Skip to main content

বার কাউন্সিল বিজেএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি পর্ব ৩ part3

বার কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন বিজেএস এর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি পর্ব ৩

প্রশ্ন: বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকার দেওয়ানী আদালতসমূহ কি কি? - বার কাউন্সিল পরীক্ষা, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৬

উত্তর: বিভিন্ন প্রকারের দেওয়ানী আদালত ও দেওয়ানী আদালতসমূহের গঠন সম্পর্কে সিভিল কোর্টস এ্যাক্ট, ১৮৮৭ সালের ৩ ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ সিভিল কোর্টস এ্যাক্ট, ১৮৮৭ অনুযায়ী দেওয়ানী আদালতসমূহ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সিভিল কোর্টস এ্যাক্ট, ১৮৮৭ এর ৩ ধারায় বলা হয়েছে, ৫ প্রকার দেওয়ানী আদালত থাকবে।

১. জেলা জজের আদালত

২. অতিরিক্ত জেলা জজের আদালত

৩. যুগ্ম জেলা জজের আদালত

৪. সিনিয়র সহকারী জজের আদালত

৫. সহকারী জজের আদালত

প্রশ্ন:'এখতিয়ার' এবং দেওয়ানী প্রকৃতির মামলা' বলতে কি বুঝেন? - বার কাউন্সিল পরীক্ষা, ৩১ জুলাই, ২০১৫।

অথবা

 এখতিয়ার" এবং "দেওয়ানী প্রকৃতির মামলা" বলিতে আপনি কি বোঝেন? আইনের বিধান উল্লেখপূর্বক ব্যাখ্যা করুন"। - বার কাউন্সিল পরীক্ষা, ০৮ এপ্রিল, ২০০৫, ০৯ ডিসেম্বর ২০০৬।

অথবা

দেওয়ানি প্রকৃতির মোকদ্দমা বলতে কি বুঝ- বিজেএস পরীক্ষা, ২০১৩।

উত্তর:

 আদালতের এখতিয়ারের অর্থ: 

এখতিয়ার হলো আদালতের কোন মোকদ্দমা শোনা এবং নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা এবং এই ক্ষেত্রে বিচারার্থে সিদ্ধান্ত দেওয়া এবং কোন বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করা। অন্যভাবে বলা যায়, এখতিয়ার বলতে আদালতের সেই ক্ষমতাকে বোঝায় যার দ্বারা আদালত উহার নিকট যে বিষয় নিয়ে মোকদ্দমা করা হয়েছে সেটা নিষ্পত্তি করতে পারে অথবা আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য উপস্থাপিত কোন বিষয় আমলে নিতে পারে। সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার যে, কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে আদালতের এখতিয়ার আছে বলে গণ্য হবে যদি যে মোকদ্দমা দায়ের করা হয়েছে তা বিচার করতে এবং যে আদেশ প্রার্থনা করা হয়েছে তা মঞ্জুর করার এখতিয়ার আদালতের থাকে। দেওয়ানী আদালতের কোন মোকদ্দমার বিচার করার এখতিয়ার আছে কিনা এমন প্রশ্নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়ানী কার্যবিধির ৯ ধারা আর্থিক এখতিয়ার নির্ধারণে ৬ ধারা এবং আঞ্চলিক এখতিয়ার আছে কিনা সেটা নির্ধারণ করতে ১৫ থেকে ২৩ ধারা পর্যন্ত বর্ণিত বিধান বিবেচনায় নিতে হবে।

দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা [Suits of a Civil Nature] :

দেওয়ানী কার্যবিধির ৯ ধারায় দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমার সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ৯ ধারার ব্যাখ্যায় বিধান করা হয়েছে, যে মোকদ্দমায় সম্পত্তি বা পদের অধিকার সম্পর্কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, সেই মোকদ্দমা দেওয়ানী প্রকৃতির, যদিও উক্ত অধিকার সম্পূর্ণরুপে ধর্মীয় আচার বা উৎসব সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করতে পারে । সুতরাং, ৯ ধারায় নিম্নলিখিত ২টি অধিকার বিষয়ক মোকদ্দমাকে দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

১. সম্পত্তির অধিকার সম্পর্কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এমন মোকদ্দমা। যেমন, বন্ধকি সম্পত্তি উদ্ধারের

অধিকার বা ঋণ উদ্ধারের অধিকার বা সরকারী কর্মকর্তার বকেয়া বেতন উদ্ধারের অধিকার ইত্যাদি দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা। বা

২. পদের অধিকার সম্পর্কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এমন মোকদ্দমা । যেমন মোতায়াল্লির পদের অধিকারহানী করা হয়েছে এই মর্মে ঘোষণার মোকদ্দমা বা কোন ব্যক্তি কোন প্রতিষ্ঠানের কোন পদের অধিকারী মর্মে ঘোষণা সংক্রান্ত মোকদ্দমা দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা।

চুক্তিভঙ্গের জন্য ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমা বা ভাড়া আদায়ের মোকদ্দমা বা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার যেমন চুক্তি বলবৎ, চুক্তি রদ, দলিল সংশোধন, দলিল বাতিল ঘোষণামূলক মোকদ্দমা, নিষেধাজ্ঞা, সম্পত্তিতে দখল উদ্ধার ইত্যাদি সম্পর্কিত মোকদ্দমা দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা। ধর্মীয় আচার বা উৎসবের প্রশ্নযুক্ত মোকদ্দমা সাধারণত দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা না। কিন্তু ধর্মীয় বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত সম্পত্তি বা পদের অধিকারের প্রশ্নযুক্ত মোকদ্দমা দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা হিসাবে বিবেচিত হবে। উদাহরণ: বাদীর ধর্মীয় সম্মান বিষয়ে ঘোষণার মোকদ্দমা দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা না কিন্তু মন্দিরে ধর্মীয় পদে বাদীর অধিকার ঘোষণার মোকদ্দমা এবং উক্ত পদের সাথে সংযুক্ত সম্মান, সুবিধা ও বেতন বিষয়ে ঘোষণার মোকদ্দমা দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা হিসাবে গণ্য হবে। বা ওয়াকফ সম্পত্তি তত্ত্বাবধায়ক তথা মোতায়াল্লির পদের অধিকার সংক্রান্ত মোকদ্দমা দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা।

প্রশ্ন: বিচার করিবার ক্ষমতা সম্পন্ন সর্বনিম্ন আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করিতে হইবে। সংশ্লিষ্ট আইন উল্লেখে আলোচনা কর। -বিজিএস পরীক্ষা ২০১৫

উত্তর: দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫ ধারায় বিধান করা হয়েছে, প্রত্যেক মামলা বিচার করার ক্ষমতাসম্পন্ন সর্বনিম্ন আদালতে দায়ের করতে হবে। ১৫ ধারা দেওয়ানী আদালতের আর্থিক এখতিয়ার সম্পর্কে বিধান করেছে। ১৫ ধারায় ব্যবহৃত সর্বনিম্ন স্তরের আদালত বলতে আর্থিক এখতিয়ার অনুসারে সর্বনিম্ন স্তরের আদালতকে বোঝানো হয়েছে। কোনটি সর্বনিম্ন আদালত সেটা নির্ধারিত হবে আদালতের আর্থিক এখতিয়ার এবং মোকদ্দমার মূল্যমান অনুযায়ী। যেমন, চুক্তি ভঙ্গের জন্য ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমা যে কোন আদি এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত যেমন যুগ্ম জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, এবং সহকারী জজ বিচার করার এখতিয়ার সম্পন্ন। কিন্তু মোকদ্দমাটির মূল্যমান অনুযায়ী সর্বনিম্ন আদালতে দায়ের করতে হবে। যেমন, ২৫ লক্ষ টাকার মূল্যমানের কোন মোকদ্দমা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দায়ের করতে হবে যদিও সহকারী জজ সিনিয়র সহকারী জজ অপেক্ষা নিম্নস্তরের আদালত। কারণ সহকারী জজ ১৫ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যমানের কোন মামলার বিচার করতে পারেনা।

প্রশ্ন: দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা দায়ের সম্পর্কিত বিধানগুলি বর্ণনা করুন। - বার কাউন্সিল পরীক্ষা, ১৯ জুন ২০০৯

উত্তর:

 দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা দায়ের সম্পর্কিত বিধানসমূহ:

দেওয়ানী আদালতে দেওয়ানী প্রকৃতির মোকদ্দমা দায়ের সম্পর্কিত বিধানসমূহ দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫ থেকে ২০ ধারা পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ কোন দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে তা দেওয়ানী আদালত আইন, ১৮৮৭ এবং দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫ থেকে ২০ ধারা একত্রে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিচে দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা দায়ের সম্পর্কিত বিধানসমূহ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বিচার করার ক্ষমতা সম্পন্ন সর্বনিম্ন আদালতে মোকদ্দমা দায়ের: 

(পূর্ববর্তী প্রশ্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।)

স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত মোকদ্দমা দায়েরের বিধান ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে, অস্থাবর সম্পত্তি ও কোন ব্যক্তির প্রতি ক্ষতিজনিত ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমা দায়ের সংক্রান্ত বিধান ১৯ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে। ১৫ থেকে ১৯ ধারা যে সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না, সেই ক্ষেত্রে কোথায় মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে তা ২০ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে।

প্রশ্ন: স্থাবর সম্পত্তি বিষয়ে দেওয়ানী মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ার সংক্রান্ত বিধানাগুলো আলোচনা করুন। - বিজেএস পরীক্ষা, ২০১০। 

অথবা

স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা কোন আদালতে দায়ের করতে হয়? - বিজেএস পরীক্ষা, ২০০৮

অথবা

স্থাবর সম্পত্তির মামলা কোন আদালতে দায়ের করিতে হয়? উদাহরণ সহকারে ব্যাখ্যা করুন। - বার কাউন্সিল পরীক্ষা, ১৯ জুন ২০০৯।

উত্তর: 

স্থাবর সম্পত্তির মোকদ্দমার ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালতের আঞ্চলিক এখতিয়ার:

স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত দেওয়ানী মোকদ্দমার বিষয়ে দেওয়ানী আদালতের আঞ্চলিক এখতিয়ার

সম্পর্কে ১৬, ১৭ এবং ১৮ ধারায় আলোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত মোকদ্দমা দায়েরের  দেওয়ানী আদালতের আঞ্চলিক এখতিয়ার ১৬, ১৭ এবং ১৮ ধারা অনুসারে নির্ধারণ করতে হবে ও মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে।

১. মোকদ্দমার বিষয়বস্তু যে আদালতের আঞ্চলিক সীমানার মধ্যে অবস্থিত সেই আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে:

দেওয়ানী কার্যবিধির ১৬ ধারার (ক) থেকে (ঙ) দফায় স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত ৫ প্রকারের মোকদ্দমা দায়েরের স্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ১৬ ধারার (ক) থেকে (ঙ) দফা অনুসারে স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত নিম্নলিখিত মামলা সেই আদালতে দায়ের করতে হবে, যেখানে উক্ত বিরোধীয় স্থাবর সম্পত্তি অবস্থিত, যথা:

i. খাজনা বা লভ্যাংশ সহ বা ব্যতীত স্থাবর সম্পত্তি উদ্ধারের মোকদ্দমা,

ii. স্থাবর সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারার মোকদ্দমা,

iii. স্থাবর সম্পত্তির বন্ধকের ক্ষেত্রে বন্ধকি সম্পত্তি খালাসের অধিকারহরণ বা বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রয় বা উদ্ধারের মামলা বা স্থাবর সম্পত্তিতে চার্জ সংক্রান্ত মোকদ্দমা,

iv..স্থাবর সম্পত্তিতে অন্য কোন প্রকার অধিকার বা স্বার্থ নির্ণয়ের জন্য মোকদ্দমা,

v. স্থাবর সম্পত্তি অনিষ্ট সাধনের জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা।

উপরে উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত মামলা সেই আদালতে দায়ের করতে হবে, যেখানে উক্ত বিরোধীয় সম্পত্তি অবস্থিত। কিন্তু স্থাবর সম্পত্তির বন্ধকের ক্ষেত্রে বন্ধকি সম্পত্তি খালাসের অধিকারহরণ বা বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রয় বা উদ্ধারের মামলা যে সকল আদালতের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অবস্থিত অথবা যেই স্থানে মোকদ্দমার কারণ পূর্ণভাবে অথবা আংশিকভাবে উদ্ভব হয়, সেই সব আদালতেই দায়ের করা যাবে।

২. কিন্তু ভিন্ন আদালতের এখতিয়ারাধীন স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত মোকদ্দমা:

দেওয়ানী কার্যবিধির ১৭ ধারা অনুসারে, বিভিন্ন আদালতের এখতিয়ারাধীন স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত মোকদ্দমা বা উক্ত সম্পত্তিতে ক্ষতির কারণে ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমা, উক্ত সম্পত্তির অংশবিশেষ যে আদালতের এখতিয়ারে অবস্থিত, সেইরুপ যেকোন আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করা যেতে পারে।

৩. আদালতরে আঞ্চলিক এখতিয়ার অনিশ্চিত হলে

দেওয়ানী কার্যবিধির ১৮ ধারা অনুসারে, যখন আদালতের আঞ্চলিক সীমানা অনিশ্চিত অর্থাৎ যখন দাবী করা হয় কোন আদালতের আঞ্চলিক সীমানায় বিরোধীয় স্থাবর সম্পত্তি অবস্থিত তা অনিশ্চিত, তখন যে কোন একটি আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করা যায়।

প্রশ্ন: কোন ব্যক্তি বা কোন অস্থাবর সম্পত্তির প্রতি ক্ষতিসাধন করা হলে ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমা দায়ের সংক্রান্ত বিধান কি আলোচনা করুন।

উত্তর: দেওয়ানী কার্যবিধির ১৯ ধারায় বলা হয়েছে,

কোন ব্যক্তি বা কোন অস্থাবর সম্পত্তির প্রতি এক আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে ক্ষতিসাধন করা হলে, এবং বিবাদী অন্য আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে বসবাস করলে বা ব্যবসা করলে বা লাভজনক কাজ করলে, বাদী দুই আদালতের যে কোন একটিতে ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করতে পারবে। অন্যভাবে বলা যায়, বাদী তার ইচ্ছা অনুযায়ী কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণের মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে যেখানে ক্ষতি সংঘটিত হয়েছে সেখানে, বা যেখানে বিবাদী বসবাস করে, ব্যবসা করে, ব্যক্তিগত লাভের জন্য কাজ করে সেখানে।

প্রশ্ন: দেওয়ানী কার্যবিধির ২০ ধারার বিধান আলোচনা করুন। - বার কাউন্সিল পরীক্ষা, ২৯ আগষ্ট ২০০৮।

উত্তর:

দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার বিষয়ে ২০ ধারার বিধান:

দেওয়ানী কার্যবিধির ২০ ধারায় বিধান করা হয়েছে, যে সকল মামলার ক্ষেত্রে দেওয়ানী কার্যবিধির ১৬ থেকে ১৯ ধারায় উল্লিখিত বিধান প্রযোজ্য হয়না, সেই সকল অন্যান্য মোকদ্দমার ক্ষেত্রে বিবাদী যেখানে বসবাস করে অথবা যেখানে মোকদ্দমার কারণ উৎপত্তি হয়, সেখানে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে। সুতরাং-

১. যেখানে বিবাদী বসবাস করে, ব্যবসা পরিচালনা করে, বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য কাজ করে সেখানে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে অথবা

২. যেখানে মোকদ্দমার কারণ আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে উৎপত্তি হয়, সেখানে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে।

৩. যেক্ষেত্রে একাধিক বিবাদী থাকে, সেই ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেকে বা যে কোন একজন যেখানে বসবাস করে বা ব্যবসা করে বা লাভজনক কাজ করে, সেখানে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে। উদাহরণ: 'এ' ঢাকার ব্যবসায়ী। 'বি' চট্টগ্রামে ব্যবসা করে। 'বি' ঢাকাতে তার এজেন্ট এর মাধ্যমে 'এ' এর পণ্য কিনেছে এবং 'এ' কে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ বিমান এ ডেলিভারী করতে। 'এ' সেই অনুযায়ী ডেলিভারী করেছে। 'এ' 'বি' এর বিরুদ্ধে ঢাকাতে (মোকদ্দমার কারণ উৎপত্তির স্থান) অথবা চট্টগ্রামে (যেখানে বিবাদী 'বি' বসবাস করে) মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে।


বার কাউন্সিল পরীক্ষা এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিজেএস লিখিত পরীক্ষার এই পর্বের প্রশ্নপত্র এবং উত্তর ডাউনলোড করতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন

ডাউনলোড

Popular Posts

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...

চার্জ গঠন কাকে বলে চার্জ গঠনের উদ্দেশ্যে ও চার্জে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে

 ভিডিও শর্ট নোটস্ অন ল - চার্জ ও চার্জ গঠন কাকে বলে?  চার্জ গঠনের উদ্দেশ্যে ও চার্জে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে?  কখন বিভিন্ন অপরাধের চার্জ ও বিচার একসাথে করা যায় ও কখন করা যায় না?  ত্রুটিপূর্ণ চার্জ গঠনের ফলাফল কি?  চার্জশিট ব্যাতিত বিচার বৈধ কিনা।  কখন আসামিকে অব্যহতি দেয়া হয়? Video Short Notes on Law.  What is charge and what is framing of charge?  What is the aim of framing of charge?  What things are included in the charge?  When several charges can be framed and tried at the same time and when not possible?  What is the result of faulty charge?  Whether trial is valid without charge sheet.  When the defendant is discharged from guilt. প্রশ্ন: চার্জ (charge) কাকে বলে? উত্তর: ফৌজদারি কার্যবিধির ৪ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী-কোন চার্জ একাধিক দফা সম্বলিত হলে সেই দফা সমূহের যে কোন একটি দফা চারজন অন্তর্ভুক্ত হবে। (Charge includes any head of charge when the charge contains more its than one.) অন্যভাবে বলা যায় -কোন অপরাধীকে...