Skip to main content

Featured post

Vegan Cheese Alternatives Nut-Based Offer Artisanal, Cultured Cheeses

সাক্ষ্য আইন Evidence Act 1872 ১৮৭২ এর উপর প্রাথমিক আলোচনা

সাক্ষ্য আইন কিভাবে প্রণীত হয়?
সাক্ষ্য আইন কি ধরনের আইন?
সাক্ষ্য আইন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়?
সাক্ষ্য আইন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না?
সাক্ষ্য আইনে ৩ ধারায় সংজ্ঞাসমূহ কি কি?
আদালত কাকে বলে?
প্রমাণ কি?
প্রমাণিত কি?
ভুল বলে প্রমাণিত কি?
প্রমাণিত নয় কি?
সাক্ষ্য কয় প্রকার?
সাক্ষ্য কি?
ডিজিটাল রেকর্ড কি?

সাক্ষ্য আইন ১৮৭২ এর উপর  প্রাথমিক আলোচনা

সাক্ষ্য আইন কিভাবে প্রণীত হয়?

সর্ব প্রথম ১৮৫০ সালে, স্যার হেনরি সামার মেইন ভারতীয় আদালতের মামলা পরিচালনার জন্য অনুসরণীয় একটি সাক্ষ্য আইনের খসড়া বিল তৈরী করে । কিন্তু এটা ভারতে ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। অবশেষে, ১৮৭১ সালে ব্রিটিশ‌ পার্লামেন্ট স্যার জেমস ফিটজজেমস স্টিফেন কে সাক্ষ্য আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেয় । তার তৈরীকৃত বিলটি সেপ্টেম্বর ১, ১৮৭২ সালে, কার্যকর করা হয় এবং তখন থেকে ভারতীয় আদালত এটা অনুসরণ করে আসছে । বর্তমানে বাংলাদেশে সামান্য কিছু সংশোধনী ছাড়া এই আইনটি প্রয়োগ হচ্ছে । সাক্ষ্য আইনের সর্বশেষ সংশোধনী গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর।

সাক্ষ্য আইন কি ধরনের আইন?

সাক্ষ্য আইন একটি পদ্ধতিগত আইন। এই আইনের মুল বিষয় বিষয় হলো, আদালত মামলার বিচার্য বিষয় প্রমাণের জন্য মামলার কোন পক্ষ কোন কোন বিষয়ের উপর সাক্ষ্য দিতে পারে, কোন সাক্ষ্যগুলো প্রাসঙ্গিক এবং গ্রহণযোগ্য, সাক্ষ্য সম্পর্কে আদালতের অনুমান, প্রমাণের ভার নির্ধারণ, সাক্ষ্য গ্রহণের ক্রম ( জবানবন্দি, জেরা, পুন:জবানবন্দি) ইত্যাদি ।

সাক্ষ্য আইন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়?

সাক্ষ্য আইন আদালতের মধ্যে বা সম্মুখে সংঘটিত সকল বিচারিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এমনকি কোর্ট মার্শালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। কিন্তু কোর্ট মার্শাল যদি The Army Act, 1952 অথবা The Naval Discipline Ordinance, 1961 অথবা The Air Force Act, 1953 অনুসারে গঠিত হয়, তাহলে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন উক্ত কোর্ট মার্শালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

সাক্ষ্য আইন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না?

কোন আদালত বা বিচারকের নিকট দাখিলকৃত কোন হলফনামা [Affidavits] এর ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন প্রযোজ্য না। সুতরাং আদালতের নিকট দাখিলকৃত হলফনামা সাক্ষ্য বলে গণ্য হবেনা । কোন সালিশী বিচারকের [Arbitrator] সম্মুখে সংঘটিত কার্যাবলীর ক্ষেত্রে সাক্ষ্য আইন প্রযোজ্য না।

এক নজরে সাক্ষ্য আইন

✓সাক্ষ্য আইনের খসড়া প্রস্তুতকারী হলো স্যার জেমস ফিটজজেমস স্টিফেন [Sir James Fitzjames Stephen]
✓সাক্ষ্য আইন প্রণয়ন করা হয় ১৮৭২ সালের ১৫ই মার্চ।
✓১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনটি কার্যকর হয় ১৮৭২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর;
✓সাক্ষ্য আইনের মোট অংশ ৩টি এবং অধ্যায় ১১ টা;
✓সাক্ষ্য আইনের মোট ধারা ১৬৭ টি
✓সাক্ষ্য আইন একটি পদ্ধতিগত আইন [Procedural Law or Adjective law]

সাক্ষ্য আইনে ৩ ধারায় সংজ্ঞাসমূহ কি কি?

আদালত কাকে বলে?

সাক্ষ্য আইনে 'আদালত' বলতে বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্যান্য ব্যক্তিদের বুঝায় যারা আইনগতভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সালিসকারী বা সালিসী বিচারক বা Arbitrator আদালত বলে গণ্য হবেনা।

 তথ্য বা ঘটনা কি?

ঘটনা বা তথ্য অর্থ হলো এমন কোন ঘটনা বা তথ্য যা ঘটেছে বা বিদ্যমান ছিল বলে জানা যায়। সাক্ষ্য 
আইনের ৩ ধারায় তথ্য বা ঘটনা ২ প্রকার।
১. ইন্দ্রিাহ্য বিষয় (Physical Fact) যেমন 'ক' 'খ' কে পিস্তল দিয়ে গুলি করেছে।
২. মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক বিষয় (Psychological Fact)। যেমন অভিপ্রায়, জ্ঞান, সরল বিশ্বাস ইত্যাদি।
'ক' 'খ' কে পিছন দিয়ে গুলি করেছে। গুলি করা হলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয় এবং গুলি করার ক্ষেত্রে তার অভিপ্রায় হলো মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।

প্রমাণ কি?

সাক্ষ্য আইনের অধীন প্রমাণকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে
১. প্রমাণিত [Proved]
২. ভুল বলে প্রমাণিত [Disproved] এবং 
৩. প্রমাণিত নয় [Not Proved]

প্রমাণিত কি?

আদালতের নিকট বিবেচ্য বিষয়কে আদালত বিশ্লেষণ করে সেটার অস্তিত্বকে বিশ্বাস করলে সেটা প্রমাণিত বলে গণ্য হয়। একটি সত্য ঘটনা সত্য বলে প্রমাণিত হতে পারে। আবার একইভাবে একটি মিথ্যা ঘটনা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হতে পারে। সুতরাং প্রমাণিত বলতে সত্য ঘটনা সত্য বলে প্রমাণিত হওয়া এবং মিথ্যা ঘটনা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হওয়া। যখন কোনো সত্য ঘটনা বা তথ্য সত্য বলে প্রমাণিত হয় এবং একইভাবে যখন কোন মিথ্যা ঘটনা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয় তখন সেটা প্রমাণিত বলে গণ্য হয়।

ভুল বলে প্রমাণিত কি?

আদালতের নিকট বিবেচ্য বিষয়কে আদালত বিশ্লেষণ করে সেটার অস্তিত্ব নেই বলে বিশ্বাস করলে সেটা ভুল বলে প্রমাণিত হয়। এই ক্ষেত্রে কোর্ট তার নিকটে দাখিলকৃত ঘটনাবলীর বিশ্লেষণে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে আলোচ্য ঘটনার কোন অস্তিত্বই ছিল না।

প্রমাণিত নয় কি?

কোন বিষয়ে প্রমাণিত নয় বলে গণ্য হবে যখন এটা আদালতের নিকট প্রমাণিত হয় না বা ভুল বলেও প্রমাণিত হয় না। অর্থাৎ যখন সত্য ঘটনা সত্য বলে প্রমাণিত হয়নি বা যখন মিথ্যা ঘটনা মিথ্যা বলেও প্রমাণিত হয়নি বা কোন ঘটনার যে অস্তিত্ব নেই তাও প্রমাণিত হয়নি। সে ক্ষেত্রে সেটা প্রমাণিত নয় বলে গণ্য হবে।

সাক্ষ্য কয় প্রকার?

সাক্ষ্য প্রধানত দুই প্রকার

১. মৌখিক সাক্ষ্য
২. দালিলিক সাক্ষ্য

মৌখিক সাক্ষ্য আবার দুই প্রকার

১. প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য (ধারা ৬০)
২. শোনা সাক্ষ্য

দালিলিক সাক্ষ্য দুই প্রকার।

১. প্রাথমিক সাক্ষ্য (ধারা ৬২)
২. মাধ্যমিক সাক্ষ্য (ধারা ৬৩)

সাক্ষ্য কি?

সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারায় সাক্ষ্যকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারায় বিধান করা হয়েছে,
১. বিচার বা অনুসন্ধানের অধীন বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আদালত কোন সাক্ষীকে যে বিবৃতি দেওয়ার অনুমতি দেয় বা সাক্ষী কর্তৃক যে বিবৃতি আদালতে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে, সেই বিবৃতি হলো সাক্ষ্য। এই সব বিবৃতিকে মৌখিক সাক্ষ্য বলে এবং 
২. আদালতের নিরীক্ষার বা পরিদর্শনের জন্য যে সব দলিল উত্থাপন করা হয়। এই সকল দলিলকে দালিলিক  সাক্ষ্য বলে।

ডিজিটাল রেকর্ড কি?

The Evidence Act (Amendment), 2022 দ্বারা ডিজিটাল রেকর্ডকে দলিলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।কম্পিউটারে প্রস্তুতকৃত যে কোন লেখা, সিসিটিভির ভিডিও বা মোবাইলে ধারণকৃত ছবি বা ভিডিও বা ওয়েবসাইট প্রকাশিত গেজেট ইত্যাদি ডিজিটাল রেকর্ড মর্মে গণ্য হবে এবং এগুলো সাক্ষ্য আইন অনুসারে দলিলের অন্তর্ভুক্ত হবে। The Evidence Act (Amendment), 2022 এর সংশোধন অনুসারে ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেকট্রিক রেকর্ড বলতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো যুক্ত হবে-

ম্যাগনেটিক বা ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক, অপটিক্যাল, কম্পিউটার মেমরি, মাইক্রোফিল্ম, অডিও, ভিডিও, ডিজিটাল বহুমুখী ডিস্ক বা ডিজিটাল ভিডিও ডিস্ক (ডিভিডি), কম্পিউটার উৎপাদিত মাইক্রোফিচ ইত্যাদিতে প্রস্তুতকৃত, প্রেরিত, গৃহীত বা ধারণকৃত কোন রেকর্ড, ডাটা বা তথ্য। ড্রোন ডেটা বা ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশনের রেকর্ড (সিসিটিভি) সেল ফোন, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ তে সংজ্ঞায়িত অন্য কোন ডিজিটাল ডিভাইসের কোন রেকর্ডস। রক্ত, বীর্য, চুল, শরীরের সমস্ত উপাদান, অঙ্গ বা অঙ্গের অংশ, ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ), আঙ্গুলের ছাপ, হাতের তালুর ছাপ, চোখের কনীনিকার ছাপ এবং পায়ের ছাপ সম্পর্কিত সকল উপাদানসমূহ বা বস্তুসমূহ বা অনুরূপ প্রকৃতির অন্যকোন উপাদান বা বস্তু শরীর সম্বন্ধীয় বা ফরেনসিক সাক্ষ্য মর্মে গণ্য হবে যদি এমন উপাদান বা রক্তসমূহ-

১. প্রতিষ্ঠা করে যে কোন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বা

২. অপরাধ এবং এর অপরাধীর মধ্যকার কোন সংযোগ বা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে এবং

৩. কোন ঘটনা প্রমাণিত বা মিথ্যা প্রমাণিত করতে পারে।

Evidence বলতে Physical or forensic evidence বলেও বিবেচিত হবে।

টপিকস 

সাক্ষ্য আইন কিভাবে প্রণীত হয়? সাক্ষ্য আইন কি ধরনের আইন? সাক্ষ্য আইন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়? সাক্ষ্য আইন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না? সাক্ষ্য আইনে ৩ ধারায় সংজ্ঞাসমূহ কি কি? আদালত কাকে বলে? তথ্য বা ঘটনা কি? প্রমাণ কি? প্রমাণিত কি? ভুল বলে প্রমাণিত কি? প্রমাণিত নয় কি? সাক্ষ্য কয় প্রকার? সাক্ষ্য কি? ডিজিটাল রেকর্ড কি?

Popular Posts

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

HSC English First Paper English For Today Unit 3 Lesson 4

HSC English First Paper English For Today Unit 3 Lesson 4 Khona The mythical story of Khona is deeply rooted in Bangla folklore. Khona, originally named Lila, an incredible woman with a gift for predicting weather and understanding the ways of farming. Her wisdom was shared through memorable rhyming verses known as “Khona's Words" or "Khonar Bochon." These sayings, though simple and easy to remember, were filled with practical advice for farmers. Khona used her knowledge to help the peasants, but her actions often challenged the ruling class. The rulers, not pleased with her defiance, punished her cruelly by cutting out her tongue. Thus she became known as Khona, which means “someone who cannot speak." Despite this harsh punishment, her wisdom lived on through her sayings, which have been passed down for over 1500 years. There are many versions of Khona's story. One retelling goes like this: in the kingdom of Deyulnagar, there was a royal astrologer n...

HSC English First Paper English For Today Unit 1 Lesson 3

HSC English First Paper English For Today Unit 1 Lesson 3 Children in School  The New School Part-I: Reading Test  When she saw the gate of the new school, Totto-chan stopped. The gate of the school she used to go to had fine concrete pillars with the name of the school in large characters. But the gate of this new school simply consisted of two rather short posts that still had twigs and leaves on them. "This gate's growing." said Totto-chan. "It'll probably go on growing till it's taller than the telephone poles! The two "gateposts" were clearly trees with roots. When she got closer, she had to put her head to one side to read the name of the school because the wind had blown the sign askew. "To-mo-e Ga-ku-en." Totto-chan was about to ask Mother what "Tomoe" meant, when she caught a glimpse of something that made her think she must be dreaming. She squatted down and peered through the shrubbery to get a better look, and ...