাম কর্তব্যের সম্পাদন অন্তর্ভুক্ত করে: যদি কোনো চুক্তির শর্তাবলী এমন হয় যে, এটি তিন বছরের বেশি সময় ধরে নিয়মিতভাবে বা অবিচ্ছিন্নভাবে পালন করতে হবে, তাহলে আদালত সেই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করার আদেশ দেন না। এর কারণ হলো, দীর্ঘ সময় ধরে আদালতের পক্ষে এই ধরনের চুক্তির সম্পাদন তদারকি করা কঠিন।
* ৮. যে চুক্তির বিষয়বস্তুর গুরুত্বপূর্ণ অংশ, উভয় পক্ষের অনুমান মতে বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও, চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পূর্বে বিলুপ্ত হইয়াছে: যদি চুক্তির মূল বিষয়বস্তু, যা উভয় পক্ষই বিদ্যমান বলে ধরে নিয়েছিল, চুক্তি হওয়ার আগেই বিলুপ্ত হয়ে যায়, তাহলে সেই চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যায় না।
ধারা ২১ক (Section 21A) অনুযায়ী বিশেষ বিধান (২০০৪ সালের সংশোধনী):
এই ধারা অনুযায়ী, কোনো স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর করা যাবে না, যদি না:
* চুক্তিটি লিখিত হয় এবং ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত হয়; এবং
* চুক্তির বিবেচনাধীন অবশিষ্ট অর্থ চুক্তি সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের জন্য মামলা দায়েরের সময় আদালতে জমা দেওয়া হয়।
ধারা ২৩ (Section 23) অনুযায়ী কাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট বলবৎকরণ দাবি করা যায় না (কিছু ব্যতিক্রম সাপেক্ষে):
এই ধারাটি মূলত কাদের বিরুদ্ধে চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎ করা যাবে না তা নিয়ে আলোচনা করে, যদিও এটি সরাসরি "কোন চুক্তি বলবৎযোগ্য নয়" তা বলে না, তবে পরোক্ষভাবে সুনির্দিষ্ট বলবৎকরণের সীমাবদ্ধতা নির্দেশ করে। ধারা ২৩ এর কিছু উপধারা (যেমন: ধারা ২৩(ই) এবং ২৩(জি)) এমন পক্ষদের কথা বলে যারা চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎ করার যোগ্য নয়, যেমন:
* যারা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতারণামূলক কোনো কাজ করে বা অসদাচরণ করে।
* যারা চুক্তি সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা রাখে না।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন এমন সব চুক্তি সুনির্দিষ্টভাবে বলবৎ করতে চায় না যেখানে আর্থিক ক্ষতিপূরণই যথেষ্ট, অথবা যেখানে চুক্তি কার্যকর করা আদালতের জন্য বাস্তবসম্মত নয় (যেমন: ব্যক্তিগত দক্ষতা নির্ভর চুক্তি, দীর্ঘমেয়াদী তদারকি প্রয়োজন এমন চুক্তি), অথবা যেখানে চুক্তির শর্তাবলী অস্পষ্ট। এছাড়া, স্থাবর সম্পত্তি চুক্তির ক্ষেত্রে লিখিত ও নিবন্ধিত হওয়ার শর্ত এবং অবশিষ্ট মূল্য আদালতে জমা দেওয়ার শর্তও যুক্ত হয়েছে।
৩ নং প্রশ্নের খ নিয়ে আলোচনা
খ) Z. এর পক্ষে প্রতিকার প্রার্থনার উপযুক্ত আদালতে দাখিলের নিমিত্তে আরজির মুসাবিদা এবং পৃথকভাবে আরজিতে প্রার্থিত প্রতিকারের লক্ষ্যে আইনসমূহ:
মোকাম বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত, [জেলার নাম]
মো. জেড,
পিতা: মৃত এফ,
গ্রাম: [গ্রামের নাম],
ডাকঘর: [ডাকঘরের নাম],
থানা: [থানার নাম],
জেলা: [জেলার নাম]।
... বাদী
১. মো. এক্স,
পিতা: মৃত এফ,
গ্রাম: [গ্রামের নাম],
ডাকঘর: [ডাকঘরের নাম],
থানা: [থানার নাম],
জেলা: [জেলার নাম]।
২. মো. ওয়াই,
পিতা: মৃত এফ,
গ্রাম: [গ্রামের নাম],
ডাকঘর: [ডাকঘরের নাম],
থানা: [থানার নাম],
জেলা: [জেলার নাম]।
... বিবাদীগণ
বিষয়বস্তু: ঘোষণামূলক প্রতিকার এবং স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য মামলা।
মামলার মূল্য: ৩৩ লক্ষ টাকা।
বাদী পক্ষে বিনীত নিবেদন-
১. এই যে, বাদী এবং বিবাদীগণ পরস্পর সহোদর ভাই। তাহাদের পিতা মৃত এফ [তারিখ] তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।
২. এই যে, বাদীর পিতা মৃত এফ সাহেব তাহার জীবনকালে বাদীর প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ছিলেন। সেই স্নেহের নিদর্শনস্বরূপ, মৃত এফ সাহেব তাহার স্বত্ব ও দখলীয় মোট ১১ শতক অবিভক্ত নালিশি ভূমির মধ্যে এর অন্তর্গত ৫ শতক ভূমি ৩৩ লক্ষ টাকা মূল্যমানের একটি দানপত্র দলিল মূলে [দানপত্র দলিলে উল্লিখিত তারিখ] তারিখে বাদীকে দান করেন এবং উক্ত দানপত্রের রেজিষ্ট্রেশন নং: [রেজিষ্ট্রেশন নং], তারিখ: [রেজিষ্ট্রেশন তারিখ] হয়।
৩. এই যে, উক্ত দানপত্র মূলে বাদী শান্তিপূর্ণভাবে উল্লিখিত ৫ শতক ভূমির মালিক ও দখলদার হন। দানপত্রটি সম্পূর্ণ বৈধ এবং আইনসম্মতভাবে সম্পাদিত হয়েছিল। বাদীর পিতা দানপত্রটি সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে এবং স্বেচ্ছায় সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন।
৪. এই যে, পিতার মৃত্যুর পর বিবাদীগণ, অর্থাৎ বাদীর অপর দুই ভাই, উল্লিখিত দানপত্র দলিলটি জাল এবং ভুয়া মর্মে দাবি করিতেছেন। তাহারা প্রকাশ্যে বিভিন্নভাবে বাদীর উক্ত ৫ শতক ভূমিতে স্বত্ব এবং দখলে বিঘ্ন সৃষ্টির অপচেষ্টা করিতেছেন। বিবাদীগণ দাবি করিতেছেন যে, উক্ত দানপত্রের মাধ্যমে বাদী কোনো স্বত্ব অর্জন করেন নাই এবং দানকৃত ভূমি পিতার ওয়ারিশান সম্পত্তি হিসাবে তাহাদেরও প্রাপ্তব্য।
৫. এই যে, বিবাদীগণের উক্তরূপ মিথ্যা দাবি এবং অপতৎপরতার কারণে বাদীর উক্ত দানকৃত সম্পত্তিতে স্বত্ব এবং দখল সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হইয়াছে, যাহা বাদীর আইনগত অধিকারের পরিপন্থী।
৬. এই যে, বাদীর বিশ্বাস এবং দৃঢ় আস্থা রহিয়াছে যে, উল্লিখিত দানপত্রটি সম্পূর্ণ বৈধ এবং আইনানুগ। বিবাদীগণের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
৭. এই যে, অত্র মামলার কারণ উদ্ভব হইয়াছে যখন বিবাদীগণ [সাম্প্রতিক তারিখ, যখন বিবাদীরা প্রথম সমস্যা তৈরি করে] তারিখে বাদীর দানকৃত সম্পত্তির উপর অবৈধ দাবি উত্থাপন করে এবং বাদীর শান্তিপূর্ন দখলে বাধা দিতে শুরু করে।
৮. এই যে, অত্র আদালত অত্র মামলার বিচার করার এখতিয়ার রাখেন।
প্রার্থিত প্রতিকার:
অতএব, প্রার্থনা এই যে, বিজ্ঞ আদালত অনুগ্রহপূর্বক নিম্নোক্ত প্রতিকারসমূহ মঞ্জুর করিতে আজ্ঞা হয়:
ক) এই মর্মে ঘোষণামূলক ডিক্রি প্রদান করা হোক যে, মৃত এফ কর্তৃক বাদীকে সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রিকৃত দানপত্র দলিল নং: [রেজিষ্ট্রেশন নং], তারিখ: [রেজিষ্ট্রেশন তারিখ] একটি বৈধ ও আইনানুগ দলিল এবং উক্ত দানপত্র মূলে বাদী উল্লিখিত ৫ শতক ভূমির একমাত্র ও নিরঙ্কুশ মালিক এবং দখলদার।
খ) বিবাদীগণকে, অর্থাৎ মো. এক্স এবং মো. ওয়াই-কে, উল্লিখিত ৫ শতক ভূমির উপর বাদীর স্বত্ব ও দখলে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করা থেকে বা কোনো প্রকার বিঘ্ন সৃষ্টি করা থেকে স্থায়ীভাবে নিষেধমূলক আদেশ (Permanent Injunction) প্রদান করা হোক।
গ) মামলার সমুদয় খরচ বাদীর অনুকূলে বিবাদীগণের উপর ধার্য করা হোক।
ঘ) বিজ্ঞ আদালত সমীচীন মনে করিলে অন্য যে কোনো প্রতিকার মঞ্জুর করিতে পারেন।
তফসিল:
জেলা: [জেলার নাম], থানা: [থানার নাম] মৌজা: [মৌজার নাম], জেএল নং: [জেএল নং], খতিয়ান নং: [খতিয়ান নং], দাগ নং: [দাগ নং] ভূমির পরিমাণ: ৫ শতক।
হলফনামা:
আমি, মো. জেড, পিতা: মৃত এফ, অত্র মামলার বাদী, এতদ্বারা হলফপূর্বক ঘোষণা করিতেছি যে, অত্র আরজিতে উল্লিখিত সকল তথ্য আমার জ্ঞান ও বিশ্বাসমতে সত্য এবং সঠিক। কোনো তথ্য গোপন করা হয় নাই।
তারিখ: [আবেদনের তারিখ]
স্বাক্ষর
(মো. জেড)
বাদী
আরজিতে প্রার্থিত প্রতিকারের লক্ষ্যে আইনসমূহ:
উপরোক্ত আরজিতে যে প্রতিকার চাওয়া হয়েছে, তা মূলত The Specific Relief Act, 1877 এর বিধানাবলী দ্বারা সমর্থিত।
১. ঘোষণামূলক প্রতিকার (Declaratory Decree):
* ধারা ৪২, The Specific Relief Act, 1877: এই ধারা অনুযায়ী, যে কোনো ব্যক্তি যার কোনো আইনি মর্যাদা (Legal Character) বা কোনো সম্পত্তির অধিকার (Right to any Property) রয়েছে এবং উক্ত মর্যাদা বা অধিকার সম্পর্কে অন্য কেউ অস্বীকার বা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করলে, সেই ব্যক্তি আদালতে তার মর্যাদা বা অধিকার ঘোষণার জন্য মামলা দায়ের করতে পারে। অত্র মামলায়, বিবাদীগণ দানপত্রটি জাল দাবি করে বাদীর সম্পত্তির স্বত্ব অস্বীকার করছে, তাই বাদী ধারা ৪২ এর অধীনে ঘোষণামূলক ডিক্রি পাওয়ার অধিকারী।
২. স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Permanent Injunction):
* ধারা ৫৪, The Specific Relief Act, 1877: এই ধারা অনুযায়ী, আদালত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করতে পারে যখন কোনো চুক্তি ভঙ্গ করা হয়, বা যখন বাদী সম্পত্তির অধিকার ভোগ করে এবং বিবাদী সেই অধিকার লঙ্ঘন করে, অথবা যখন আর্থিক ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত প্রতিকার না হয়। অত্র মামলায়, বাদী তার শান্তিপূর্ণ দখলে থাকার অধিকার ভোগ করছে, এবং বিবাদীগণ সেই দখলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। যেহেতু বিবাদীগণ বাদীর সম্পত্তিতে বারবার হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে, সেহেতু স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে তাদের ভবিষ্যতে একই কাজ করা থেকে বিরত রাখা আবশ্যক।
ইউটিউব ভিডিও - আসন্ন বার কাশউন্সিল লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি। পরীক্ষার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ প্রশ্ন ৩