- Get link
- X
- Other Apps
বার কাউন্সিল লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সমাধান। পরীক্ষা ২৮ জুন ২০২৫। প্রশ্ন নং ১০ এর ক ও খ।
১০। ক) The Limitation Act, 1908 এর বিলম্ব মওকুফ সংক্রান্ত ৫ ধারার পরিধি আলোচনা করুন। বিলম্ব মওকুফের যথাযথ কারণসমূহ কী?
১০। খ) বিশেষ আইনসমূহের ক্ষেত্রে The Limitation Act, 1908 এর ৫ ধারার প্রয়োগ সম্পর্কে আলোকপাত করুন। টাকার মোকদ্দমায় Y এর বিরুদ্ধে গত ১০/৫/২০২৫ তারিখ সহকারী জজ রায় ও ডিক্রি প্রদান করেন এবং সে মোতাবেক গত ১৫/৫/২০২৫ তারিখ ডিক্রি প্রস্তুত হয়। Y গত ২২/৫/২০২৫ তারিখ রায় ও ডিক্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি প্রাপ্ত হয়। জেলা জজের নিকট সর্বশেষ কত তারিখ পর্যন্ত আপিল দায়ের করা যাবে তা জানার জন্য Y ২৮/৫/২০২৫ তারিখ আপনার নিকট পরামর্শের জন্য আসে। The Limitation Act, 1908 এর সংশ্লিষ্ট বিধানসমূহ উল্লেখে Y কে আপনার পরামর্শ প্রদান করুন।
১০ নং প্রশ্নের উত্তর (ক)
The Limitation Act, 1908 এর বিলম্ব মওকুফ সংক্রান্ত ৫ ধারার পরিধি এবং বিলম্ব মওকুফের যথাযথ কারণসমূহ নিম্নরূপ:
The Limitation Act, 1908 এর ৫ ধারার পরিধি (Scope of Section 5 of The Limitation Act, 1908)
The Limitation Act, 1908 (তামাদি আইন, ১৯০৮) এর ৫ ধারাটি "কতিপয় আপিল এবং দরখাস্ত দাখিল করার জন্য সময় বর্ধিত করার ক্ষমতা" (Power to extend period in certain cases) সংক্রান্ত বিধান। এই ধারা আদালতকে বিশেষ পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের (prescribed period) মধ্যে আপিল, রিভিশন, রিভিউ বা অন্য কোনো দরখাস্ত দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়া ব্যক্তিকে সেই ব্যর্থতা ক্ষমা করার (condone the delay) ক্ষমতা প্রদান করে, যদি আবেদনকারী বিলম্বে সন্তোষজনক কারণ (sufficient cause) দেখাতে পারেন।
পরিধি:
* প্রযোজ্যতা: ৫ ধারা শুধুমাত্র আপিল, রিভিশন, রিভিউ এবং The Limitation Act, 1908 এর প্রথম তফসিলে উল্লেখিত নির্দিষ্ট কিছু দরখাস্তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এটি সাধারণত মূল মামলা (suits) দায়েরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ, কোনো মামলা দায়েরের নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে গেলে সাধারণত ৫ ধারার অধীনে বিলম্ব মওকুফ চাওয়া যায় না। তবে, বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছু আইন দ্বারা মামলার ক্ষেত্রেও এর প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
* আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা (Discretionary Power): ৫ ধারার অধীনে বিলম্ব মওকুফ করার ক্ষমতা আদালতের স্বেচ্ছাধীন। আদালতকে অবশ্যই প্রতিটি মামলার ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটি আবেদনকারীর অধিকার নয়।
* সন্তুষ্ট কারণের উপর নির্ভরশীলতা: আবেদনকারীকে অবশ্যই বিলম্বের জন্য "পর্যাপ্ত কারণ" (sufficient cause) দেখাতে হবে। এই কারণের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিতে পারলে আদালত বিলম্ব মওকুফ নাও করতে পারেন।
* ন্যায়বিচারের স্বার্থ: ৫ ধারার মূল উদ্দেশ্য হলো, শুধুমাত্র সময়সীমা সংক্রান্ত কঠোরতার কারণে একজন ব্যক্তির ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়া রোধ করা। যদি দেখা যায় যে, সময়সীমা লঙ্ঘনের পেছনে কোনো অসতর্কতা বা খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না, তবে আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিলম্ব মওকুফ করতে পারেন।
বিলম্ব মওকুফের যথাযথ কারণসমূহ (Sufficient Causes for Condonation of Delay)
"সন্তুষ্ট কারণ" (sufficient cause) কথাটি তামাদি আইনে সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। এটি প্রতিটি মামলার পরিস্থিতি এবং তথ্যের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। তবে, আদালতের বিভিন্ন রায়ে যেসকল কারণকে সাধারণত "সন্তুষ্ট কারণ" হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, তার কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
১. অসুস্থতা: আবেদনকারী বা তার আইনজীবীর গুরুতর অসুস্থতা, যার কারণে তিনি সময়মতো আবেদন দাখিল করতে পারেননি।
২. আইনের ভুলের পরামর্শ: যদি আবেদনকারীকে তার আইনজীবীর পক্ষ থেকে ভুল আইনি পরামর্শ দেওয়া হয় এবং এর ফলে তিনি সময়সীমা অতিক্রম করেন। তবে, আইনজীবীর চরম অবহেলা এক্ষেত্রে সন্তুষ্ট কারণ নাও হতে পারে।
৩. অফিসিয়াল ত্রুটি: আদালতের বা আদালতের কর্মচারীদের কোনো ত্রুটি, যেমন - ডিক্রি প্রস্তুত করতে বিলম্ব, নোটিশ প্রদানে বিলম্ব, বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেতে বিলম্ব।
৪. দুর্যোগ: বন্যা, ভূমিকম্প, ঝড় বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে বা আদালত বন্ধ থাকলে।
৫. দরিদ্রতা: চরম আর্থিক অনটন, যা আবেদনকারীকে সময়মতো আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধা দেয়।
৬. কারাবাস: আবেদনকারীর বৈধ কারণে কারাবাস, যার ফলে তিনি সময়মতো আবেদন করতে পারেননি।
৭. নথি প্রাপ্তিতে বিলম্ব: আদালতের রায় বা ডিক্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি (certified copy) পেতে বিলম্ব, যা আপিল বা রিভিউ দাখিলের জন্য অপরিহার্য।
৮. আইনি অজ্ঞতা (সীমিত ক্ষেত্রে): সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে আইনের অজ্ঞতা সাধারণত সন্তুষ্ট কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় না, তবে যদি কোনো ব্যক্তি প্রত্যন্ত অঞ্চলের হয় এবং আইনি সহায়তা পেতে অক্ষম হয়, তবে সীমিত ক্ষেত্রে এটি বিবেচিত হতে পারে।
৯. পরিবারের জরুরি অবস্থা: আবেদনকারীর পরিবারের কোনো সদস্যের গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যু, যা তাকে সময়মতো পদক্ষেপ নিতে বাধা দেয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে, বিলম্বের পেছনে তার কোনো ইচ্ছাকৃত অবহেলা বা খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না এবং তিনি সময়মতো পদক্ষেপ নিতে আন্তরিক চেষ্টা করেছেন।
১০ নং প্রশ্নের উত্তর (খ)
বিশেষ আইনসমূহের ক্ষেত্রে The Limitation Act, 1908 এর ৫ ধারার প্রয়োগ সম্পর্কে আলোকপাত
The Limitation Act, 1908 এর ৫ ধারা একটি সাধারণ আইন, যা আপিল, রিভিশন, রিভিউ এবং নির্দিষ্ট কিছু দরখাস্তের ক্ষেত্রে বিলম্ব মওকুফের ক্ষমতা প্রদান করে। তবে, বিশেষ আইন (Special Laws) বা স্থানীয় আইন (Local Laws) এর ক্ষেত্রে ৫ ধারার প্রয়োগ নির্ভর করে সেই বিশেষ আইনের নিজস্ব বিধানের উপর।
সাধারণ নীতি:
* যদি কোনো বিশেষ আইনে আপিল বা দরখাস্ত দাখিলের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত থাকে এবং সেই বিশেষ আইনে ৫ ধারার প্রয়োগের স্পষ্ট উল্লেখ থাকে, তবেই ৫ ধারা প্রযোজ্য হবে।
* যদি বিশেষ আইনে ৫ ধারার প্রয়োগ সম্পর্কে কোনো উল্লেখ না থাকে এবং সেই আইন নিজেই সময়সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি বিলম্ব মওকুফের নিজস্ব বিধান না রাখে, তবে সাধারণত ৫ ধারা প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ, যদি বিশেষ আইনে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ তামাদি ব্যবস্থা থাকে, তবে The Limitation Act, 1908 এর ৫ ধারা সাধারণত প্রযোজ্য হবে না।
* তবে, যদি বিশেষ আইনে এমন কোনো শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হয় যা দ্বারা The Limitation Act, 1908 এর প্রয়োগকে অনুমোদন করা হয় (যেমন: "subject to the provisions of the Limitation Act"), তবে ৫ ধারা প্রযোজ্য হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ:
* বিশেষ আইনের অন্তর্ভুক্তির উদাহরণ: অনেক সময় বিশেষ আইনে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে যে, "The provisions of Section 5 of the Limitation Act, 1908 shall apply to an appeal under this Act"। এক্ষেত্রে ৫ ধারা প্রযোজ্য হবে।
* বিশেষ আইনে ৫ ধারার প্রয়োগের অনুপস্থিতি: কিছু বিশেষ আইন আপিল বা দরখাস্ত দাখিলের জন্য একটি কঠোর সময়সীমা নির্ধারণ করে এবং সেই সময়সীমা পার হলে কোনো বিলম্ব মওকুফের বিধান রাখে না। এক্ষেত্রে ৫ ধারার প্রয়োগের সুযোগ থাকে না। উদাহরণস্বরূপ, নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে নির্বাচন সংক্রান্ত দরখাস্ত দায়েরের ক্ষেত্রে তামাদি আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয় এবং ৫ ধারার প্রয়োগের সুযোগ প্রায়শই থাকে না, যদি না বিশেষ আইনে তার উল্লেখ থাকে।
আদালত এই নীতি অনুসরণ করে যে, একটি বিশেষ আইন তার নিজস্ব বিধানের ক্ষেত্রে The Limitation Act, 1908 কে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে (Special law overrides general law)। তাই, কোনো বিশেষ আইনের অধীনে আপিল বা দরখাস্ত দাখিল করতে হলে, প্রথমে সেই বিশেষ আইনের নিজস্ব তামাদি সংক্রান্ত বিধানাবলী এবং ৫ ধারার প্রয়োগের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে কিনা, তা যাচাই করা অপরিহার্য।
Y কে পরামর্শ প্রদান:
আপনার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, Y এর টাকার মোকদ্দমায় সহকারী জজ গত ১০/৫/২০২৫ তারিখ রায় ও ডিক্রি প্রদান করেন এবং সে মোতাবেক গত ১৫/৫/২০২৫ তারিখ ডিক্রি প্রস্তুত হয়। Y গত ২২/৫/২০২৫ তারিখ রায় ও ডিক্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি প্রাপ্ত হয়। Y গত ২৮/৫/২০২৫ তারিখ আপনার নিকট পরামর্শের জন্য এসেছে।
The Limitation Act, 1908 এর সংশ্লিষ্ট বিধানসমূহ উল্লেখ করে Y কে নিম্নোক্ত পরামর্শ প্রদান করা হলো:
১. আপিল দায়েরের সময়সীমা (Period of Limitation for Appeal):
The Limitation Act, 1908 এর প্রথম তফসিলে (First Schedule) আপিল দায়েরের সময়সীমা নির্দিষ্ট করা আছে। সহকারী জজের রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজের নিকট আপিল দায়েরের সময়সীমা সাধারণত ৩০ দিন।
২. সময় গণনার সূত্র (Commencement of Period of Limitation):
The Limitation Act, 1908 এর ধারা ১২(২) অনুযায়ী, কোনো ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল, রিভিশন বা রিভিউ আবেদন করার জন্য সময় গণনা করার ক্ষেত্রে, সেই ডিক্রি বা আদেশের প্রত্যয়িত অনুলিপি (certified copy) পাওয়ার জন্য যে সময় লাগে, তা বাদ দেওয়া হবে। অর্থাৎ, ডিক্রি প্রস্তুত হওয়ার তারিখ থেকে বা প্রত্যয়িত অনুলিপি পাওয়ার তারিখ থেকে, যেটি পরে হয়, সেই তারিখ থেকে সময় গণনা শুরু হবে।
এখানে, ১৫/৫/২০২৫ তারিখ ডিক্রি প্রস্তুত হয়েছে এবং Y ২২/৫/২০২৫ তারিখে প্রত্যয়িত অনুলিপি প্রাপ্ত হয়েছে। সুতরাং, আপিলের সময়সীমা গণনার জন্য ২২/৫/২০২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে।
৩. আপিল দায়েরের শেষ তারিখ গণনা:
* আপিল দায়েরের সময়সীমা: ৩০ দিন।
* সময় গণনা শুরু: ২২/৫/২০২৫ তারিখ (যেদিন প্রত্যয়িত অনুলিপি পাওয়া গেছে)।
২২/৫/২০২৫ থেকে ৩০ দিন গণনা করলে:
* মে মাসের অবশিষ্ট দিন: ৯ দিন (২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০) + ৩১ (মে মাস ৩১ দিনে) = ১০ দিন
* জুন মাসের দিন: ২০ দিন (মোট ৩০ দিন পূর্ণ করার জন্য)।
সুতরাং, আপিল দায়েরের শেষ তারিখ হবে ২১/৬/২০২৫।
৪. বিলম্ব মওকুফ (Condonation of Delay) - ধারা ৫ এর প্রয়োগ:
Y ২৮/৫/২০২৫ তারিখে আমার কাছে এসেছে, অর্থাৎ তার আপিল দায়েরের শেষ তারিখ ২১/৬/২০২৫ এর পূর্বে। সুতরাং, এই মুহূর্তে Y এর আপিল দায়েরের সময়সীমা এখনো শেষ হয়নি।
যদি কোনো কারণে Y ২১/৬/২০২৫ তারিখের মধ্যে আপিল দায়ের করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাকে The Limitation Act, 1908 এর ধারা ৫ এর অধীনে বিলম্ব মওকুফের জন্য আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে Y কে বিলম্বের একটি "সন্তুষ্ট কারণ" (sufficient cause) ব্যাখ্যা করতে হবে। তবে, বর্তমানে যেহেতু সময়সীমা আছে, সেহেতু ৫ ধারার প্রয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই।
পরামর্শ:
Y কে আমার পরামর্শ হলো:
"জনাব Y, আপনার টাকার মোকদ্দমায় সহকারী জজের রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে জেলা জজের নিকট আপিল দায়ের করার সময়সীমা The Limitation Act, 1908 এর বিধান অনুযায়ী সাধারণত ৩০ দিন। যেহেতু আপনি গত ২২/৫/২০২৫ তারিখে রায় ও ডিক্রির প্রত্যয়িত অনুলিপি পেয়েছেন, তাই এই ৩০ দিনের সময়সীমা ২২/৫/২০২৫ তারিখ থেকে গণনা করা হবে।
সে অনুযায়ী, আপনার আপিল দায়েরের সর্বশেষ তারিখ হলো ২১/৬/২০২৫।
অতএব, আপনাকে অবিলম্বে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে ২১/৬/২০২৫ তারিখের মধ্যে জেলা জজ আদালতে আপিল দায়ের করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদি কোনো কারণে এই তারিখের মধ্যে আপিল দায়ের করা সম্ভব না হয়, তবে আপনাকে বিলম্বের সন্তোষজনক কারণ উল্লেখ করে The Limitation Act, 1908 এর ধারা ৫ এর অধীনে বিলম্ব মওকুফের আবেদন করতে হবে, যা অত্যন্ত জরুরি।"