Skip to main content

Featured post

Vegan Cheese Alternatives Nut-Based Offer Artisanal, Cultured Cheeses

Section 36-46 Execution of Decree Civil Procedure Code ডিক্রি জারি ধারা ৩৬-৪৬

 Section 36-46 Execution of Decree Civil Procedure Code 

ধারা ৩৬-৪৬ ডিক্রি জারি আলোচনা দেওয়ানী কার্যবিধি আইন 

ধারা ৩৬। ডিক্রি জারি বিষয়ে উক্ত আইনের বিধানগুলো যতদূর সম্ভব প্রয়োগযোগ্য, আদেশ জারির ক্ষেত্রেও প্রয়োগযোগ্য বলে পরিগণিত হবে।

ধারা ৩৭। ডিক্রি প্রদানকারী আদালতের সংজ্ঞা

যে আদালত ডিক্রি প্রদান করেছেন বলতে বা অনুরূপ কোন বাক্য দ্বারা ডিক্রি জারির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিষয় বা প্রসঙ্গের বিপরীত কোন বিধান না থাকলে নিম্মোক্ত রূপ অন্তর্ভুক্ত করে বলে বিবেচিত হবে।

ক) জারিযোগ্য ডিক্রি আপিল এখতিয়ার ক্ষমতায় প্রদত্ত হয়ে থাকলে প্রাথমিক আদালত এবং

খ) প্রাথমিক আদালত উঠে গিয়ে থাকলে বা ডিক্রি জারি করতে এখতিয়ার বিহীন হয়ে থাকলে ডিক্রি জারি করার আবেদন করার সময় যে আদালতের অনুরূপ মামলার বিচার করার এখতিয়ার ছিল সে আদালত।

৩৭ ধারার বিশ্লেষণ

ডিক্রি জারি বিচারকারী আদালতই করবে। অনুরূপ ডিক্রির বিপক্ষে আপিল হলেও এই আপিল আদালতের ডিক্রিটিও মূল আদালতকেই জারি করতে হবে। উচ্চতর আদালতে কোনরূপ আপিল করা হলে সে ক্ষেত্রে মূল আদালতই ডিক্রি জারি করবে। আপিল আদালতের ডিক্রিকে প্রাথমিক আদালতের ডিক্রি হিসেবে ব্যাখ্যা করতে হবে।

ধারা ৩৮। যে আদালত দ্বারা ডিক্রি জারি করা যায়

যে আদালত ডিক্রি প্রদান করেছেন, সে আদালত বাজে আদালতে তাদের জন্য প্রেরিত হয়েছে সে আদালত ডিক্রি জারি করতে পারেন।

৩৮ ধারার বিশ্লেষণ

কোন আদালত ডিক্রি জারি করে - ধারা ৩৮

১) যে আদালত ডিক্রি প্রদান করেছে

২) যে আদালতে ডিক্রি জারি করার জন্য পাঠানো বা হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিক্রি জারিকারী আদালতের ডিক্রির বিষয়বস্তুর বাইরে কোনো বিষয় বিবেচনা করার এখতিয়ার থাকবে না।

ধারা ৩৯। ডিক্রী স্থানান্তরিতকরণ।

১) কোন ডিক্রীদানকারী আদালত ডিক্রীদারের আবেদন ক্রমে উহা জারির জন্য আদালতে প্রেরণ করতে পারেন-

ক) যার বিরুদ্ধে ডিক্রী দেয়া হয়েছে তিনি যদি উক্ত অন্য আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার ভিতর মূলত ও স্বেচ্ছায় বসবাস করেন বা ব্যবসা পরিচালনা করেন বা ব্যক্তিগতভাবে লাভজনক কাজ করেন, বা

খ) যে আদালত ডিক্রী প্রদান করেছেন, তার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার ভিতর ডিক্রীর দাবি পূরণের জন্য উক্ত লােকের পর্যাপ্ত সম্পত্তি না থাকলে এবং অন্য আদালতে এখতিয়ারের স্থানীয় সীমায় তার সম্পত্তি থাকলে, বা

গ) ডিক্রীতে ডিক্রী দানকারী আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমান্তের বাহিরে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় বা প্রদানের জন্য নির্দেশ থাকলে, বা

ঘ) ডিক্রী প্রদানকারী আদালত যদি অন্য কোন কারণ লিপিবদ্ধ করে বিবেচনা করে যে ডিক্রীটি অন্য আদালত দ্বারা জারি হওয়া উচিত।

২) ডিক্রী দানকারী আদালত স্বেচ্ছাপ্রণােদিত হয়ে উপযুক্ত এখতিয়ারসম্পন্ন কোন অধঃস্তন আদালতে প্রেরণ করতে পারেন।

ধারা ৪১। জারি কার্যক্রমের ফলাফল অবহিত করণ।

যে আদালতে জারির জন্য ডিক্রীটি প্রেরিত হয় উক্ত আদালত ডিক্রি জারির বিষয় বা ডিক্রী জারিতে ব্যর্থ হলে অনুরূপ ব্যর্থতার কারণ সম্বলিত অবস্থাদি ডিক্রী প্রদানকারী আদালতকে অবহিত করবেন।

৪১ ধারার বিশ্লেষণ

এই ধারায় জারি কার্যক্রমের ফলাফল প্রত্যয়ন করার বিধান করা হয়েছে। যে আদালতে ডিক্রি জারির জন্য প্রেরণ করা হবে সে আদালত যে পরিস্থিতিতে তা করেছেন এবং জারির ফলাফল প্রত্যয়ন করবেন। যে আদালত ডিক্রি জারির জন্য প্রেরণ করেছেন সে আদালত কার্যত উক্ত ডিক্রির উপর নিয়ন্ত্রনহীন হয় না।

ধারা ৪২। স্থানান্তরিত ডিক্রী জারিকারক আদালতের ক্ষমতা

  ১) প্রেরীত ডিক্রী নির্বাহী আদালত, যার দ্বারা প্রদত্ত হয়েছিল গণ্যে উক্তরূপ ডিক্রী জারিতে একই ক্ষমতা থাকবে। উক্তরূপ আদালত, যার দ্বারা ডিক্রী প্রদত্ত হয়েছিল গণ্যে ডিক্রীজারি অমান্যকারী বা বাধাদানকারী ব্যক্তিদেরকে সাজা প্রদান করবেন, ও আপিলের ব্যাপারে তৎকর্তৃক ডিক্রী প্রদত্ত হয়েছিল গণ্যে উক্তরূপ ডিক্রী জারিতে উহার আদেশ একই বিধানসাপেক্ষ হবে।

২) পূর্বোক্ত বিধানাবলির অর্থকে ক্ষুন্ন না করে প্রেরিত ডিক্রী জারিকারক আদালতে নিম্নবর্ণিত ক্ষমতাগুলাে থাকবে, যথা:

ক) প্রয়ােজন অনুযায়ী ৩০ ধারার অধীন অন্য আদালতে ডিক্রী স্থানান্তর করার ক্ষমতা;

খ) ৫০ ধারার (১) উপধারার আওতায় মৃত সাব্যস্ত দেনাদারের বৈধ প্রতিনিধিগণের বিরুদ্ধে জারি কার্যব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি প্রদানের ক্ষমতা;

গ) ১৫২ ধারার আওতায় করণিক বা গাণিতিক ভুল সংশােধন করার ক্ষমতা;

ঘ) ২১ আদেশের ১০ নিয়মের আওতায় কোন ডিক্রী হস্তান্তর করণকে স্বীকৃতি দানের ক্ষমতা;

ঙ) ফার্মের বিরুদ্ধে জারি কার্যক্রমের ফার্মের পার্টনাররূপে ইতিপূর্বে অস্বীকৃত কোন লােকের বিরুদ্ধে ২১ আদেশের ৫০ নিয়মের (২) উপ-নিয়ম অনুযায়ী ডিক্রীদারকে কাৰ্যব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুমতি মঞ্জুরের ক্ষমতা;

চ) ২১ আদেশের ৫৩ নিয়মের ১ উপ-নিয়মে (খ) দফার আওতায় অন্য আদালত প্রদত্ত ডিক্রী ক্রোকের নােটিশ প্রদানের ক্ষমতা।

৪২ ধারার বিশ্লেষণ

ডিক্রী জারির জন্য স্থানান্তর: ধারা- ৩৯

নিম্ন বর্ণিত ক্ষেত্রে ডিক্রী প্রদানকারী আদালত ডিক্রী জারির জন্য স্থানান্তর করতে পারেন-

১। যার বিরুদ্ধে ডিক্রী দেয়া হয়েছে, সে যদি অন্য আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারে বসবাস বা ব্যবসা বা ব্যক্তিগত লাভজনক কাজ করেন।

২। ডিক্রীদানকারী আদালতের স্থানীয় সীমানার মধ্যে ডিক্রীর দাবি পূরনের জন্য উক্ত ব্যক্তির পর্যাপ্ত সম্পত্তি না থাকলে এবং অন্য আদালতের এখতিয়ারে সম্পত্তি থাকলে।

৩। ডিক্রীতে অন্য আদালতের এখতিয়ারে থাকা সম্পত্তি বিক্রয়ের বা প্রদানের নির্দেশ থাকলে।

৪। ডিক্রী আদালত অন্য যেকোন কারনে স্থানান্তর করতে পারে।

ডিক্রী স্থানান্তরের আবেদন কে করবেন

১। মামলার পক্ষসমূহ অথবা

২। আদালত নিজেই (Suo motu / own motion)।

যে আদালতে ডিক্রী জারির আবেদন করতে হয়। বিধি-১০, আদেশ-২১

১। ডিক্রী প্রদানকারী আদালত।

২। এই মর্মে নিযুক্ত অফিসারের নিকট ।

৩। যে আদালতে ডিক্রী জারির জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে, সেই আদালত বা উক্ত আদালতের কর্মকর্তার নিকট।

ডিক্রী জারির দরখাস্ত। বিধি-১১, আদেশ-২১

১। অর্থ পরিশােধের মামলায় ডিক্রী জারির আবেদন মৌখিকভাবে করা যায়।

২। অন্যান্য মামলার ডিক্রী জারির আবেদন লিখিতভাবে করতে হয়।

ডিক্রী স্থানান্তরের পদ্ধতি। বিধি-৫, আদেশ-২১

১। যেক্ষেত্রে ডিক্রী প্রদানকারী আদালত এবং যে আদালতে ডিক্রি জারি করার জন্য স্থানান্তর করা হবে, তা একই জেলায় অবস্থিত, সেক্ষেত্রে ডিক্রীদানকারী আদালত সরাসরি ডিক্রী হস্তান্তর করতে পারবে।

২। যেক্ষেত্রে ডিক্রী প্রদানকারী আদালতে এবং যে আদালতে ডিক্রজারি করার জন্য স্থানান্তর করা হবে, তা অন্য জেলায় অবস্থিত, সেক্ষেত্রে ডিক্রীদানকারী আদালত জারি করার জন্য ডিক্রীটি উক্ত জেলার জেলা আদালতের (জেলা জজ) নিকট স্থানান্তর করবে এবং জেলা আদালত সংশ্লিষ্ট আদালতে ডিক্রীটি প্রেরণ করবেন।

স্থানান্তরিত ডিক্রীজারিকারী আদালতের ক্ষমতা। ধারা-৪২

এইক্ষেত্রে ডিক্রী প্রদানকারী আদালত এবং স্থানান্তরিত ডিক্রীজারিকারী আদালতের ক্ষমতা একই থাকবে। (ধারা ৪২] তবে উক্ত আদালত ডিক্রী জারি করতে ব্যর্থ হলে ডিক্রী প্রদানকারী আদালতকে অবহিত করবেন। ধারা-৪১]

ধারা ৪৩। আইনের উক্ত খন্ডে প্রয়োগযোগ্য নয় এরকম স্থানে বা বিদেশী রাষ্ট্রে ব্রিটিশ আদালতগুলো দ্বারা ডিক্রি জারি।

বাংলাদেশ যে এলাকায় ডিক্রী জারি বিষয়ক বিধনাবলি প্রয়োগযোগ্য নয় সে এলাকার কোন দেওয়ানী আদালত দ্বারা কোন ডিক্রী যদি ডিক্রীদানকারী আদালতের এখতিয়ার হতে না পারেন, তবে বাংলাদেশের যে কোন আদালতের এখতিয়ারে এই আইনের পদ্ধতিতে জারি হতে পারে।

ধারা ৪৪ক। যুক্তরাজ্য বা অপর কোন পারস্পারিক সম্বন্ধযুক্ত দেশ প্রদত্ত ডিক্রি জারি

(১) যেক্ষেত্রে কোন পারস্পরিক সহযোগীতাকারী দেশের যে কোন ঊর্ধ্বতন আদালতের ডিক্রীর সহিমােহরকৃত নকল কোন জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে জেলা আদালত দ্বারা ডিক্রী দেয়া হয়েছিল মর্মে উহা বাংলাদেশে জারি হতে পারে।

(২) ডিক্রীর প্রত্যায়নকৃত নকলের সঙ্গে ডিক্রীর দাবি সমন্বয় করা হয়েছে উহা বর্ণনাপূর্বক উক্তরূপ উর্ধ্বতন আদালত হতে প্রত্যয়ন পত্র পেশ করতে হবে ও উক্ত ধারার আওতায় কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে সে প্রত্যয়ন পত্র উক্তরূপ দাবি সমন্বয় এর আওতা সম্পর্কে চূড়ান্ত প্রমাণ হবে।

(৩) ডিক্রীর প্রত্যায়নকৃত নকল পেশ হতে ৪৭ নম্বর ধারার বিধানাবলি উক্ত ধারার আওতায় ডিক্রী নির্বাহী জেলা আদালতে কার্যক্রমে প্রয়ােগযােগ্য হবে, ও যদি আদালতের সন্তোষজনক অবস্থাসহ দর্শান যায় যে, ডিক্রীটি ১৩ নম্বর ধারার (ক) হতে (চ) দফায় আলােচিত যে কোন ব্যতিক্রমের অধীন হয় তবে জেলা আদালত উক্তরূপ কোন ডিক্রী জারিতে অস্বীকৃতি জানাবে।

ব্যাখ্যা ১। বিলুপ্ত।

ব্যাখ্যা ২। “পারস্পরিক সহযােগীতাকারী দেশ" বলতে উক্ত ধারার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তির দ্বারা পারস্পরিক সহযােগিতাকারী বলে সরকার দ্বারা ঘােষিত দেশ বা রাজ্যকে বুঝায় ও অনুরূপ কোন রাজ্য সম্পর্কে উর্ধ্বতন আদালত বলতে উক্তরূপ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত অনুরূপ আদালতকে বুঝায়।

ব্যাখ্যা ৩। ঊর্ধ্বতন আদালতের “ডিক্রী” বলতে বা একই ধরনের অপরাপর দায় বিষয়ক বা অন্য সাজা বিষয়ক ৰা জরিমানা বা অন্য সাজা বিষয়ক প্ৰদানযােগ্য অর্থ নয়, এরকমই প্ৰদানযােগ্য অর্থের জন্য নির্দেশকারী ঐধরনের আদালতের ডিক্রী বা রায়কে বুঝানাে হয়, এবং

(ক) বিলুপ্ত ।

(খ) ডিক্রী বা রায় হিসাবে যদিও কার্যকরী হয় তথাপি সালিশের রােয়েদাদকে কোন ক্ষেত্রেই অন্তর্ভূক্ত করে না। [২০০৩ সনের ৪০নং আইন দ্বারা সংশােধিত)

৪৪ক ধারার বিশ্লেষণ

কোন বিষয়ে এবং কি কি শর্তে বৈদেশিক রায় বাংলাদেশের আদালতে স্বীকৃত হয়-

কতিপয় বিশেষ শর্তে এবং কিছু নির্দিষ্ট মামলার কার্যধারা সম্পাদনের মাধ্যমে বৈদেশিক রায় বাংলাদেশের আদালতে স্বীকৃতি লাভ করতে পারে। বৈদেশিক রায় কেবল সেক্ষেত্রেই বাংলাদেশের আদালতসমূহ স্বীকৃতি লাভ করার অধিকারী হয় যেক্ষেত্রে মামলার বিবাদীপক্ষ অনুমােদিত প্রতিকারের জন্য উক্ত রায় প্রদানের তারিখ হতে ছয় মাসের মধ্যে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অর্থাৎ কোন বৈদেশিক রায়কে বাংলাদেশের আদালতে কার্যকর করতে হলে অবশ্যই একটি নিয়মিত মামলার দায়ের করতে হবে। 

যেসব বিষয়ে এবং যে সকল শর্তে বৈদেশিক রায় বাংলাদেশের আদালতকে স্বীকৃত হয়

 যেসব বিষয়ে এবং যে সকল শর্তে বৈদেশিক রায় বাংলাদেশের আদালতকে স্বীকৃত হয় সে সম্পর্কে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৩ ধারা, 88 ধারা এবং ৪৪-ক ধারায় বিশেষভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ৪৩ ধারায় বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের যে এলাকায় ডিক্রী সম্পর্কিত বিধান প্রযােজ্য নয়, সে এলাকার কোন দেওয়ানি আদালত কোন ডিক্রী জারি করলে এবং সে ডিক্রীটি যদি সংশ্লিষ্ট আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে জারি করা না হয়, তবে উহা বাংলাদেশের অন্য কোন আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে অত্র অংশে বর্ণিত পদ্ধতিতে জারি করা যাবে।

একই আইনের ৪৪ ধারায় বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সরকার এই মর্মে সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঘােষণা করতে পারেন যে, বাংলাদেশে যােগদানকারী কোন বিদেশির ক্ষেত্রে কোন বিশেষ এলাকার, দেওয়ানি কিংবা রাজস্ব আদালতের (সরকার কর্তৃক বহাল বা স্থাপিত নয়) কোন ডিক্রী উক্ত দেশের সীমারেখার মধ্যে দেশের নিজস্ব আদালতের ডিক্রীর ন্যায় জারি হবে । পরিশেষে, দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৪-ক ধারার (১) নং উপধারায় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বৃটেন কিংবা অপর কোন সহযােগীতাকারী দেশের কোন উর্ধ্বতন আদালতের ডিক্রীর সহি মােহরকৃত নকল বাংলাদেশের নিজস্ব ডিক্রী হিসাবে জারি করা হতে পারে। একই ধারার (২) নং উপবিধিতে বলা হয়েছে যে, এই সহি মােহরকৃত ডিক্রীর নকলের সাথে ডিক্রী প্রদানকারী আদালতের একটি সার্টিফিকেট পেশ করতে হবে। ডিক্রীতে বর্ণিত দাবির কোন অংশ পরিশােধ করা হলে বা আপােষ মীমাংসা করা হলে সার্টিফিকেটে তারও বিস্তারিত বিবরণ থাকবে এবং এরূপ সার্টিফিকেট এই ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রমাণ বলে গণ্য হবে।

পরিশেষে, দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৪-ক ধারার (৩) নং উপধারার বলা হয়েছে যে, এই ধারা অনুসারে ডিক্রী জারিকারক জেলা আদালতে কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ডিক্রীর সহি মােহরকৃত নকল পেশ করার সময় হতে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৭ ধারার বিধানসমূহ প্রযােজ্য হবে, এবং আদালতে সন্তষ্টি মােতাবেক যদি প্রমাণ করা যায় যে, ডিক্রীটি দেওয়ানি কার্যবিধির ১৩নং ধারার অন্তর্ভুক্ত ‘ক’ দফা হতে ‘চ’ দফা পর্যন্ত ব্যতিক্রমের কোন একটির অন্তর্ভুক্ত, তা হলে জেলা আদালত উহা জারি করতে অস্বীকার করবেন।

ইংল্যান্ডের হাইকোর্ট দ্বারা প্রদত্ত ডিক্রী বাংলাদেশের জেলা জজ আদালতের দ্বারা জারি দেয়া যায়। কিন্তু বিদেশি কোন রােয়েদাদ জারিযােগ্য নয়।

বিদেশি আদালতে যথাসময়ে বিবাদী হাজির হতে না পারায় তার বিরুদ্ধে একতরফা ডিক্রী হয়। এরূপ ডিক্রীকে মর্মগত বা গুণগত প্রদত্ত ডিক্রী বলা যায় না। তদহেতু উক্ত ডিক্রী জারি কার্যক্রমে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অভাবে বাধা দেয়া যায়।

ধারা ৪৬। বিচারকের আদেশপত্র বা Precepts কাকে বলে

(১) ডিক্রীদারের আবেদন মােতাবেক ডিক্রী দানকারী আদালত ন্যায়সঙ্গত মনে করলে দায়িকের মালিকানার অধীন ও আদেশপত্রে উল্লেখিত কোন সম্পত্তি ক্রোক করার জন্য অনুরূপ ডিক্রী জারি করতে উপযুক্ত অন্য কোন আদালতে আদেশপত্র প্রেরণ করতে পারেন।

(২) যেই আদালতে উক্ত আদেশ নামা প্রেরীত হয় সে আদালত ডিক্রী জারিতে সম্পত্তি ক্রোক বিষয়ক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী নিস্পত্তি করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ডিক্রীদানকারী আদালত সময় বাড়াইয়া না দেয়া পর্যন্ত বা উক্তরূপ ক্রোক নির্ধারণের পূর্বে ক্রোককারী আদালতে ডিক্রী বদল না হওয়া ও ডিক্রীদার উল্লেখিত সম্পত্তি বিক্রি করার আদেশের জন্য আবেদন না করা অবধি আদেশনামা আওতাধীন কোন ক্রোক দুই মাসের অধিককাল কার্যকর থাকবে না।

৪৬ ধারার বিশ্লেষণ

ডিক্রী জারি দেয়ার জন্য ডিক্রীদারের আবেদনক্রমে সংশ্লিষ্ট আদালত ডিক্রীটি অন্য কোন আদালতের দ্বারা জারি করার ব্যবস্থা করতে পারেন। ক্রোকের সময়সীমা অতিবাহিত হয়ে গেলেও ডিক্রী জারিকারী আদালত সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় করতে‌ পারে। ডিক্রী জারির জন্য অনুরােধ করে অন্য আদালত বরাবরে প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়।

এমন অবস্থা হতে পারে যে, ডিক্রীপ্রদানকারি আদালতের এলাকায় যার বিরুদ্ধে ডিক্রী হয়েছে সে দেনাদারের কোন সম্পত্তি নেই। যে আদালতের এলাকায় দেনাদারের সম্পত্তি আছে সে আদালতে ডিক্রী জারি দেয়া যায়। দেনাদার যদি তাড়াতাড়ি করে তার সম্পত্তি বিক্রয় করে ফেলে তবে ডিক্রীদারের ডিক্রী জারি করে টাকা আদায় সম্ভব হয় না।

এই শােচনীয় অবস্থা হতে ডিক্রীদারকে রক্ষা করার জন্য এই ধারায় একটি ব্যবস্থা বর্ণিত হয়েছে, ডিক্রী প্রদানকারি আদালতকে দেনাদারের সম্পত্তি ক্রোক করার জন্য অনুরােধ করতে পারেন।

ডিক্রী জারির অনুরােধ

 ডিক্রীগ্রহণকারি আদালত (যে আদালত ডিক্রী জারির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে) ডিক্রী জারির অনুরােধ বা প্রিসেপ্ট ইস্যু করতে পারেন না এবং ধারা ৪৬ এর পরিধি ধারা ৪২ দ্বারা মােটেই সম্প্রসারিত করা হয় নাই। প্রিসেন্ট Precept ইস্যুকারি আদালত নিজে কোন সম্পত্তি ক্রোক করতে পারেন না। জারির জন্য আবেদন না করা পর্যন্ত প্রিসেন্ট গ্রহণকারি আদালত ডিক্রী জারি করতে পারেন না। ডিক্রী জারির জন্য অন্য কোন আদালতে স্থানান্তরিত হওয়ার পরও ডিক্রী প্রদানকারী আদালত ডিক্রীটির জন্য প্রিসেন্ট ইস্যু করতে পারেন।

প্রিসেপ্টের বিরুদ্ধে আপিল Appeal against Precepts: 

প্রিসেট বা ডিক্রী জারির অনুরােধ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না।



Popular Posts

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

HSC English First Paper English For Today Unit 3 Lesson 4

HSC English First Paper English For Today Unit 3 Lesson 4 Khona The mythical story of Khona is deeply rooted in Bangla folklore. Khona, originally named Lila, an incredible woman with a gift for predicting weather and understanding the ways of farming. Her wisdom was shared through memorable rhyming verses known as “Khona's Words" or "Khonar Bochon." These sayings, though simple and easy to remember, were filled with practical advice for farmers. Khona used her knowledge to help the peasants, but her actions often challenged the ruling class. The rulers, not pleased with her defiance, punished her cruelly by cutting out her tongue. Thus she became known as Khona, which means “someone who cannot speak." Despite this harsh punishment, her wisdom lived on through her sayings, which have been passed down for over 1500 years. There are many versions of Khona's story. One retelling goes like this: in the kingdom of Deyulnagar, there was a royal astrologer n...

HSC English First Paper English For Today Unit 1 Lesson 3

HSC English First Paper English For Today Unit 1 Lesson 3 Children in School  The New School Part-I: Reading Test  When she saw the gate of the new school, Totto-chan stopped. The gate of the school she used to go to had fine concrete pillars with the name of the school in large characters. But the gate of this new school simply consisted of two rather short posts that still had twigs and leaves on them. "This gate's growing." said Totto-chan. "It'll probably go on growing till it's taller than the telephone poles! The two "gateposts" were clearly trees with roots. When she got closer, she had to put her head to one side to read the name of the school because the wind had blown the sign askew. "To-mo-e Ga-ku-en." Totto-chan was about to ask Mother what "Tomoe" meant, when she caught a glimpse of something that made her think she must be dreaming. She squatted down and peered through the shrubbery to get a better look, and ...