Skip to main content

Featured post

Vegan Cheese Alternatives Nut-Based Offer Artisanal, Cultured Cheeses

Period of Limitation তামাদির সময় গণনা প্রতারণার ফলাফল তামাদি আইন ১৯০৮

তামাদি আইন তৃতীয় অধ্যায় - তামাদির সময় /মেয়াদ গণনা।
তামাদি আইন ধারা ১২ আইনানুগ কার্যধারায় যে পরিমাণ সময় হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে
তামাদি আইন ধারা ১৩ - বাংলাদেশ ও অনান্য কয়েকটি এলাকা থেকে বিবাদীর অনুপস্থিতকালীন সময় হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে।
তামাদি আইনধারা ১৪ - এখতিয়ারবিহীন আদালতের সুউদ্দেশ্যমূলক কার্যক্রমে যে সময় গণনা হতে বাদ দিতে হয়।
তামাদি আইন ধারা ১৫ - কার্যধারা স্থগিত থাকাকালীন সময় বাদ দিতে হবে।
তামাদি আইন ধারা ১৬ - ডিক্রি জারীর বিক্রয় রদ করার কার্যধারা মূলতবী থাকাকালীন সময় বাদ দিতে হবে।
তামাদি আইন ধারা-১৭ - মামলা করার অধিকার লাভের পূর্বে মৃত্যুর ফলাফল।
তামাদি আইন ধারা-১৮ - প্রতারণার ফলাফল।
তামাদি আইন ধারা-১৯ - লিখিত প্রাপ্তি স্বীকারের ফলাফল।
তামাদি আইন ধারা ২০ - উত্তর দায় বিষয়ক ঋণ পরিশোধের কিংবা সুদ দেয়ার ফলাফল।
তামাদি আইন ধারা ২১ - অক্ষম ব্যক্তির প্রতিনিধি।
তামাদি আইন ধারা-২২ - নূতন বাদী বা বিবাদীকে কারো স্থলাভিষিক্ত কিংবা পক্ষভুক্ত করার ফলাফল।
তামাদি আইন ধারা-২৩ - অবিরাম চুক্তিভঙ্গ অথবা অন্যায় করা।
তামাদি আইন ধারা-২৪ - বিশেষ ক্ষতির কারণ না হলে যে কাজের জন্য মামলা করা যায় না তার জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা।
তামাদি আইন ধারা-২৫ - দলিলের উল্লিখিত সময়ের হিসাব।

Chapter III

Computation of Period of Limitation

তামাদি আইন তৃতীয় অধ্যায় - তামাদির সময় /মেয়াদ গণনা 

তামাদি আইন ধারা ১২ আইনানুগ কার্যধারায় যে পরিমাণ সময় হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে

(১) কোন মামলা আপিল কিংবা আবেদনের জন্য নির্ধারিত তামাদির সময় হিসাব করতে, যেদিন থেকে ঐ সময় হিসাব করতে হবে সে দিন বাদ দিতে হবে।

(২) কোন আপিল, আপিলের অনুমতির আবেদন কিংবা রায় পুনরীক্ষণের আবেদনের জন্য নির্ধারিত তামাদির সময় হিসাব করতে, যে রায়ের ব্যাপারে অভিযোগ করা হবে, তা যেদিন ঘোষণা করা হয়েছে সেদিন ও যে ডিক্রি, দণ্ডাদেশ কিংবা আদেশের ব্যাপারে আপিল করা হবে কিংবা পুনরীক্ষণের প্রার্থনা করা হবে, তার নকল গ্রহণ করতে যেসময় আবশ্যক, তা বাদ দিতে হবে।

(৩) যেক্ষেত্রে ডিক্রির ব্যাপারে আপিল কিংবা পুনরীক্ষণের প্রার্থনা করা হয়, সেক্ষেত্রে ঐ ডিক্রি যে রায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত সে রায়ের নকল লইতে যে সময় লাগে, তাও বাদ দিতে হবে।

তামাদি আইন ধারা ১৩ বাংলাদেশ ও অনান্য কয়েকটি এলাকা থেকে বিবাদীর অনুপস্থিতকালীন সময় হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে:

কোন মামলা দায়েরের জন্য নির্ধারিত তামাদির সময় হিসাব করতে বাংলাদেশ বহির্ভূত কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রশাসিত এলাকা থেকে বিবাদীর অনুপস্থিত কাল বাদ দিতে হবে।

(৪) কোন রোয়েদাদ নাকচ করার আবেদনের জন্য নির্ধারিত তামাদির সময় হিসাব করতে, রোয়েদাদের নকল লইতে যে সময় লাগে, তা বাদ দিতে হবে।

তামাদি আইন ধারা ১৪ এখতিয়ারবিহীন আদালতের সুউদ্দেশ্যমূলক কার্যক্রমে যে সময় গণনা হতে বাদ দিতে হয়

(১) কোন মামলা দায়েরের জন্য নির্ধারিত তামাদির সময় হিসাব করতে, বাদী কোন আদিম কিংবা আপিল আদালতে বিবাদীর বিরুদ্ধে যদি অপর একটি দেওয়ানি কার্যক্রম মামলা এবং কার্যক্রমের যথাবিহিত যত্ন সহকারে চালাইতে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে‌ কারণ যদি একই হয় ও এখতিয়ারগত ত্রুটি কিংবা অনুরূপ অপর কোন কারণে যে আদালত শেষোক্ত কার্যক্রমের বিচার করার ক্ষমতা সম্পন্ন নয়, সে আদালতে যদি সবিশ্বাসে তা দায়ের করা হয়ে থাকে, তবে শেষোক্ত কার্যক্রমে যে সময় ব্যয়িত হয়, প্রথমোক্ত মামলার সময় হিসাব থেকে তা বাদ দিতে হবে।

(২) কোন আবেদন দাখিলের জন্য নির্ধারিত তামাদির সময় হিসাব করতে দরখাস্তকারি কোন আপিল আদালতে একই পক্ষের বিরুদ্ধে যদি অন্য একটি দেওয়ানি কার্যধারা যথাবিহিত যত্ন সহকারে চালাতে থাকে-এবং তাতে একই প্রতিকার দাবি করা হয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে এখতিয়ারগত ত্রুটি কিংবা অনুরূপ অপর কোন কারণে যে আদালত শেষোক্ত কার্যধারার বিচার করার ক্ষমতা সম্পন্ন নয় সে আদালতে সদবিশ্বাসে উপরোক্ত কার্যধারা দায়ের করা হয়ে থাকলে শেষোক্ত কার্যধারায় যে সময় ব্যয়িত হয়, উপরোক্ত দরখাস্তে সময় হিসাব থেকে তা বাদ দিতে হবে।

ব্যাখ্যা: (১) যে সময়ের জন্য পূর্ববর্তী মামলা কিংবা আবেদন নিস্পত্তির অপেক্ষায় ছিল তা বাদ দিতে, যে উক্ত মামলা কিংবা আবেদন দায়ের কিংবা পেশ করা হয়ে ছিল ও যে দিন উহাদের কার্যধারা সমাপ্ত হইয়াছিল, উভয় দিনই হিসাব করতে হবে।

ব্যাখ্যা: (২) অত্র ধারার লক্ষ্যে যে বাদী কিংবা দরখাস্তকারি আপিলে বিরোধিতা করিতেছে, সে কার্যধারা চালাইতেছে বলে পরিগণিত হবে।

ব্যাখ্যা: (৩) অত্র ধারার লক্ষ্যে ভ্রমাত্মক পক্ষভুক্তি কিংবা মামলার কারণভুক্তি, এখতিয়ারগত ত্রুটির ন্যায় একই প্রকৃতির কারণ বলে পরিগণিত হবে।

তামাদি আইন ধারা ১৫ কার্যধারা স্থগিত থাকাকালীন সময় বাদ দিতে হবে:

(১) যে মামলা কিংবা ডিক্রিজারীর আবেদন দায়ের কিংবা জারী, কোন নিষেধাজ্ঞা কিংবা আদেশ দ্বারা স্থগিত রাখা হয়েছে, তার জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনার সময়, যতদিন তা নিষেধাজ্ঞা কিংবা আদেশ বলবৎ ছিল, যে দিন তা প্রদত্ত হইয়াছিল ও সে দিন তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল, তা বাদ দিতে হবে।

(২) যে মামলার জন্য বর্তমানে বলবৎ অপর কোন আইনের বিধান মোতাবেক নোটিশ দেয়া হয়েছে, তার জন্য নির্ধারিত সময় হিসাব নোটিশের কাল বাদ দিতে হবে।

তামাদি আইন ধারা ১৬ ডিক্রি জারীর বিক্রয় রদ করার কার্যধারা মূলতবী থাকাকালীন সময় বাদ দিতে হবে

ডিক্রি জারীর নিলামে খরিদা সম্পত্তির দখল পাবার জন্য নিলাম খরিদ্দার কর্তৃক মামলা রুজু করার জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনার সময় নিলাম রদের জন্য দায়েরকৃত কার্যধারা যতদিন চলিয়াছে, তা ঐ সময় হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে।

তামাদি আইন ধারা-১৭ মামলা করার অধিকার লাভের পূর্বে মৃত্যুর ফলাফল

(১) যে ক্ষেত্রে কোন লোক জীবিত থাকলে একটি মামলা রুজু কিংবা আবেদন পেশ করার অধিকারি হইত, কিন্তু সে লোক ঐ অধিকার উদ্ভব হবার আগেই মৃত্যুবরণ করে, সেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির আইনানুগ প্রতিনিধি ঐ মামলা রুজু কিংবা আবেদন পেশ করার যোগ্যতা সম্পন্ন হবার সময় হতে তামাদি সময় হিসাব করা হবে।

(২) যেক্ষেত্রে কোন লোক জীবিত থাকলে তার বিরুদ্ধে কেহ একটি মামলা রুজু কিংবা আবেদন পেশ করার অধিকার অর্জন করিত কিন্তু সে লোক ঐ অধিকার উদ্ভব হবার আগেই মৃত্যুবরণ করে, সেক্ষেত্রে যখন মৃত ব্যক্তির এইরূপ কোন আইনানুগ প্রতিনিধি থাকবে, যার বিরুদ্ধে বাদী মামলা রুজু কিংবা আবেদন পেশ করতে পারবে, তখন থেকে তামাদি সময় হিসাব করা হবে।

(৩) সম্পত্তি প্রয়োগের অগ্রাধিকার প্রয়োগের মামলা কিংবা স্থাবর সম্পত্তি দখল কিংবা বংশগত কোন পদলাভ সম্পর্কিত মামলার ক্ষেত্রে উপরোক্ত (১) এবং (২) উপধারার কোন কিছুই প্রয়োগযোগ্য নয়।

তামাদি আইন ধারা-১৮ প্রতারণার ফলাফল

যেক্ষেত্রে কোন লোক একটি মামলা রুজু কিংবা আবেদন পেশ করার অধিকারি হয় কিন্তু প্রতারণার দ্বারা তাকে সে অধিকারের বিষয় কিংবা যে স্বত্বের উপর ঐ অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে দলিল প্রয়োজন, তা প্রতারণা করে তার কাছ থেকে গোপন করে রাখা হয়েছে, সে সকল ক্ষেত্রে-

(ক) প্রতারণার জন্য দোষী ব্যক্তির কিংবা তার সহযোগির বিরুদ্ধে, অথবা

(খ) যে ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে ও মূল্যের বিনিময় ভিন্ন অপর প্রকারে ঐ দোষী ব্যক্তির দ্বারা স্বত্ব দাবি করে, তার বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত লোক সর্বপ্রথম যেদিন প্রতারণার কথা জানিতে পারে, সেদিন হতে কিংবা দলিল গোপন করা হয়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত লোক সর্বপ্রথম যেদিন দলিলটি উপস্থাপন করতে সমর্থ হয় কিংবা অন্য পক্ষকে তা উপস্থাপন করার জন্য বাধ্য করতে পারে, সেদিন হতে মামলা রুজু কিংবা আবেদন দাখিলের জন্য নির্ধারিত তামাদির সময় হিসাব করতে হবে।

তামাদি আইন ধারা-১৯ লিখিত প্রাপ্তি স্বীকারের ফলাফল

(১) যেক্ষেত্রে কোন সম্পত্তি কিংবা অধিকারের ব্যাপারে মামলা রুজু কিংবা আবেদন পেশ করার জন্য নির্ধারিত তামাদির সময় পার হবার আগেই যে পক্ষের কাছে থেকে ঐ সম্পত্তি কিংবা অধিকার দাবি করা হচ্ছে, সে পক্ষ স্বয়ং কিংবা যার দ্বারা তিনি ঐ সম্পত্তির স্বত্ব কিংবা দায় প্রাপ্ত হয়েছেন, সে লোক লিখিত স্বাক্ষরিত ভাবে ঐ সম্পত্তি কিংবা অধিকারের ব্যাপারে দায় স্বীকার করেন, সে ক্ষেত্রে উক্তরূপ স্বীকৃতি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় থেকে নূতন করে সময় হিসাব করতে হবে।

(২) ঐ লিখিত স্বীকৃতিতে কোন তারিখ না থাকলে, তা স্বাক্ষর করার সময় ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়া যাইতে পারে, কিন্তু ১৮৭২ সনের সাক্ষ্য আইনের বিধান সাপেক্ষে তার বিষয়বস্তুর ব্যাপারে কোন মৌলিক সাক্ষ্য দেয়া যাবে না।

ব্যাখ্যা-১: ১৯ ধারার লক্ষ্য সাধনকল্পে স্বীকৃতি যথেষ্ট হতে পারে, যদিও সম্পত্তি কিংবা অধিকারের সঠিক প্রকৃতির ব্যাপারে তাতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নাই, কিংবা যদি তাতে বলা হয় যে, টাকা কিংবা যদি ঐ স্বীকৃতির সহিত টাকা পরিশোধ করতে, পণ্য অর্পণ করতে, চুক্তি সম্পাদন করতে বা কিছু ভোগ দখল করার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতিও জ্ঞাপন করা হয়, কিংবা যদি তার সহিত শোধবাদের কোন দাবি উপস্থাপন করা হয় কিংবা যদি তা ঐ সম্পত্তি কিংবা অধিকারের স্বত্ববান লোক ভিন্ন অন্য কোন ব্যক্তির উদ্দেশ্যে লিখিত হয় ।

ব্যাখ্যা-২: ১৯ ধারার লক্ষ্য সাধনকল্পে ‘স্বাক্ষরিত' কথাটির দ্বারা ঐ লোক স্বয়ং কিংবা এই সম্পর্কে যথাবিহিতরূপে তার কাছে থেকে কর্তৃত্বপ্রাপ্ত লোক কর্তৃক স্বাক্ষরিত বুঝাবে।

ব্যাখ্যা-৩: ১৯ ধারার লক্ষ্য সাধনকল্পে কোন ডিক্রি জারী কিংবা আদেশ কার্যকরী করার আবেদন একটি অধিকার সম্পর্কিত আবেদন বলে পরিগণিত হবে।

তামাদি আইন ধারা ২০ উত্তর দায় বিষয়ক ঋণ পরিশোধের কিংবা সুদ দেয়ার ফলাফল

(১) যেক্ষেত্রে কোন দেনা কিংবা দায়ের সুদ বাবদ নির্ধারিত সময় পার হবার পূর্বে ঐ দেনা কিংবা দায় পরিশোধ করতে দায়ী লোক স্বয়ং কিংবা তার যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি কোন অর্থ প্রদান করে, সে ক্ষেত্রে ঐ অর্থ দেয়ার তারিখ থেকে নূতন করে তামাদি সময় হিসাব করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, ১৯২৮ সনের ১লা জানুয়ারির পূর্বে সুদ পরিশোধের ক্ষেত্র ছাড়া অপরাপর সকল ক্ষেত্রে, যে লোক অর্থ প্রদান করবে, স্বীকৃতি তার স্বহস্তে লিখিত এবং স্বাক্ষরিত কিংবা অপরের লিখিত হলেও তৎকর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে।

(২) বন্ধকী জমির ফসল পাবার রসিদের ফলাফল

যেক্ষেত্রে বন্ধক দেয়া জমি বন্ধক গ্রহীতার দখলে থাকে, সেক্ষেত্রে অনুরূপ জমির খাজনা কিংবা ফসল পাবার রসিদ ১ উপধারার লক্ষ্যে অর্থ প্রদান বলে পরিগণিত হবে।

ব্যাখ্যা: দেনা অর্থে আদালতের ডিগ্রী কিংবা আদেশের অধীন প্রদেয় অর্থও বুঝাবে।

তামাদি আইন ধারা ২১ অক্ষম ব্যক্তির প্রতিনিধি

(১) অত্র আইনের ১৯ এবং ২০ ধারায় “ তার পক্ষে যথাবিহিতরূপে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি” অর্থে অপারগতাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তার আইন সম্মত অভিভাবক, কমিটি কিংবা ম্যানজারকে কিংবা অনুরূপ অভিভাবক, কমিটি কিংবা ম্যানেজার কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বাক্ষর করার কিংবা অর্থ প্রদান করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বুঝাবে।

(২) যৌথ চুক্তিকারি প্রভৃতির একজন কর্তৃক স্বীকৃতি কিংবা অর্থ প্রদান উপরোক্ত ধারাগুলির কোন বিধানবলে যৌথ চুক্তিকারি, অংশীদার, নির্বাহক কিংবা বন্ধগ্রহীতাগণের ভেতর একজনের কিংবা একাধিক জনের কিংবা তাদের একজনের কিংবা একাধিক জনের প্রতিনিধির স্বাক্ষরিত কোন-লিখিত স্বীকৃতির ফলে কিংবা অর্থ দেয়ার ফলে অপরজনকে কোন দেনার জন্য দায়ী করা যাবে না।

(৩) উপরোক্ত ধারাগুলির লক্ষ্য সাধনকল্পে - 

(ক) হিন্দু আইনের আওতাধীন কোন বিধান কিংবা কোন সম্পত্তিতে সীমিত স্বত্বে স্বত্ববান কোন লোক কিংবা তার

যথাবিহিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি কর্তৃক কোন দায়ের সম্পর্কে স্বাক্ষরিত স্বীকৃতি কিংবা অর্থ প্রদান ঐ দায়ের পরবর্তী উত্তরাধিকারির প্রতিকূলে বৈধ স্বীকৃতি কিংবা অর্থপ্রদান হিসাবে পরিগণিত হবে।

(খ) যেক্ষেত্রে কোন অবিভক্ত হিন্দু পরিবার কিংবা তৎপক্ষে কেহ কোন দায়গ্রস্ত হয়েছে, সেক্ষেত্রে ঐ পরিবারের ম্যানেজার কিংবা তার যথাবিহিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি কোন স্বীকৃতিদান কিংবা অর্থ প্রদান করলে তার সমগ্র পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে বলে পরিগণিত হবে।

তামাদি আইন ধারা-২২ নূতন বাদী বা বিবাদীকে কারো স্থলাভিষিক্ত কিংবা পক্ষভুক্ত করার ফলাফল

(১) যেইক্ষেত্রে মামলা দায়ের করার পর নূতন কোন বাদী বা বিবাদীকে কারো স্থলাভিষিক্ত কিংবা পক্ষভুক্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে সে ব্যক্তি যে তারিখে অনুরূপ পক্ষভুক্ত হয়েছে, তার জন্য মামলাটি সেই তারিখে দায়ের করা হয়েছে বলে পরিগণিত হবে।

(২) যেক্ষেত্রে মামলা স্থগিত থাকার সময় স্বত্বাপণ কিংবা কোন স্বত্ব হস্তান্তরের কারণে কাউকেও পক্ষভুক্ত কিংবা স্থলাভিষিক্ত করা হয় বা যেক্ষেত্রে বাদীকে বিবাদীতে কিংবা বিবাদীকে বাদীতে রূপান্তরিত করা হয় সেক্ষেত্রে ১ উপধারার কোন কিছুই প্রয়োগযোগ্য হবে না।

তামাদি আইন ধারা-২৩ অবিরাম চুক্তিভঙ্গ অথবা অন্যায় করা

যেক্ষেত্রে অবিরাম চুক্তি ভঙ্গ করা হয় ও যেক্ষেত্রে অবিরাম চুক্তি নিরপেক্ষভাবে অন্যায় করা হয়, সেক্ষেত্রে চুক্তি ভঙ্গ কিংবা অন্যায় চলাকালীন সময়ের প্রতি মুহূর্তেই নূতন করে তামাদির সময় অতিবাহিত হতে শুরু করে। চুক্তি বহির্ভূত এমন অনেক লোকসান রয়েছে যা প্রতিমুহূর্তে নালিশের কারণের সৃষ্টি ঘটায়। এইসব ক্ষেত্রে তামাদির সময় প্রতিমুহূর্তে বৃদ্ধি পায়।

তামাদি আইন ধারা-২৪ বিশেষ ক্ষতির কারণ না হলে যে কাজের জন্য মামলা করা যায় না তার জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা

যে কার্যের দ্বারা বাস্তবিক পক্ষে কোন নির্দিষ্ট ক্ষতি সাধিত না হলে কোন মামলার কারণ সৃষ্টি হয় না, তদ্রূপ কার্যের দরুন ক্ষতিপূরণের মামলার জন্য যখন ক্ষতি হয়, তখন থেকে তামাদির সময় হিসাব করতে হবে।

উদাহরণ -বিশেষ ক্ষতির কারণ না হলে যে কাজের জন্য মামলা করা যায় না তার জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা

‘ক' একটি জমির উপরিভাগের মালিক। 'খ' এই জমির ভূ-গর্ভের মালিক। ‘খ’ উপরিভাগের তাৎক্ষণিক স্পষ্ট কোন ক্ষতি না করে ভূ-গর্ভ থেকে কয়লা খনন এবং উত্তোলন করে। কিন্তু অবশেষে জমিটির উপরিভাগ ধ্বসিয়া পড়ে। এইক্ষেত্রে ‘ক’ কর্তৃক ‘খ’ এর বিরুদ্ধে মামলা রুজু তামাদির সময় ধ্বসিয়া পড়ার সময় থেকে শুরু হবে।

তামাদি আইন ধারা-২৫ দলিলের উল্লিখিত সময়ের হিসাব

এই আইনের লক্ষ্য সাধনকল্পে যাবতীয় দলিল গ্রেগরীয়ান বর্ষপঞ্জী মোতাবেক প্রণীত বলে পরিগণিত হবে।

উদাহরণ- দলিলের উল্লিখিত সময়ের হিসাব

(ক) জনৈক হিন্দু একটি অঙ্গীকার পত্রে স্থানীয় বর্ষপঞ্জী মোতাবেক তারিখ উল্লেখ করে। অঙ্গীকারপত্রটি উক্ত তারিখ থেকে চার মাস পর পরিশোধযোগ্য। এক্ষণে এই অঙ্গীকারপত্রের দরুন মামলারুজু করতে হলে গ্রেগরীয়ান বর্ষপঞ্জী মোতাবেক উক্ত তারিখ হইতে চারমাস অতিবাহিত হবার পর হতে তামাদির সময় হিসাব করতে হবে।

(খ) জনৈক হিন্দু এক বৎসরের ভেতর টাকা পরিশোধের শর্তে একটি মুচলেকা দেয় ও তাতে স্থানীয় বর্ষপঞ্জী মোতাবেক তারিখ উল্লেখ করে, এক্ষণে মুচলেকার দরুন মামলা রুজু করতে হলে গ্রেগরীয়ান বর্ষপঞ্জী মোতাবেক তারিখ থেকে এক বৎসর অতিবাহিত হবার পর থেকে তামাদির সময় হিসাব করতে হবে।

টপিকস

তামাদি আইন তৃতীয় অধ্যায় - তামাদির সময় /মেয়াদ গণনা। তামাদি আইন ধারা ১২ - আইনানুগ কার্যধারায় যে পরিমাণ সময় হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে। তামাদি আইন ধারা ১৩ - বাংলাদেশ ও অনান্য কয়েকটি এলাকা থেকে বিবাদীর অনুপস্থিতকালীন সময় হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে। তামাদি আইনধারা ১৪ - এখতিয়ারবিহীন আদালতের সুউদ্দেশ্যমূলক কার্যক্রমে যে সময় গণনা হতে বাদ দিতে হয়। তামাদি আইন ধারা ১৫ - কার্যধারা স্থগিত থাকাকালীন সময় বাদ দিতে হবে। তামাদি আইন ধারা ১৬ - ডিক্রি জারীর বিক্রয় রদ করার কার্যধারা মূলতবী থাকাকালীন সময় বাদ দিতে হবে। তামাদি আইন ধারা-১৭ - মামলা করার অধিকার লাভের পূর্বে মৃত্যুর ফলাফল। তামাদি আইন ধারা-১৮ - প্রতারণার ফলাফল। তামাদি আইন ধারা-১৯ - লিখিত প্রাপ্তি স্বীকারের ফলাফল। তামাদি আইন ধারা ২০ - উত্তর দায় বিষয়ক ঋণ পরিশোধের কিংবা সুদ দেয়ার ফলাফল। তামাদি আইন ধারা ২১ - অক্ষম ব্যক্তির প্রতিনিধি। তামাদি আইন ধারা-২২ - নূতন বাদী বা বিবাদীকে কারো স্থলাভিষিক্ত কিংবা পক্ষভুক্ত করার ফলাফল। তামাদি আইন ধারা-২৩ - অবিরাম চুক্তিভঙ্গ অথবা অন্যায় করা। তামাদি আইন ধারা-২৪ - বিশেষ ক্ষতির কারণ না হলে যে কাজের জন্য মামলা করা যায় না তার জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা। তামাদি আইন ধারা-২৫ - দলিলের উল্লিখিত সময়ের হিসাব।


Popular Posts

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

HSC English First Paper English For Today Unit 3 Lesson 4

HSC English First Paper English For Today Unit 3 Lesson 4 Khona The mythical story of Khona is deeply rooted in Bangla folklore. Khona, originally named Lila, an incredible woman with a gift for predicting weather and understanding the ways of farming. Her wisdom was shared through memorable rhyming verses known as “Khona's Words" or "Khonar Bochon." These sayings, though simple and easy to remember, were filled with practical advice for farmers. Khona used her knowledge to help the peasants, but her actions often challenged the ruling class. The rulers, not pleased with her defiance, punished her cruelly by cutting out her tongue. Thus she became known as Khona, which means “someone who cannot speak." Despite this harsh punishment, her wisdom lived on through her sayings, which have been passed down for over 1500 years. There are many versions of Khona's story. One retelling goes like this: in the kingdom of Deyulnagar, there was a royal astrologer n...

HSC English First Paper English For Today Unit 1 Lesson 3

HSC English First Paper English For Today Unit 1 Lesson 3 Children in School  The New School Part-I: Reading Test  When she saw the gate of the new school, Totto-chan stopped. The gate of the school she used to go to had fine concrete pillars with the name of the school in large characters. But the gate of this new school simply consisted of two rather short posts that still had twigs and leaves on them. "This gate's growing." said Totto-chan. "It'll probably go on growing till it's taller than the telephone poles! The two "gateposts" were clearly trees with roots. When she got closer, she had to put her head to one side to read the name of the school because the wind had blown the sign askew. "To-mo-e Ga-ku-en." Totto-chan was about to ask Mother what "Tomoe" meant, when she caught a glimpse of something that made her think she must be dreaming. She squatted down and peered through the shrubbery to get a better look, and ...