Skip to main content

ফৌজদারী মামলার তদন্ত পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী তলব জবানবন্দী দোষ স্বীকারোক্তি ধারা ১৬৪

ফৌজদারী মামলার তদন্ত।
তদন্ত [Investigation] [8 (১) (ঠ)] ।
ম্যাজিস্ট্রেটর আদেশবলে তদন্ত।
পুলিশের নিজ উদ্যোগে তদন্ত।
প্রাথমিক তথ্য বিবরণী এবং এজাহারের সাক্ষ্যগত মূল্য কতটুকু?
ফৌজদারী কার্যবিধিতে তদন্ত সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহ কি কি?
পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী তলব, সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং উহার ব্যবহার।
তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী তলব।
তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ।
তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীর জবানবন্দি লিখিতভাবে রেকর্ড করা।
পুলিশ কর্তৃক লিখিতভাবে লিপিবদ্ধকৃত বক্তব্যের ব্যবহার।
সাক্ষীর জবানবন্দী যেক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।
সাক্ষীর জবানবন্দী যেক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।
দোষস্বীকারমূলক বক্তব্য রেকর্ড করা।
যে সকল ম্যাজিস্ট্রেট দোষস্বীকারোক্তি [Confession] রেকর্ড করতে পারে।
কখন বিবৃতি বা দোষস্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করতে পারে?
দোষ স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ফৌজদারী মামলার তদন্ত

[Investigation in Criminal Cases]


তদন্ত [Investigation] [8 (১) (ঠ)] :

তদন্ত অর্থ হল সাক্ষ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কোন পুলিশ অফিসার অথবা ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি যিনি ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত তার কর্তৃক পরিচালিত কোন কার্যক্রম। তদন্ত বলতে পুলিশ কর্তৃক ঘটনাস্থল পরিদর্শন, অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দকরণ, জব্দ তালিকা প্রস্তুতকরণ, ঘটনার সাথে পরিচিত সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করে।

তদন্তের সংশ্লিষ্ট ধারা

ফৌজদারী কার্যবিধিতে পুলিশ কর্তৃক তদন্তের বিধান আলোচনা করা হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৭৬ ধারায় ও ২০২ ধারায়। ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে ১৫৫(২) ধারায় আমলঅযোগ্য অপরাধের তদন্ত, ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত ১৫৬(১) ধারায় আমলযোগ্য অপরাধের তদন্ত, ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশক্রমে ১৫৬(৩) ধারায় আমলযোগ্য অপরাধের তদন্ত, ১৫৭ ধারায় সন্দেহের ভিত্তিতে আমলযোগ্য অপরাধের তদন্ত এবং ২০২ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের‌ নির্দেশক্রমে পুলিশ কর্তৃক তদন্ত সম্পর্কে বিধান করা হয়েছে। সুতরাং পুলিশ কতিপয় ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে তদন্ত করে এবং কতিপয় ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত তদন্ত করতে পারে। সুতরাং পুলিশ কর্তৃক তদন্তের ক্ষমতাকে ২টি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।

১. ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে তদন্ত;

২. ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত নিজ উদ্যোগে তদন্ত;

ম্যাজিস্ট্রেটর আদেশবলে তদন্ত

১৫৫ (২) ধারায়-আমলঅযোগ্য অপরাধ [non-cognizable Cases], ১৫৬ (৩) ধারায় আমলযোগ্য অপরাধ [cognizable cases] এবং ২০২ ধারায় আমলযোগ্য বা আমলঅযোগ্য অপরাধ করতে পারে।

পুলিশের নিজ উদ্যোগে তদন্ত

১৫৬(১) ধারায় আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে এবং ১৫৭ ধারায় সন্দেহের ভিত্তিতে আমলযোগ্য অপরাধের তদন্ত করতে পারে।

১. ১৫৬ (১) ধারায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ ছাড়া আমলযোগ্য অপরাধের তদন্ত শুরু করতে পারে। অর্থাৎ পুলিশ ১৫৪ ধারার অধীন G.R মামলার বা আমলযোগ্য মামলার তদন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়া ১৫৬ (১) এর অধীন শুরু করতে পারে।

২. ১৯০ ধারায় যে ম্যাজিস্ট্রেটকে অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধটির তদন্তের জন্য পুলিশকে ১৫৬ (৩) ধারায় নির্দেশ দিতে পারে এবং সেই নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ তদন্ত করতে পারে। ২০০ ধারায় নালিশী দরখাস্ত গ্রহণ করার পর, ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণীভুক্ত করে তদন্তের জন্য ১৫৬(৩) ধারায় পুলিশকে নির্দেশ দিতে পারে।

৩. ১৫৫ (২) ধারা অনুযায়ী আমলঅযোগ্য অপরাধের [Non-cognizable offences] বিচার করার

এখতিয়ার আছে এমন প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ ব্যতীত কোন পুলিশ কর্মকর্তা আমলঅযোগ্য অপরাধের তদন্ত করবেনা। অর্থাৎ আমলঅযোগ্য অপরাধের তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারে উক্ত অপরাধটির বিচার করার এখতিয়ারসম্পন্ন বা মামলাটি বিচারের জন্য পাঠাতে পারে এমন এখতিয়ারসম্পন্ন-

1.প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা

II.মহানগর এলাকায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা

II.দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট

৪. প্রাথমিক তথ্য বিবরণী দায়ের না করলেও ১৫৭ ধারা অনুযায়ী সন্দেহের ভিত্তিতে পুলিশ আমলযোগ্য অপরাধের তদন্ত করতে পারে।

৫. নালিশী দরখাস্ত গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হাজির হতে বাধ্য করার জন্য পরোয়ানা ইস্যু স্থগিত করে [postponement for issue of process] ২০২ ধারায় তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারে।

প্রাথমিক তথ্য বিবরণী এবং এজাহারের সাক্ষ্যগত মূল্য কতটুকু?

প্রাথমিক তথ্য বিবরণী এবং এজাহার কোন মূল সাক্ষ্য না এবং এটা শুধুমাত্র কোন বিষয় অনুসমর্থন [corroboration] করানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

ফৌজদারী কার্যবিধিতে তদন্ত সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহ কি কি?

ফৌজদারী কার্যবিধিতে তদন্ত সংশ্লিষ্ট ধারা আছে ১৫৫(২), ১৫৬(১), ১৫৬(৩), ১৫৭ এবং ২০২ ধারা।


পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী তলব, সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং উহার ব্যবহার [ধারা ১৬০ থেকে ১৬৩]

১৬০ ধারায় তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী তলব করা এবং ১৬১ ধারায় তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং উক্ত জবানবন্দির ব্যবহার সম্পর্কে ১৬২ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে।

[ধারা ১৬০] তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী তলব:

ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬০ ধারায় তদন্তকারী পুলিশ ঘটনার সাথে পরিচিত যে কোনো ব্যক্তিকে লিখিতভাবে তলব করতে পারে। এই ধারায় যে ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসাবে তলব করা হয়, সে হাজির হতে বাধ্য কিন্তু পুলিশ তাকে হাজির হতে বাধ্য করতে বল প্রয়োগ করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হাজির হতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সে দণ্ডবিধির ১৭৪ ধারায় দণ্ডিত হতে পারে যা ১ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বা জরিমানাসহ যা ৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে বা উভয়।

[ধারা ১৬১] তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ:

ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারায় তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা মামলার ঘটনার সাথে সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ের সাথে পরিচিত ব্যক্তির মৌখিক জবানবন্দি গ্রহণ করতে পারে। তার নিকট জিজ্ঞাসিত মামলা সম্পর্কিত যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সে বাধ্য থাকবে কিন্তু যে প্রশ্নের জবাব উক্ত সাক্ষীকে ফৌজদারী অভিযোগে দণ্ড বা বাজেয়াপ্তির দিকে টেনে নিতে পারে, সেই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে সাক্ষী বাধ্য নয়। কিন্তু তদন্ত চলাকালে পুলিশ বা কোন কর্তৃত্ব সম্পন্ন ব্যক্তি সাক্ষীকে প্রলোভন, হুমকি বা প্রতিশ্রুতি দিবে না [ ধারা-১৬৩]।

তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীর জবানবন্দি লিখিতভাবে রেকর্ড করা:

১৬১ (৩) ধারা অনুযায়ী পুলিশ সাক্ষীর জবানবন্দি বা বক্তব্য লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ করতে পারে এবং সাক্ষ্য রেকর্ডকারী তদন্ত কর্মকর্তা উক্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবে কিন্তু উক্ত লিখিত বক্তব্যে বিবৃতি প্রদানকারী সাক্ষী স্বাক্ষর করবে না। ১৬২ (১) ধারায় বলা হয়েছে, তদন্তের সময় কোন ব্যক্তি কোন পুলিশ অফিসারের নিকট কোন বিবৃতি দিলে তা যদি লিখিতভাবে লিপিবদ্ধকৃত হয়, তাহলে বিবৃতিদাতা উহাতে স্বাক্ষর করবে না।

[ধারা ১৬২] পুলিশ কর্তৃক লিখিতভাবে লিপিবদ্ধকৃত বক্তব্যের ব্যবহার :

১৬১ (৩) ধারায় পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীর বক্তব্য লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করা হলে, উক্ত বক্তব্য কখন ব্যবহার করা যাবে এবং কখন ব্যবহার করা যাবে না তা ১৬২ ধারায় বলা হয়েছে।

সাক্ষীর জবানবন্দী যেক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না:

পুলিশ মামলার তদন্তের সময় সাক্ষীর যে জবানবন্দী লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করে তা তদন্তাধীন কোন অপরাধ সম্পর্কে কোন অনুসন্ধান বা বিচারে ব্যবহার করা যাবে না।

সাক্ষীর জবানবন্দী যেক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে:

১. অভিযুক্ত ব্যক্তি আবেদন করলে আদালত উক্ত লিখিত বিবৃতি অভিযুক্তকে উল্লেখ করতে পারে এবং অভিযুক্তকে লিখিত বিবৃতির একটি কপি প্রদানের আদেশ দিতে পারে।

২. ১৬১ ধারায় পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীর লিপিবদ্ধকৃত বক্তব্য সাক্ষ্য আইনের ১৪৫ ধারায় জেরায় (Cross-Examination/ এবং পুন:জবানবন্দিতে [Re-examination) ব্যবহার করা যেতে পারে। ১৬১ ধারায় পুলিশ যে সাক্ষীর সাক্ষ্য লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করেছে, উক্ত সাক্ষীকে অনুসন্ধান বা বিচারে ডাকা হলে, ১৬১ ধারায় সাক্ষী যে বক্তব্য দিয়েছে এবং উক্ত সাক্ষী জেরার সময় আদালতে যে সাক্ষ্য দিচ্ছে, তা যদি ১৬১ ধারায় প্রদত্ত সাক্ষ্য হতে ভিন্ন হয় বা পরস্পরবিরোধী [contradictory] হয়, তাহলে জেরাকারী আইনজীবী উক্ত সাক্ষীকে ১৬১ ধারায় প্রদত্ত পূর্ববর্তী বক্তব্যের যে অংশটি পরস্পরবিরোধী সেই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশ্ন করতে পারে [সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ এর ১৪৫ ধারা]। যদি উক্ত বক্তব্য জেরায় ব্যবহার করা হয়, তাহলে জেরার বিষয় স্পষ্ট করার জন্য উক্ত বক্তব্য সাক্ষীর পুন:জবানবন্দিতে [re-examination] ব্যবহার করা যাবে।

৩. ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬২ ধারার বিধান সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) এবং ২৭ ধারার জন্য প্রযোজ্য না। অর্থাৎ পুলিশ সাক্ষীর যে জবানবন্দি ১৬১ ধারা অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করে তা বিচার বা অনুসন্ধানের জন্য নিম্নলিখিত ২ (দুই) টি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে-

১। যদি সেটি মৃত্যুকালীন ঘোষণা হয় [সাক্ষ্য আইন, ধারা ৩২(১)]

২। উক্ত বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে পুলিশ কোন বিষয় উদ্ঘাটন করলে। [সাক্ষ্য আইন- ধারা, ২৭] যেমন কোন ব্যক্তি ১৬১ ধারায় পুলিশের নিকট বিবৃতি দিয়ে মারা গেলো। সেই ক্ষেত্রে তার উক্ত বক্তব্য বিচার বা অনুসন্ধানে ব্যবহার করা যাবে।

দোষস্বীকারমূলক বক্তব্য রেকর্ড করা [Recording Confessional Statements)[ধারা ১৬৪]

ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় উল্লেখিত ম্যাজিস্ট্রেটগণ যে কোনো বিবৃতি [Statement) বা দোষস্বীকারোক্তি [Confession] লিপিবদ্ধ করতে পারে দোষস্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করার পূর্বে ম্যাজিস্ট্রেট স্বীকারকারীকে অবশ্যই বুঝিয়ে দিবে যে; তিনি স্বীকারোক্তি করতে বাধ্য নয় এবং তিনি যদি স্বীকারোক্তি করে তাহলে উহা তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।

যে সকল ম্যাজিস্ট্রেট দোষস্বীকারোক্তি [Confession] রেকর্ড করতে পারে :

১. মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট

২. প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট

৩. সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট।

কখন বিবৃতি বা দোষস্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করতে পারে?

ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট যে কোনো বিবৃতি বা দোষস্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করতে পারে, তদন্তের যেকোন পর্যায়ে কিংবা তদন্তের পরে কিন্তু অনুসন্ধান বা বিচার শুরুর পূর্বে।

দোষ স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৬৪ ধারায় উল্লেখিত পদ্ধতিতে দোষস্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ এবং স্বাক্ষরিত হতে হবে [ধারা ১৬৪(২)]। লিপিবদ্ধ বা রেকর্ডকৃত দোষ স্বীকারোক্তিটি অভিযুক্ত এবং আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বা জজ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে [৩৬৪ (২)]। লিপিবদ্ধকৃত এমন বিবৃতি এবং দোষস্বীকারোক্তি যে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মামলাটি অনুসন্ধান বা বিচার করা হবে তার নিকট প্রেরণ করতে হবে [ধারা ১৬৪(২)]। মামলার বিচার করার এখতিয়ার থাকুক বা না থাকুক, উপরে উল্লেখিত ম্যাজিস্ট্রেটগণ দোষ স্বীকারমূলক বক্তব্য রেকর্ড করতে পারে। অর্থাৎ মামলার বিচার করার এখতিয়ার থাকাটা প্রয়োজনীয় না [১৬৪ (৩),ব্যাখ্যা]

টপিকস

ফৌজদারী মামলার তদন্ত। তদন্ত [Investigation] [8 (১) (ঠ)] । ম্যাজিস্ট্রেটর আদেশবলে তদন্ত। পুলিশের নিজ উদ্যোগে তদন্ত। প্রাথমিক তথ্য বিবরণী এবং এজাহারের সাক্ষ্যগত মূল্য কতটুকু? ফৌজদারী কার্যবিধিতে তদন্ত সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহ কি কি? পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী তলব, সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং উহার ব্যবহার। তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী তলব। তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ। তদন্তকারী পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীর জবানবন্দি লিখিতভাবে রেকর্ড করা। পুলিশ কর্তৃক লিখিতভাবে লিপিবদ্ধকৃত বক্তব্যের ব্যবহার। সাক্ষীর জবানবন্দী যেক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। সাক্ষীর জবানবন্দী যেক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। দোষস্বীকারমূলক বক্তব্য রেকর্ড করা। যে সকল ম্যাজিস্ট্রেট দোষস্বীকারোক্তি [Confession] রেকর্ড করতে পারে। কখন বিবৃতি বা দোষস্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করতে পারে? দোষ স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

Video ফৌজদারী মামলার তদন্ত পুলিশ কর্তৃক সাক্ষী তলব জবানবন্দী দোষ স্বীকারোক্তি ধারা ১৬৪

Popular Posts

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...

চার্জ গঠন কাকে বলে চার্জ গঠনের উদ্দেশ্যে ও চার্জে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে

 ভিডিও শর্ট নোটস্ অন ল - চার্জ ও চার্জ গঠন কাকে বলে?  চার্জ গঠনের উদ্দেশ্যে ও চার্জে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে?  কখন বিভিন্ন অপরাধের চার্জ ও বিচার একসাথে করা যায় ও কখন করা যায় না?  ত্রুটিপূর্ণ চার্জ গঠনের ফলাফল কি?  চার্জশিট ব্যাতিত বিচার বৈধ কিনা।  কখন আসামিকে অব্যহতি দেয়া হয়? Video Short Notes on Law.  What is charge and what is framing of charge?  What is the aim of framing of charge?  What things are included in the charge?  When several charges can be framed and tried at the same time and when not possible?  What is the result of faulty charge?  Whether trial is valid without charge sheet.  When the defendant is discharged from guilt. প্রশ্ন: চার্জ (charge) কাকে বলে? উত্তর: ফৌজদারি কার্যবিধির ৪ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী-কোন চার্জ একাধিক দফা সম্বলিত হলে সেই দফা সমূহের যে কোন একটি দফা চারজন অন্তর্ভুক্ত হবে। (Charge includes any head of charge when the charge contains more its than one.) অন্যভাবে বলা যায় -কোন অপরাধীকে...