Skip to main content

চুরি ও মারপিটের ডাকাতির খুনের মামলার এজাহার নমুনা ড্রাফটিং Drafting GR Case

চুরি ও মারপিটের ডাকাতির খুনের মামলার এজাহার নমুনা ড্রাফটিং Drafting GR Case

ড্রাফটিং: চুরি ও মারপিটের মামলার এজাহারের নমুনা।


বরাবর,

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা,

মুন্সিগঞ্জ থানা ।


বিষয়ঃ এজাহার দায়ের প্রসঙ্গে।

জনাব,

নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন সাক্ষরকারী তারা মিয়া, পিতা-মৃত খোদা নেয়াজ, সাং----থানা ও জেলা-মুন্সিগঞ্জ, নিজ পক্ষে এবং নিজ সাকিনের আমার চাচাতো ভাই মোঃ নওয়াব আলী (জখমী), পিতা-মৃত মৌজা আলী এর পক্ষে ও তার অনুমতিক্রমে অত্র অভিযোগ করছি। অদ্য ইং....বাংলা সাল ......রোজ.....সকাল......বেলায় আমার বড়গিরি মোঃ নওয়াব আলী নিজ প্রয়োজনে ঢেউটিন ক্রয় করার উদ্দেশ্যে আমাকে মুন্সিগঞ্জ শহরে আসার জন্য তৎবাড়ী হতে রওনা হয়ে আমার বসত বাড়ীর সম্মুখে এসে আমার বাড়ীর সম্মুখের টিউবওয়েলের নিকট দাঁড়িয়ে আমার সাথে আলাপরত অবস্থায় অদ্য ইং ....তারিখ সকাল অনুমান .....ঘটিকার সময় পূর্ব শত্রুতার জের হিসাবে আসামী ১। আজিজুর রহমান, পিতা-মোঃ আক্কাছ আলী, ২। আব্দুল খালেক, পিতা-ঐ, ৩। আব্দুল, পিতা-ঐ, ৪। মতিউর রহমান, পিতা-ঐ, ৫। আঃ বারেক, পিতা- ঐ, ৬। সঞ্জু মিয়া, পিতা-ঐ, সর্ব সাং-তাতিয়ার খোযাইর পাড়, থানা ও জেলা-মুন্সিগঞ্জ। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর সহযোগীতায় বে-আইনী জনতাবদ্ধে ১নং আসামীর হাতে লোহার রড ও অন্যান্য আসামীগণের হাতে বাশের লাঠি দিয়ে আমার বসত বাড়ীর সম্মুখে এসে ১নং আসামীর হুকুমে ২নং আসামী তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত দিয়ে জখম করে এবং ১নং আসামী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার বড়গিরি মোঃ নওয়াব আলীকে খুন করার সাধারণ উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত দিলে উক্ত আঘাত নওয়াব আলীর ডান হাতে ফিরালে ডান হাতের কব্জির নীচে লেগে হাড় ভেঙ্গে গুরুতর জখম হয় এবং আসামী আঃ বারেক, নওয়াব আলির গায়ের পাঞ্জাবীর ডান পকেট হতে ৭ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং অন্যান্য আসামীগণ নওয়াব আলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত দিয়ে জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকারে নিজ সাকিনের সাক্ষী ১। হুসেন, পিতা-সাইর উদ্দিন, ২। কাছম আলী, পিতা-ঐ, ৩। তাজজুত আলী, পিতা-আব্দুল মজিদ, ৬। আঃ কাশেম, পিতা-বড় আবুসহ আরও অনেকেই আসলে আসামীগণ চলে যায়। অতঃপর জখমী নওয়াব আলীকে চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করাই এবং এক্সরে করাই। জখমীর সার্টিফিকেট সংযুক্ত। সাক্ষীগণ ঘটনা অবগত আছেন ও ঘটনা প্রমাণ করবেন। 

সেমতে প্রার্থনা, আসামীগণের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মর্জি হয়।

নিবেদক,

তারা মিয়া

পিতা- মৃত খোদা নেয়াজ

সাং- তাতিয়র খোযাইর পাড়

থানা+জেলা-মুন্সিগঞ্জ।

তারিখ


ড্রাফটিং: থানায় ডাকাতি মামলার এজাহারের নমুনা।

বরাবর,

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা,

শ্রীনগর থানা, মুন্সিগঞ্জ ।

বিষয় : এজাহার দায়ের প্রসঙ্গে।


জনাব, 

নিবেদন এই যে, আমার নাম.... পিতা.... সাং....., থানা- শ্রীনগর,  জেলা-মুন্সিগঞ্জ । আমার বয়স অনুমান ৩৩ বছর হবে। অদ্য ইং....তারিখ বিকাল ৫.০০ ঘটিকার সময় থানায় হাজির হয়ে এই এজাহার করছি যে, গতকল্য ইং তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ১০.০০ টার সময় খাওয়া দাওয়া করে নিজ বাড়ীতে পশ্চিম ভিটির ঘরে স্ত্রী মাহমুদা খানম ও বাচ্চাসহ ঘুমিয়ে ছিলাম। উত্তর ভিটির ঘরে আমার ছোট ভাই মুকশেদ মিয়া, স্ত্রী নূরজাহান ও বাচ্চাসহ ঘুমিয়ে ছিল। উত্তর ভিটি অন্য ঘরে আমার চাচা মহর আলী, স্ত্রী মুন্নীর মা, চাচাত ভাই জনাব মিয়ার স্ত্রী ও বাচ্চারা ঘুমিয়ে ছিল। দক্ষিণ ভিটি ঘরে চাচাত ভাই নুরুল মিয়া স্ত্রী ও বাচ্চাসহ ঘুমিয়ে ছিল। দক্ষিণ ভিটির অন্য ঘরে আমার বোন রহিমা ও গুলবাহার, ভাই দুলাল ও কাজের ছেলে সহিদুর রহমান ঘুমিয়ে ছিল। রাত্রে অনুমান ৩.৩০ (সাড়ে তিনটার সময়) টার সময় ৪/৫ জন ডাকাত আমার ঘরের পূর্ব পার্শ্বের ঝাপ দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আমার দিকে রামদা, কিরিচ ধরে আমাকে চুপ থাকতে বলে এবং মশারী খুলে চৌকির উপর ২/৩ জন উঠে আমাকে লেপ দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে । আমি লেপের ফাঁক দিয়ে ডাকাতদের দেখলে তারা আমাকে লাথি মারতে থাকে এবং রামদা দিয়ে কোপ দিতে উদ্যত হলে আমার স্ত্রী জানভিক্ষা চেয়ে ডাকাতের নিকট শো-কেস-এর চাবী দিয়ে দেন। ডাকাতরা শো-কেইস হতে নগদ অর্থ স্বর্ণালংকার হাত ঘড়ি ইত্যাদি নিয়ে যায় এবং ঘর হতে মোবাইল ফোন ইত্যাদি মালামাল নিয়ে যায়। আমি ডাকাতদের মধ্যে হতে আসামী (১) জমির, পিতা-অজ্ঞাত, সাং-বড়খাপন, (২) কাজল, পিতা-অজ্ঞাত, সাং-সিদলী, থানা- শ্রীনগর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ-দের চিনতে পেরেছি। আমার ভাই মোকশেদ মিয়ার ঘরে ঝাপ দরজা খুলে প্রবেশ করে এবং তার উপর চেয়ার ধরে রাখে। ছোট চাচা মোহর উদ্দিনের ঘরে ২/৩ জন ডাকাত ঝাপ দরজা খুলে প্রবেশ করে এবং চাচাকে হাতে পায়ে বাঁধে এবং ঘর হতে কাপড় চোপড়, জাল ইত্যাদি নিয়ে যায়। আমার চাচাত ভাই নূরুর ঘরে কয়েকজন ডাকাত ঝাপ দরজা খুলে প্রবেশ করে ডাকাতদের স্থানীয় ভাষায় কথাবার্তা বলে। তাদের বয়স অনুমান ২২ বৎসর হতে ৩৫ বছর হবে। ডাকাতরা সংখ্যায় মোট ২৫/৩০ জন হবে। তারা অনুমান ১০ মিনিট কাল ডাকাতি করেছে। ডাকাতদের কয়েকজনের হাতে টর্চলাইট ছিল। ডাকাতদের কয়েকজনের পরনে লুঙ্গি মাল খোসা দেয়া ছিল। ডাকাতরা ডাকাতী করে পূর্বদিকে পায়ে হেটে চলে যায়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর আমরা ডাক চিৎকার করলে শোড়গুল শুনে প্রতিবেশী (১) রশিদ মেম্বার, পিতা-মৃত সুরুজ আলী সাং-সিধনী, (২) মন্ডল হোসেন, পিতা-মৃত সূরুজ আলী, সাং-ঐ, (৩) জয়নাল, পিতা-মৃত জব্বার, সাং-ঐ, (৪) সাদির, পিতা-জয়নাল, সাং-ঐ, (৫) শান্তু, পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ঐ, থানা- শ্রীনগর গং লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। তারা ঘটনা দেখে ও শোনে। আমি ডাকাতদের টর্চের আলোতে ডাকাতদের চিনতে পারার কথা তাদের নিকট প্রকাশ করেছি। 

প্রতিবেশী লোকজনের নিকট ঘটনার কথা বলে থানায় এসে এজাহার দায়ের করলাম। এখানে উল্লেখ্য যে, উক্ত ডাকাতদের পুনরায় দেখলে আমরা চিনতে পারব।

লুণ্ঠিত মালামালের মূল্য তালিকা

১। নগদ টাকা ৪, ৫৭,০০০/- টাকা

২। স্বর্ণালংকার: আনুমানিক মূল্য ৫, ০০,০০০ টাকা।

৩। ৫ সেট মোবাইল ফোন: আনুমানিক মূল্য ১,৫০,০০০ টাকা।

৪. হাত ঘড়ি তিন সেট:আনুমানিক মূল্য ৫০,০০০ টাকা।

মোট ১১,৫৭,০০০ টাকা মূল্যের নগদ অর্থ ও  মালামাল।


নিবেদক 

মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া

তারিখ


ড্রাফটিং: খুনের মামলার এজাহারের নমুনা।


বরাবর,

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

মুন্সিগঞ্জ সদর থানা, মুন্সিগঞ্জ।


বিষয়- এজাহার দায়ের প্রসঙ্গ।

জনাব,

আমার নাম মোঃ সবির উদ্দিন, পিতা: মৃত-সুরুজ আলী, সাং.... থানা-মুন্সিগঞ্জ সদর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ। আমার বয়স অনুমান ৪৫ বৎসর। আমি কৃষি কাজ করি। আমি লেখা পড়া জানি না । অদ্য ইং.....তাং মোতাবেক বাংলা.....রোজ......বেলা.....ঘটিকায় সঙ্গীয় (১)--------, পিতা------------, (২) --- পিতা-- (৩) --- পিতা--( (8) ------পিতা------(৫) প্রাক্তন চেয়ারম্যান ----, (৬)--------ইউ পি চেয়ারম্যান সর্ব থানা-মুন্সিগঞ্জ সদর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, গং থানায় হাজির হয়ে এমর্মে মৌখিক এজাহার করছি যে, অদ্য ইং.....তাং মোতাবেক বাংলা......রোজ..... সকাল অনুমান .....টার সময় আমি আমার বাড়ী হতে অনুমান ৫০০ গজ দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত মরিচ ক্ষেতে ক্ষেত পরিচর্যা যাই। আমার জমি সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বের মরিচ ক্ষেতে আমার শ্যালক আয়াতুল, (২৫), পিতা-মৃত রুস্তম আলী, নজরুল, পিতা-ঐ, একই সময়ে কাজ করতে থাকে। আমার চাচাত শ্যালক সহিদ, (১৮) পিতা-আব্দুল মজিদ আমাদের ক্ষেতের অনুমান ৩০ গজ পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে বাদঘুরী হাওরের দিকে যেতে থাকে। অদ্য সকাল অনুমান ৮ টার সময় আসামী, (১) মল্লিক মিয়া, পিতা-চান মিয়া, (২) শহিদুল ইসলাম, পিতা-মৃত আমেদ আলী, (৩) ইজ্জত আলী, পিতা-মৃত সোলেয়মান, (৪) দুলাল, পিতা-ইজ্জত আলী, (৫) হাফিজ উদ্দিন, পিতা-ঐ, (৬) হাদিস মিয়া, পিতা-মৃত আসেদ আলী, (৭) কালমি, পিতা-মৃত সোনাফর, (৮) হাদিস মিয়া, পিতা-ঐ, (৯) নজু, পিতা-ঐ, (১০) আব্দুল খালেক, পিতা-ঐ, (১১) মফিজ উদ্দিন, পিতা-ইজ্জত আলী, (১২) আলী, পিতা-খোয়াজ আলী, (১৩) আবাল মিয়া, পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ, (১৪) মমিন হোসেন, পিতা-মৃত সরাফত, (১৫) কাঞ্চন মিয়া, পিতা-মৃত দুলু মিয়া- সহ আরো অনুমান ৮/১০ জন সর্ব সাং-মোজাফফুর, থানা-মুন্সিগঞ্জ সদর, জেলা-মুন্সিগঞ্জ বল্লম, কাতরা, হলংগা, ঢাল ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রসহ জমির উত্তর পার্শ্ব দিয়ে আমাদের দিকে মারমূখী অবস্থায় আসতে থাকলে আমি আমার শ্যালক আয়াতুল, নজরুল ও সহিদ দৌড়ে আমাদের বাড়ীর দিকে যেতে থাকি। আমি দৌড়ে বাড়ীতে উঠি কিন্তু আমার শ্যালক আয়াতুল ও সহিদ দৌড়ে আমাদের বাড়ীর দক্ষিণ পার্শ্বে আয়াতুল-এর জমির মধ্যে পৌঁছলে আসামীগণ তাদের ধরে ফেলে। আসামী ইজ্জত আলী হুকুম দেয় যে, “শালার পুতেগো বাড়ী হতে ধরে এনে শেষ কর'। হুকুম দিয়েই সে তার হাতে থাকা বল্লম দিয়ে আয়াতুল এর পিঠের ডান পার্শ্বে ঘাই দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। তখন আসামী হাফিজ মিয়া বল্লম দিয়ে বাম বগলের নীচে ঘাই দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আসামী আবাল হোসেন হলংগা দিয়ে আয়াতুলের পিঠে ঘাই দিয়ে জখম করে। আসামী আলী হলংগা দিয়ে বারি মেরে আয়াতুলের বাম অংশে ফোলা জখম করে। সহিদ প্রাণ ভয়ে আমাদের বাড়ীর ভেতর যাওয়ার সময় আসামী হাফিজ সহিদকে গলা ধরে হেচড়িয়ে বাড়ীর সামনে মরিচ ক্ষেতের মধ্যে নিলে আসামী বল্লম দিয়ে পেটের বাম পার্শ্বে ঘাই দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। জখম প্রাপ্ত হয়ে সহিদ বাবাগো বলে জোরে চিৎকার দিলে মুকছুদ আলী তাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসলে আসামী দুলাল হাতে থাকা বল্লম দিয়ে ঘাই মেরে মুকছুদ আলীর বাম পার্শ্বে বগলের নীচে নরঘাতি রক্তাক্ত জখম করে। আসামী শহিদুল ইসলাম বল্লম দিয়ে ঘাই দিয়ে মুকছুদ আলীর বুকের বাম পার্শ্বে ঘাই দিয়ে গুরুতর জখম করে। আসামী কালাম বল্লম দিয়ে ঘাই মেরে মুকছুদ আলীর বাম হাতের বাহুতে রক্তাক্ত জখম করে। আসামী নাজু তার হাতে থাকা হলংগা দিয়ে ডান হাতের বাহুতে আঘাত দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আসামী খালেক হলংগা দিয়ে মুকছুদ আলীর ডান পায়ের পাতার উপর গিরায় আঘাত দিয়ে ফাটা জখম করে। আসামী মুমিন তার হাতে থাকা হলংগা দ্বারা মুকছুদ এর বাম ও ডান হাটুর নীচে আঘাত দিয়ে ফোলা জখম করে। তখন আমার ও জখমীদের আর্তচিৎকারে আমাদের গ্রামের ওয়াহেদ মিয়া, পিতা-আব্দুল মজিদ, নজরুল ইসলাম, পিতা-মৃত রুস্তম আলী, সোনা মিয়া, পিতা-মৃত চান মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক ওরফে নজর আলী, পিতা-মৃত মিয়াধর, এখলাছ মিয়া, পিতা-আব্দুর রহমান, আব্দুল মজিদ, পিতা-মৃত মিয়াধর, রূপালী পিতা-মৃত গফর আলী, হারুনুর রশিদ, পিতা-মৃত আব্দুর রহমান, নূর বানু, স্বামী-মৃত রুস্তম আলী গং এগিয়ে আসলে আসামীগণ তাদেরকেও ধাওয়া করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। আসামী বাবুল তার হাতে থাকা বল্লম দ্বারা ওয়াহেদ মিয়ার বুকে, আসামী কাইয়ুম বল্লম দ্বারা নজরুলের উরুতে (বাম) এবং আসামী ছাত্তার বল্লম দ্বারা নজরুলের বাম হাতের বাহুতে, আসামী মল্লিক বল্লম দিয়ে সোনা মিয়ার পুরুষাঙ্গে, আসামী বকুল বল্লম দিয়ে রাজ্জাকের বুকের বামপার্শ্বে, আসামী খালেক বল্লম দিয়ে এখলাছ মিয়ার বাম পায়ের হাটুর নীচে, আসামী কাঞ্চন হলংগা দিয়ে আব্দুল মজিদের বাম উরুতে ঘাই দিয়ে ফোলা জখম, আসামী হাবিল বল্লম দিয়ে আব্দুল মজিদের বাম পায়ের পাতার উপর ঘাই দিয়ে জখম করে। আসামী ছাইফুল বল্লমের আছাড় দিয়ে আঘাত দিয়ে রূপালির মাথায় জখম করে। পরে গ্রামের অন্যান্য লোকজন যথা-(১) গোলাম মোস্তাফা, পিতা-মৃত আব্দুল মান্নান, (২) তাহের উদ্দিন, পিতা-গোলাম আলী, (৩) মতিয়ার রহমান, পিতা-মৃত ওয়াহেদ আলী এগিয়ে আসলে এবং খুন হয়েছে বলে রব উঠলে আসামীগণ পালিয়ে যায়। আমি পরে জখমীদের নিকট গিয়ে দেখি যে, জখমী ওয়াহিদ মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছে। জখমী আয়াতুন ও মুকছুদ আলী গুরুতর মুমুর্ষ আবস্থায় গোঙ্গাতে থাকলে আয়াতুলকে আমাদের গ্রামের আসাদুজ্জামান ও আব্দুল হাই ধরাধরি করে রিক্সা যোগে চিড়াং এবং চিড়াং হতে টেম্পু যোগে হাসপাতালে নেয়ার পথে এবং মুকছুদকে চিকিৎসার জন্য বাচ্চু ও নাগর আলী রিক্সা করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে আদমপুর পৌছলে আয়াতুল ও মুকছুদ আলী মারা যায়। অন্যান্য আসামীদের অন্যান্য গ্রামের লোকজন চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। জখমীদের মধ্যে নজরুল ও আব্দুর রাজ্জাক ওরফে নজর আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতাল হতে ভাল চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এই আমার এজাহার। আমি লেখাপড়া জানি না। এজাহার আমার কথাক্রমে লেখা হলে পড়ে শুনালে শুদ্ধ স্বীকারে টিপ সহি প্রধান করলাম।


নিবেদক 

মোঃ সবির উদ্দিন

তারিখ 

চুরি ও মারপিটের ডাকাতির খুনের মামলার এজাহার নমুনা ড্রাফটিং Drafting GR Case টি ডাউনলোড করতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন

ডাউনলোড

Popular Posts

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...

চার্জ গঠন কাকে বলে চার্জ গঠনের উদ্দেশ্যে ও চার্জে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে

 ভিডিও শর্ট নোটস্ অন ল - চার্জ ও চার্জ গঠন কাকে বলে?  চার্জ গঠনের উদ্দেশ্যে ও চার্জে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে?  কখন বিভিন্ন অপরাধের চার্জ ও বিচার একসাথে করা যায় ও কখন করা যায় না?  ত্রুটিপূর্ণ চার্জ গঠনের ফলাফল কি?  চার্জশিট ব্যাতিত বিচার বৈধ কিনা।  কখন আসামিকে অব্যহতি দেয়া হয়? Video Short Notes on Law.  What is charge and what is framing of charge?  What is the aim of framing of charge?  What things are included in the charge?  When several charges can be framed and tried at the same time and when not possible?  What is the result of faulty charge?  Whether trial is valid without charge sheet.  When the defendant is discharged from guilt. প্রশ্ন: চার্জ (charge) কাকে বলে? উত্তর: ফৌজদারি কার্যবিধির ৪ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী-কোন চার্জ একাধিক দফা সম্বলিত হলে সেই দফা সমূহের যে কোন একটি দফা চারজন অন্তর্ভুক্ত হবে। (Charge includes any head of charge when the charge contains more its than one.) অন্যভাবে বলা যায় -কোন অপরাধীকে...