- Get link
- X
- Other Apps
কোরবানির ঈদে বৃষ্টি হলে কি কি ব্যবস্থা নিবেন?
কোরবানির ঈদে বৃষ্টি হলে কিছু প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কাজগুলো সহজভাবে সম্পন্ন করা যায়।
নিচে কয়েকটি জরুরি ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হলো:
১. পশুর জন্য সুরক্ষিত স্থান:
* অস্থায়ী ছাউনি: কোরবানির পশু এবং জবাই করার স্থানটিকে বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে ত্রিপল, মোটা পলিথিন বা সামিয়ানা দিয়ে অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন ছাউনি যেন মজবুত হয় এবং পানি জমে বা বাতাসে পড়ে না যায়।
* শুকনো স্থান: পশু রাখার জায়গা যেন স্যাঁতসেঁতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। উঁচু ও শুকনো স্থানে পশু বাঁধুন। বৃষ্টির পানি জমে গেলে দ্রুত সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নিন।
* পশুর আরাম: ঠান্ডা আবহাওয়া বা বৃষ্টির দিনে পশুকে গোসল না করানোই ভালো। পশুকে শুকনো জায়গায় রাখুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার ও পরিষ্কার পানি দিন।
২. কোরবানি ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের প্রস্তুতি:
* জবাইয়ের স্থান প্রস্তুত: জবাইয়ের স্থানটি আগে থেকেই পরিষ্কার করে নিন। বৃষ্টির পানি ও রক্ত নিষ্কাশনের জন্য নালার ব্যবস্থা রাখতে পারলে ভালো।
* পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: মাংস কাটার স্থানটিতে চাটাই, পলিথিন বা ত্রিপল বিছিয়ে নিন যাতে মাংস কাদামাটিতে নষ্ট না হয়। পর্যাপ্ত পানি, সাবান, হ্যান্ড গ্লাভস ও জীবাণুনাশক হাতের কাছে রাখুন।
* বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা: মাংস কাটার জন্য যদি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করেন, তবে বৃষ্টির সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন। ভেজা হাতে সুইচ বা তার স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন এবং সংযোগস্থলগুলো পানি থেকে সুরক্ষিত রাখুন।
* আলোর ব্যবস্থা: বৃষ্টির কারণে দিনের আলো কমে গেলে বা সন্ধ্যায় কাজ করতে হলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।
৩. মাংস বিতরণ ও সংরক্ষণ:
* প্যাকেজিং: মাংস বিতরণের জন্য পানি নিরোধক ব্যাগ বা বক্স ব্যবহার করুন, যাতে বৃষ্টির পানিতে মাংস ভিজে না যায়।
* দ্রুত বিতরণ: বৃষ্টিতে যাতায়াত ব্যাহত হতে পারে, তাই যত দ্রুত সম্ভব মাংস বিতরণ সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন।
* সংরক্ষণ: মাংস সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ আগে থেকেই পরিষ্কার করে রাখুন। বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা, যেমন জেনারেটর বা আইপিএস প্রস্তুত রাখতে পারেন।
৪. ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য:
* পোশাক: পানিরোধী বা দ্রুত শুকায় এমন পোশাক পরুন। পায়ে রাবারের বুট বা পানিরোধী জুতা ব্যবহার করুন।
* স্বাস্থ্যবিধি: বৃষ্টিতে কাজ করার পর ভালোভাবে হাত-পা পরিষ্কার করুন। ঠান্ডা লাগা বা অন্যান্য অসুস্থতা থেকে বাঁচতে গরম পানীয় পান করতে পারেন।
* সতর্কতা: পিচ্ছিল地面ে সাবধানে চলাফেরা করুন যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে।
৫. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা:
* দ্রুত অপসারণ: কোরবানির পর পশুর রক্ত, নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য বর্জ্য দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা করুন। বৃষ্টিতে এগুলো ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করতে পারে।
* নির্দিষ্ট স্থান: বর্জ্য ফেলার জন্য আগে থেকেই নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে রাখুন এবং সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার নিয়ম মেনে চলুন। প্রয়োজনে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে পারেন।
৬. অন্যান্য প্রস্তুতি:
* শুকনো কাপড় ও সরঞ্জাম: কাজ করার জন্য শুকনো কাপড়, ছুরি, দা, বঁটি, ও মাংস রাখার পাত্র আগে থেকেই গুছিয়ে রাখুন।
* যোগাযোগ: কসাই বা যারা কোরবানির কাজে সাহায্য করবেন, তাদের সাথে আগে থেকেই যোগাযোগ করে রাখুন এবং বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে সময় নির্ধারণ করুন।
এই প্রস্তুতিগুলো নিলে কোরবানির ঈদে বৃষ্টির মধ্যেও আপনি সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।